শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ দর্শনের ফলে শহরের সব সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। তাই এখন থেকেই গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে। গ্রাম-গঞ্জে কোথাও কেউ যদি বাসা-বাড়ি, দোকানপাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লাব কিংবা অফিস-আদালতসহ যে কোন অবকাঠামো নির্মাণ করতে চায় তাহলে অবশ্যই একটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।

গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) ‘মেয়র সংলাপ : নিরাপদ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর’বিষয়ক এক ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আদিল মোহাম্মদ খানের সঞ্চালনায় সংলাপে ঢাকা উত্তর সিটি, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়ররা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ইউএনডিপি’র সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি, সেভ চিল্ড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শুধু নগর নয়, পরিকল্পিতভাবে গ্রামকে গড়ারও উদ্যোগ নিতে হবে। গ্রামে যে কোন অবকাঠামো নির্মাণ করতে হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিয়েই করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আসতেই পারে। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো নির্মাণ ঠেকানো যাবে না। ইউনিয়ন পরিষদকে এ বিষয়ে ক্ষমতায়নের করার পর তারা যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারে সেজন্য উপজেলা পরিষদকে সংযুক্ত করা হবে। কেউ যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোন অবস্থায় পূর্ব অনুমতি ব্যতীত কৃষি জমিতে বাড়ি-ঘর বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান/স্থাপনা নির্মাণ করতে দেয়া যাবে না।

রাজধানীতে জোনভিত্তিক বিদ্যুৎ, পানি এবং গ্যাসসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের বিল নির্ধারণ করার ওপর পুনরায় গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, গুলশান, বনানী-বারিধারা এলাকার মতো যাত্রাবাড়ী বা স্বল্প আয়ের মানুষ বসবাসরত এলাকার ইউটিলিটি বিল সমান হতে পারে না এবং এটা নির্ধারণ করা যুক্তিসঙ্গতও হবে না। নাগরিক সেবার নামে যত্রতত্র রাস্তা কেটে জনদুর্ভোগ তৈরি না করে সরকারের সব সংস্থা/দপ্তরের সমন্বয় করে জনসেবা এবং নগরের উন্নয়ন করতে হবে। ঢাকা শহরের ৩৯টি খালসহ সব বড় বড় শহরের আওতাধীন খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালু করে সৌন্দর্যবর্ধন ও নাগরিক বান্ধব করতে সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের পরামর্শ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার, ০৬ মে ২০২১ , ২৪ বৈশাখ ১৪২৮ ২৪ রমজান ১৪৪২

শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ দর্শনের ফলে শহরের সব সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। তাই এখন থেকেই গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে। গ্রাম-গঞ্জে কোথাও কেউ যদি বাসা-বাড়ি, দোকানপাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লাব কিংবা অফিস-আদালতসহ যে কোন অবকাঠামো নির্মাণ করতে চায় তাহলে অবশ্যই একটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।

গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) ‘মেয়র সংলাপ : নিরাপদ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর’বিষয়ক এক ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আদিল মোহাম্মদ খানের সঞ্চালনায় সংলাপে ঢাকা উত্তর সিটি, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়ররা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ইউএনডিপি’র সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি, সেভ চিল্ড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শুধু নগর নয়, পরিকল্পিতভাবে গ্রামকে গড়ারও উদ্যোগ নিতে হবে। গ্রামে যে কোন অবকাঠামো নির্মাণ করতে হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিয়েই করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আসতেই পারে। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো নির্মাণ ঠেকানো যাবে না। ইউনিয়ন পরিষদকে এ বিষয়ে ক্ষমতায়নের করার পর তারা যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারে সেজন্য উপজেলা পরিষদকে সংযুক্ত করা হবে। কেউ যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোন অবস্থায় পূর্ব অনুমতি ব্যতীত কৃষি জমিতে বাড়ি-ঘর বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান/স্থাপনা নির্মাণ করতে দেয়া যাবে না।

রাজধানীতে জোনভিত্তিক বিদ্যুৎ, পানি এবং গ্যাসসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের বিল নির্ধারণ করার ওপর পুনরায় গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, গুলশান, বনানী-বারিধারা এলাকার মতো যাত্রাবাড়ী বা স্বল্প আয়ের মানুষ বসবাসরত এলাকার ইউটিলিটি বিল সমান হতে পারে না এবং এটা নির্ধারণ করা যুক্তিসঙ্গতও হবে না। নাগরিক সেবার নামে যত্রতত্র রাস্তা কেটে জনদুর্ভোগ তৈরি না করে সরকারের সব সংস্থা/দপ্তরের সমন্বয় করে জনসেবা এবং নগরের উন্নয়ন করতে হবে। ঢাকা শহরের ৩৯টি খালসহ সব বড় বড় শহরের আওতাধীন খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালু করে সৌন্দর্যবর্ধন ও নাগরিক বান্ধব করতে সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের পরামর্শ দেন তিনি।