গ্রাহকের টাকা ব্যবহার করতে পারবে না মোবাইল ব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলো

এখন থেকে গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকা অর্থ ব্যবহার করতে পারবে না মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহকের জমা টাকার পুরোটাই ব্যাংকে ‘ট্রাস্ট ফান্ড’ হিসাবে জমা রাখতে হবে। এ ফান্ডে জমা টাকা কোনভাবেই গ্রাহকের এমএফএস হিসাবে জমা থাকা টাকার চেয়ে কম হতে পারবে না। আর এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের জমা টাকার বিপরীতে ই-মানি ইস্যু করে, তার পরিমাণও কোনভাবেই জমা টাকার বেশি হতে পারবে না।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ট্রাস্ট ফান্ড ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এই নীতিমালা জারি করেছে। নতুন এ নীতিমালার ফলে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকা টাকা নিজেদের প্রয়োজনে আর ব্যবহার করতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নীতিমালাটির নাম দিয়েছে ‘গাইডলাইনস ফর ট্রাস্ট ফান্ড ম্যানেজমেন্ট ইন পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সার্ভিসেস’। এখন থেকে এমএফএস প্রতিষ্ঠান, আইপে, ডি মানি, এসএসএল কমার্সের মতো আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে মেনে চলতে হবে। ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকের জমা টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ব্যবস্থা নিয়েছে।

ব্যাংকের বাইরে এমন প্ল্যাটফর্মে দিন শেষে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা জমা থাকে গ্রাহকের। এর বিপরীতে কেউ কেউ গ্রাহকদের সুদ দিচ্ছে। আর প্রতিষ্ঠানগুলো এই টাকা উচ্চ সুদে কেউ ব্যাংকে আবার কেউ অন্যত্র রাখছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নীতিমালার ফলে গ্রাহকদের জমা টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করতে হবে। এ জন্য তফসিলি যেকোন ব্যাংকে ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট হিসাব খুলতে হবে। এই হিসাবে গ্রাহকের জমা করা পুরো টাকা থাকতে হবে।

এই টাকা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুমোদিত একটি অংশ সরকারি বিল-বন্ড, স্থায়ী আমানতে রাখা যাবে। এই বিনিয়োগ থেকে যে সুদ আসবে, তা প্রতিষ্ঠানগুলো দৈনন্দিন খরচ, সরকারি মাশুল, গ্রাহক সচেতনতা খাতে ব্যবহার করতে পারবে। এই সুদ আয় থেকে গ্রাহকদেরও ভাগ দিতে হবে। ট্রাস্ট ফান্ডের বিপরীতে কেউ সরাসরি ঋণ বা ঋণসুবিধা নিতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানগুলো কোনভাবেই এই টাকা দৈনন্দিন পরিচালনায় খরচ করতে পারবে না। কেউ এই নীতিমালা না মানলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকের গ্রাহকের টাকার সুরক্ষার জন্য যে ব্যবস্থা রয়েছে, অন্য প্ল্যাটফর্মে সেই ব্যবস্থা নেই। এ জন্য এই টাকার যত্রতত্র ব্যবহার নিয়েও অভিযোগ আসছিল। গ্রাহকের টাকা কোথায় রাখতে হবে, এই টাকার ব্যবহার কী হবে, এর মাধ্যমে তা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে কেউ না মানলে ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে মোবাইল ব্যাংকিংকে লেনদেনের সহজ মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন জনগণ। ফলে এই মাধ্যমে গ্রাহকসংখ্যা ও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েই চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছে ৪৯ হাজার ১২১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ দৈনিক গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ৩৭ হাজার টাকা। এক মাস আগেও দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেয়া হচ্ছে। ব্যাংক থেকে মোবাইলে ও মোবাইল থেকে ব্যাংকেও লেনদেন করা যাচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা এবং লেনদেনের পরিমাণ বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এমএফএসের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে ১৬টি ব্যাংক। গত বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৪৮ জন, যা মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেকেরও বেশি। গ্রাহক সংখ্যার সঙ্গে সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যাও বেড়েছে। এই মাসে এমএফএস সক্রিয় গ্রাহক গত মাসের চেয়ে ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১০ লাখ ৩৫ জন। আর এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ১৭ হাজার ৫৫ জনে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বরে এমএফএসে রেমিট্যান্স সংগ্রহ বেড়েছে ৫ শতাংশ। এ সময় রেমিট্যান্স এসেছে ১১০ কোটি ১০ লাখ টাকা। ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে ১৪ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বিতরণ ৮৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকায়। বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৯৩৭ কোটি টাকা। কেনাকাটার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ১ হাজার ২৯২ কোটি টাকা।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে এই সেবার যাত্রা শুরু হয়। এর পর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ।

শনিবার, ০৮ মে ২০২১ , ২৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৬ রমজান ১৪৪২

