তীব্র দাবদাহে লিচুর ফলনে বিপর্যয়

কুষ্টিয়ার খোকসায় তীব্র তাপদাহে লিচু ফলনে বিপর্যয় ঘটেছে। ফলে ক্ষতির মুখে পরেছে লিচুর বাগান ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছে, চলতি মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলার গোপগ্রাম, সাতপখিয়া, বড়ই চারা, বসোয়া, দশকাহুনিয়া, মানিকাট গ্রামের লিচু বাগানগুলোতে প্রচুর লিচুর গুটি দেখা দেয়। কয়েকমাস বৃষ্টির দেখা না মেলায় লিচুর গুটি ঝড়ে যায়। ফল রক্ষায় কৃষকরা প্রথমদিকে বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক ও বাগানে পানি সেচ দিতে থাকে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। বাগানগুলোর অধিকাংশ গাছ এখন ফল শূন্য হয়ে পরেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি উৎপাদন মৌসুম পর্যন্ত উপজেলায় প্রায় ১০৩ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ হয়েছে।

গোপগ্রাম ইউনিয়নের লিচুর বাগান মালিক তৌহিদুর রহমান রাজু জানান, যখন লিচু গাছে মুকুল আসে তখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিটি গাছে প্রচুর ফল ছিল। অনাবৃষ্টি ও প্রচ- তাপদাহে লিচু গাছের ফল ঝরে পড়েছে। তাদের ২০ বিঘা জমির ওপর তার লিচু বাগান রয়েছে। বাগানে প্রায় ৫শ’ টি গাছ আছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৫-১৬টা গাছে লিচু রক্ষা করতে পেরেছেন। বিগত বছরের তাদের বাগান থেকে প্রায় তিন সাড়ে তিন লাখ টাকার লিচু বিক্রি করা হয়েছিল। এ বছর সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকার ফল বিক্রি হবে কী না তা নিয়ে তাদের শঙ্কা রয়েছে। একই গ্রামের কৃষানি রোজিনা খাতুন হতাশ তার লিচু বাগানে ফল না আশায়।

লিচুর বাগান ব্যবসায়ী হারেজ আলী জানান, ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় তিনি দশকাহুনিয়া গ্রামে একটি লিচুর বাগান ইজারা নিয়েছিলেন। প্রথম দিকে তার বাগানে প্রচুর ফল ছিল। কিন্তু চরম তাপদাহে তার বাগানে ৬৮টি গাছের একটি তেও ফল নেই। মালিক বায়নার টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা জানান, লিচুর ফলনে বিপর্যয় হয়নি এখনো চলমান রয়েছে। প্রচ- খরার ফলে কিছু ফলন নষ্ট হতে পারে। তবে এবারে লিচু লক্ষ্যমাত্রার থেকে অধিক আবাদ হয়েছে।

শনিবার, ০৮ মে ২০২১ , ২৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৬ রমজান ১৪৪২

তীব্র দাবদাহে লিচুর ফলনে বিপর্যয়

প্রতিনিধি, খোকসা (কুষ্টিয়া)

image

কুষ্টিয়ার খোকসায় তীব্র তাপদাহে লিচু ফলনে বিপর্যয় ঘটেছে। ফলে ক্ষতির মুখে পরেছে লিচুর বাগান ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছে, চলতি মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলার গোপগ্রাম, সাতপখিয়া, বড়ই চারা, বসোয়া, দশকাহুনিয়া, মানিকাট গ্রামের লিচু বাগানগুলোতে প্রচুর লিচুর গুটি দেখা দেয়। কয়েকমাস বৃষ্টির দেখা না মেলায় লিচুর গুটি ঝড়ে যায়। ফল রক্ষায় কৃষকরা প্রথমদিকে বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক ও বাগানে পানি সেচ দিতে থাকে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। বাগানগুলোর অধিকাংশ গাছ এখন ফল শূন্য হয়ে পরেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি উৎপাদন মৌসুম পর্যন্ত উপজেলায় প্রায় ১০৩ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ হয়েছে।

গোপগ্রাম ইউনিয়নের লিচুর বাগান মালিক তৌহিদুর রহমান রাজু জানান, যখন লিচু গাছে মুকুল আসে তখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিটি গাছে প্রচুর ফল ছিল। অনাবৃষ্টি ও প্রচ- তাপদাহে লিচু গাছের ফল ঝরে পড়েছে। তাদের ২০ বিঘা জমির ওপর তার লিচু বাগান রয়েছে। বাগানে প্রায় ৫শ’ টি গাছ আছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৫-১৬টা গাছে লিচু রক্ষা করতে পেরেছেন। বিগত বছরের তাদের বাগান থেকে প্রায় তিন সাড়ে তিন লাখ টাকার লিচু বিক্রি করা হয়েছিল। এ বছর সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকার ফল বিক্রি হবে কী না তা নিয়ে তাদের শঙ্কা রয়েছে। একই গ্রামের কৃষানি রোজিনা খাতুন হতাশ তার লিচু বাগানে ফল না আশায়।

লিচুর বাগান ব্যবসায়ী হারেজ আলী জানান, ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় তিনি দশকাহুনিয়া গ্রামে একটি লিচুর বাগান ইজারা নিয়েছিলেন। প্রথম দিকে তার বাগানে প্রচুর ফল ছিল। কিন্তু চরম তাপদাহে তার বাগানে ৬৮টি গাছের একটি তেও ফল নেই। মালিক বায়নার টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা জানান, লিচুর ফলনে বিপর্যয় হয়নি এখনো চলমান রয়েছে। প্রচ- খরার ফলে কিছু ফলন নষ্ট হতে পারে। তবে এবারে লিচু লক্ষ্যমাত্রার থেকে অধিক আবাদ হয়েছে।