মুলাদীতে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে স্কুলের জমি দখল

মুলাদী পৌরশহরের সরকারি মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোটি টাকা মূল্যের ১৪ শতাংশ জমি স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে দখল করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে সেখানে বালু ভরাট করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ চলছে। প্রকাশ্যে এ দখল কার্যক্রম চললেও রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা জানান, মুলাদী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রবীন রাঢ়ী, সোহাগ রাঢ়ী ও সৈনিক পার্টির নেতা দাবিদার আবদুর রশিদের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের জমি দখল করা হয়েছে। তারা বিদ্যালয়ের জমি দাতা গহর মল্লিকের ওয়ারিশ জনৈক ফজলু মল্লিকের রেকর্ডীয় জমি ক্রয় করেছেন বলে দাবি করেছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার গত বুধবার বিকালে জানান, ভোকেশনাল শিক্ষা ভবন সংলগ্ন ১৪ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন এটা তার জানা ছিলনা। জমির কোন দলিলও তার কাছে ছিলনা।এ কারনে তিনি দখল কার্যক্রমে কোন বাধা দিতে পারেননি। গত বুধবার দুপুরে কোন এক মাধ্যমে তিনি ওই জমির দলিল পান এবং নিশ্চিত হন যে জমিটি সরকারি বিদ্যালয়ের। ভরাট কাজ বন্ধ রাখার জন্য বৃহস্পতিবার দাপ্তরিকভাবে দখলদারদের চিঠি দেবেন। স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, দখল প্রক্রিয়ার সঙ্গে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট এক ভূমি কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন। ওই ভূমি কর্মকর্তার সহযোগিতায় ভুয়া কাগজপত্র তৈরি কধেরছেন দখলদার চক্রটি। মুলাদীর তেরচর গ্রামের প্রয়াত গহর আলী মল্লিক তেরচর মৌজার ৪৯৯ খতিয়ানের ২৮৫৭ নং দাগের ১৪ শতাংশ জমি ১৯৬৫ সালে তৎকালীন মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেন। বর্তমানে এ জমির বাজার মূল্য কোটি টাকারও বেশী। রফিকুল ইসলাম রবীন রাঢ়ী বিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ফজলু মল্লিকের রেকর্ডীয় ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে সেখানে বালু ফেলছেন। তিনি দাবি করেন, বিদ্যালয়ের দাবি করা ১৪ শতাংশ জমি বিদ্যালয় সংলগ্ন কামাল ভূঁইয়াদের বাড়ির জমির মধ্যে রয়েছে। সবপক্ষ কাগজপত্র নিয়ে বসলে এ সমস্যার সমাধান হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, সরকারি মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দলিল সূত্রে ৪ একর ২০ শতাংশ জমি রয়েছে। তবে ৩ একর ৪০ শতাংশ জমির রেকর্ড আছে বিদ্যালয়ের নামে।

শুক্রবার, ০৭ মে ২০২১ , ২৫ বৈশাখ ১৪২৮ ২৫ রমজান ১৪৪২

মুলাদীতে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে স্কুলের জমি দখল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

মুলাদী পৌরশহরের সরকারি মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোটি টাকা মূল্যের ১৪ শতাংশ জমি স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে দখল করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে সেখানে বালু ভরাট করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ চলছে। প্রকাশ্যে এ দখল কার্যক্রম চললেও রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা জানান, মুলাদী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রবীন রাঢ়ী, সোহাগ রাঢ়ী ও সৈনিক পার্টির নেতা দাবিদার আবদুর রশিদের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের জমি দখল করা হয়েছে। তারা বিদ্যালয়ের জমি দাতা গহর মল্লিকের ওয়ারিশ জনৈক ফজলু মল্লিকের রেকর্ডীয় জমি ক্রয় করেছেন বলে দাবি করেছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার গত বুধবার বিকালে জানান, ভোকেশনাল শিক্ষা ভবন সংলগ্ন ১৪ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন এটা তার জানা ছিলনা। জমির কোন দলিলও তার কাছে ছিলনা।এ কারনে তিনি দখল কার্যক্রমে কোন বাধা দিতে পারেননি। গত বুধবার দুপুরে কোন এক মাধ্যমে তিনি ওই জমির দলিল পান এবং নিশ্চিত হন যে জমিটি সরকারি বিদ্যালয়ের। ভরাট কাজ বন্ধ রাখার জন্য বৃহস্পতিবার দাপ্তরিকভাবে দখলদারদের চিঠি দেবেন। স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, দখল প্রক্রিয়ার সঙ্গে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট এক ভূমি কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন। ওই ভূমি কর্মকর্তার সহযোগিতায় ভুয়া কাগজপত্র তৈরি কধেরছেন দখলদার চক্রটি। মুলাদীর তেরচর গ্রামের প্রয়াত গহর আলী মল্লিক তেরচর মৌজার ৪৯৯ খতিয়ানের ২৮৫৭ নং দাগের ১৪ শতাংশ জমি ১৯৬৫ সালে তৎকালীন মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেন। বর্তমানে এ জমির বাজার মূল্য কোটি টাকারও বেশী। রফিকুল ইসলাম রবীন রাঢ়ী বিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ফজলু মল্লিকের রেকর্ডীয় ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে সেখানে বালু ফেলছেন। তিনি দাবি করেন, বিদ্যালয়ের দাবি করা ১৪ শতাংশ জমি বিদ্যালয় সংলগ্ন কামাল ভূঁইয়াদের বাড়ির জমির মধ্যে রয়েছে। সবপক্ষ কাগজপত্র নিয়ে বসলে এ সমস্যার সমাধান হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, সরকারি মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দলিল সূত্রে ৪ একর ২০ শতাংশ জমি রয়েছে। তবে ৩ একর ৪০ শতাংশ জমির রেকর্ড আছে বিদ্যালয়ের নামে।