গ্রাহকের টাকা ব্যবহার করতে পারবে না মোবাইল ব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলো

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

এখন থেকে গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকা অর্থ ব্যবহার করতে পারবে না মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহকের জমা টাকার পুরোটাই ব্যাংকে ‘ট্রাস্ট ফান্ড’ হিসাবে জমা রাখতে হবে। এ ফান্ডে জমা টাকা কোনভাবেই গ্রাহকের এমএফএস হিসাবে জমা থাকা টাকার চেয়ে কম হতে পারবে না। আর এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের জমা টাকার বিপরীতে ই-মানি ইস্যু করে, তার পরিমাণও কোনভাবেই জমা টাকার বেশি হতে পারবে না।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ট্রাস্ট ফান্ড ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এই নীতিমালা জারি করেছে। নতুন এ নীতিমালার ফলে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকা টাকা নিজেদের প্রয়োজনে আর ব্যবহার করতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নীতিমালাটির নাম দিয়েছে ‘গাইডলাইনস ফর ট্রাস্ট ফান্ড ম্যানেজমেন্ট ইন পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সার্ভিসেস’। এখন থেকে এমএফএস প্রতিষ্ঠান, আইপে, ডি মানি, এসএসএল কমার্সের মতো আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে মেনে চলতে হবে। ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকের জমা টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ব্যবস্থা নিয়েছে।

ব্যাংকের বাইরে এমন প্ল্যাটফর্মে দিন শেষে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা জমা থাকে গ্রাহকের। এর বিপরীতে কেউ কেউ গ্রাহকদের সুদ দিচ্ছে। আর প্রতিষ্ঠানগুলো এই টাকা উচ্চ সুদে কেউ ব্যাংকে আবার কেউ অন্যত্র রাখছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নীতিমালার ফলে গ্রাহকদের জমা টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করতে হবে। এ জন্য তফসিলি যেকোন ব্যাংকে ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট হিসাব খুলতে হবে। এই হিসাবে গ্রাহকের জমা করা পুরো টাকা থাকতে হবে।

এই টাকা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুমোদিত একটি অংশ সরকারি বিল-বন্ড, স্থায়ী আমানতে রাখা যাবে। এই বিনিয়োগ থেকে যে সুদ আসবে, তা প্রতিষ্ঠানগুলো দৈনন্দিন খরচ, সরকারি মাশুল, গ্রাহক সচেতনতা খাতে ব্যবহার করতে পারবে। এই সুদ আয় থেকে গ্রাহকদেরও ভাগ দিতে হবে। ট্রাস্ট ফান্ডের বিপরীতে কেউ সরাসরি ঋণ বা ঋণসুবিধা নিতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানগুলো কোনভাবেই এই টাকা দৈনন্দিন পরিচালনায় খরচ করতে পারবে না। কেউ এই নীতিমালা না মানলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকের গ্রাহকের টাকার সুরক্ষার জন্য যে ব্যবস্থা রয়েছে, অন্য প্ল্যাটফর্মে সেই ব্যবস্থা নেই। এ জন্য এই টাকার যত্রতত্র ব্যবহার নিয়েও অভিযোগ আসছিল। গ্রাহকের টাকা কোথায় রাখতে হবে, এই টাকার ব্যবহার কী হবে, এর মাধ্যমে তা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে কেউ না মানলে ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে মোবাইল ব্যাংকিংকে লেনদেনের সহজ মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন জনগণ। ফলে এই মাধ্যমে গ্রাহকসংখ্যা ও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েই চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছে ৪৯ হাজার ১২১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ দৈনিক গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ৩৭ হাজার টাকা। এক মাস আগেও দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেয়া হচ্ছে। ব্যাংক থেকে মোবাইলে ও মোবাইল থেকে ব্যাংকেও লেনদেন করা যাচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা এবং লেনদেনের পরিমাণ বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এমএফএসের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে ১৬টি ব্যাংক। গত বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৪৮ জন, যা মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেকেরও বেশি। গ্রাহক সংখ্যার সঙ্গে সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যাও বেড়েছে। এই মাসে এমএফএস সক্রিয় গ্রাহক গত মাসের চেয়ে ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১০ লাখ ৩৫ জন। আর এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ১৭ হাজার ৫৫ জনে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বরে এমএফএসে রেমিট্যান্স সংগ্রহ বেড়েছে ৫ শতাংশ। এ সময় রেমিট্যান্স এসেছে ১১০ কোটি ১০ লাখ টাকা। ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে ১৪ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বিতরণ ৮৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকায়। বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৯৩৭ কোটি টাকা। কেনাকাটার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ১ হাজার ২৯২ কোটি টাকা।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে এই সেবার যাত্রা শুরু হয়। এর পর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ।