যশোরের কেশবপুরে বুড়িভদ্রা নদীর পাড় দখল করে এক মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী মাছের ঘেরের বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসী বাধা দিলেও ওই প্রভাবশালী ঘের মালিক এর কোন কর্ণপাত না করেই এস্কেভেটর দিয়ে গত ৩ দিন ধরে বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি গ্রামের পাশ দিয়ে বুড়িভদ্রা বয়ে গেছে। ওই নদীর পানি দিয়ে আশপাশের কৃষকরা সবজিসহ বোরো আবাদ করে থাকেন। এছাড়া, এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত পাট ওই নদীতে পচন দেয়া হয়ে থাকে। ২ বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই নদীর পুণর্খনন কাজ সম্পন্ন করে। বিদ্যানন্দকাটি গ্রামের কাদের মোড়লের ছেলে প্রভাকশালী ঘের মালিক আব্দুর রশিদ গত ৩ মে থেকে নদীর পাড় দখল করে স্কাভেটর মেশিন দিয়ে মাছের ঘেরের বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু করে। এ সময় এলাকাবাসী বাধা দিলেও এর কোন কর্ণপাত না করেই নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে নদী সঙ্কুচিত হয়ে পানি প্রবাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কাভেটর মেশিন দিয়ে ঘেরের মাটি কেটে ঘেরের বেড়িবাঁধ সংস্কারের নামে নদী ভরাট করা হচ্ছে। বিশাল আকৃতির বুড়িভদ্রা নদী দখল হয়ে এখন খালে পরিণত হয়েছে। এভাবে দখল হতে থাকলে এক সময় ওই নদীর অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে ঘের মালিক আব্দুর রশিদ বলেন, আমি নদী দখল করছি না। শুষ্ক মৌসুমে ঘেরের পাড় এস্কেভেটর দিয়ে সংস্কার করছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা বলেন, নদীর পাড় দখল করলে অবশ্যই তাকে আইনামলে এনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার, ০৭ মে ২০২১ , ২৫ বৈশাখ ১৪২৮ ২৫ রমজান ১৪৪২
প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)
যশোরের কেশবপুরে বুড়িভদ্রা নদীর পাড় দখল করে এক মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী মাছের ঘেরের বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসী বাধা দিলেও ওই প্রভাবশালী ঘের মালিক এর কোন কর্ণপাত না করেই এস্কেভেটর দিয়ে গত ৩ দিন ধরে বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি গ্রামের পাশ দিয়ে বুড়িভদ্রা বয়ে গেছে। ওই নদীর পানি দিয়ে আশপাশের কৃষকরা সবজিসহ বোরো আবাদ করে থাকেন। এছাড়া, এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত পাট ওই নদীতে পচন দেয়া হয়ে থাকে। ২ বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই নদীর পুণর্খনন কাজ সম্পন্ন করে। বিদ্যানন্দকাটি গ্রামের কাদের মোড়লের ছেলে প্রভাকশালী ঘের মালিক আব্দুর রশিদ গত ৩ মে থেকে নদীর পাড় দখল করে স্কাভেটর মেশিন দিয়ে মাছের ঘেরের বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু করে। এ সময় এলাকাবাসী বাধা দিলেও এর কোন কর্ণপাত না করেই নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে নদী সঙ্কুচিত হয়ে পানি প্রবাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কাভেটর মেশিন দিয়ে ঘেরের মাটি কেটে ঘেরের বেড়িবাঁধ সংস্কারের নামে নদী ভরাট করা হচ্ছে। বিশাল আকৃতির বুড়িভদ্রা নদী দখল হয়ে এখন খালে পরিণত হয়েছে। এভাবে দখল হতে থাকলে এক সময় ওই নদীর অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে ঘের মালিক আব্দুর রশিদ বলেন, আমি নদী দখল করছি না। শুষ্ক মৌসুমে ঘেরের পাড় এস্কেভেটর দিয়ে সংস্কার করছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা বলেন, নদীর পাড় দখল করলে অবশ্যই তাকে আইনামলে এনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।