১১ কৃষকের ধান কেটে উঠানে তুলল যুবলীগ

করোনাকালে শ্রমিক সঙ্কটের কারণে মাঠের সোনালি ফসল নিয়ে বিপাকে পড়া কৃষকদের ১৫ বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল। এক সপ্তাহ ধরে যুবলীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কাস্তে হাতে মাঠে ছিলেন তিনি। এই সময়ে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ১১ জন কৃষকের ধান কাটার পর কৃষকের উঠান পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। ২৭ এপ্রিল থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল এই ধান কাটা শুরু করে। প্রথম দিন তিনি সদর উপজেলার ইছালী ইউনিয়নের কয়েতখালী মাঠে কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাসের দেড় বিঘা জমির ধান কেটে দেন। অসচ্ছল এই কৃষক বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ। চলতেও পারেন না। খবর পেয়ে প্রথমে তার মাঠের ধান বাড়িতে তোলার উদ্যোগ নেন বিপুল। পরদিন বসুন্দিয়া ইউনিয়নের শাখারীগাঁতী গ্রামের শহিদুল ইসলামের দুই বিঘা, ২৯ এপ্রিল নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ফারুক বিশ্বাসের দেড় বিঘা, ১ মে কচুয়া ইউনিয়নের নিমতলী গ্রামের হাফিজুর রহমানের দুই বিঘা, ফতেপুর ইউনিয়নের আশিক ইসলামের দুই বিঘা, ২ মে দেয়াড়া ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের সাগর হোসেনের এক বিঘা এবং আরবপুরের জামাত আলীর দুই বিঘা জমির ধান কাটেন আনোয়ার হোসেন বিপুলের টিম। সপ্তাহব্যাপী এই কর্মকান্ডে যুবলীগের শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। ধারাবাহিকভাবে কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর কর্মসূচিতে খুশি সুবিধাভোগীরা। তাদেরই একজন ইছালী ইউনিয়নের হাসিমপুরের কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছি। বিছানা থেকে উঠতে পারছি না। ধান কাটার শ্রমিকের অভাব। আর পাওয়া গেলেও পয়সা দিয়ে ধান কাটার সামর্থ ছিল না। যশোর শহর থেকে এসে যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমার ধান কেটে বাড়িতে এনে দিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ফারুক বিশ্বাস। তিনি বলেন, ধান কাটা নিয়ে সঙ্কটে ছিলাম। যশোর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদকে বিষয়টি বললে যুবলীগের নেতাকর্মীরা এসে আমার ধান কেটে দিয়েছেন। এই ধান কাটা কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নেয়া জাবের হোসেন জাহিদ বলেন, আমাদের নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি আমাদের জানান। আমরা সবাই তার সাথে ধান কাটতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিই। টিমের দলনেতা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন কৃষক দরদী মানুষ। করোনাকালে কৃষক সঙ্কটে পড়লে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের তাদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকও আমাদের কৃষকের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কৃষকের সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি।

শুক্রবার, ০৭ মে ২০২১ , ২৫ বৈশাখ ১৪২৮ ২৫ রমজান ১৪৪২

১১ কৃষকের ধান কেটে উঠানে তুলল যুবলীগ

যশোর অফিস

image

যশোর : প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ক্ষেত থেকে ধান কেটে কৃষকের বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন যুবলীগ নেতাকর্মীরা -সংবাদ

করোনাকালে শ্রমিক সঙ্কটের কারণে মাঠের সোনালি ফসল নিয়ে বিপাকে পড়া কৃষকদের ১৫ বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল। এক সপ্তাহ ধরে যুবলীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কাস্তে হাতে মাঠে ছিলেন তিনি। এই সময়ে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ১১ জন কৃষকের ধান কাটার পর কৃষকের উঠান পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। ২৭ এপ্রিল থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল এই ধান কাটা শুরু করে। প্রথম দিন তিনি সদর উপজেলার ইছালী ইউনিয়নের কয়েতখালী মাঠে কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাসের দেড় বিঘা জমির ধান কেটে দেন। অসচ্ছল এই কৃষক বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ। চলতেও পারেন না। খবর পেয়ে প্রথমে তার মাঠের ধান বাড়িতে তোলার উদ্যোগ নেন বিপুল। পরদিন বসুন্দিয়া ইউনিয়নের শাখারীগাঁতী গ্রামের শহিদুল ইসলামের দুই বিঘা, ২৯ এপ্রিল নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ফারুক বিশ্বাসের দেড় বিঘা, ১ মে কচুয়া ইউনিয়নের নিমতলী গ্রামের হাফিজুর রহমানের দুই বিঘা, ফতেপুর ইউনিয়নের আশিক ইসলামের দুই বিঘা, ২ মে দেয়াড়া ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের সাগর হোসেনের এক বিঘা এবং আরবপুরের জামাত আলীর দুই বিঘা জমির ধান কাটেন আনোয়ার হোসেন বিপুলের টিম। সপ্তাহব্যাপী এই কর্মকান্ডে যুবলীগের শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। ধারাবাহিকভাবে কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর কর্মসূচিতে খুশি সুবিধাভোগীরা। তাদেরই একজন ইছালী ইউনিয়নের হাসিমপুরের কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছি। বিছানা থেকে উঠতে পারছি না। ধান কাটার শ্রমিকের অভাব। আর পাওয়া গেলেও পয়সা দিয়ে ধান কাটার সামর্থ ছিল না। যশোর শহর থেকে এসে যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমার ধান কেটে বাড়িতে এনে দিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ফারুক বিশ্বাস। তিনি বলেন, ধান কাটা নিয়ে সঙ্কটে ছিলাম। যশোর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদকে বিষয়টি বললে যুবলীগের নেতাকর্মীরা এসে আমার ধান কেটে দিয়েছেন। এই ধান কাটা কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নেয়া জাবের হোসেন জাহিদ বলেন, আমাদের নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি আমাদের জানান। আমরা সবাই তার সাথে ধান কাটতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিই। টিমের দলনেতা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন কৃষক দরদী মানুষ। করোনাকালে কৃষক সঙ্কটে পড়লে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের তাদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকও আমাদের কৃষকের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কৃষকের সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি।