চট্টগ্রামে হেফাজত নেতা নোমান ফয়েজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা

জব্দ করা মোবাইল ফোনে কথোপকথনে আরও তথ্য পাওয়া গেছে : পুলিশ

হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন চট্টগ্রামের এক নারী। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবদুল্লাহ আল মাসুম জানান, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাটহাজারী থানায় ওই মামলা দায়ের করা হয়। তিনি বলেন, নোমান ফয়েজী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৯ সাল থেকে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিন্তু বিয়ে না করে তার সঙ্গে প্রতারণা করায় ওই নারী ধর্ষণের মামলাটি করেছেন।

বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বলা হয়েছে, যদি কোন পুরুষ বিয়ে না করে ষোল বছরের বেশি বয়সী কোন নারীর সঙ্গে তার সম্মতি ছাড়া অথবা ভয় দেখিয়ে বা প্রতারণামূলকভাবে সম্মতি আদায় করেন, অথবা ষোল বছরের কম বয়সী কোন নারীর সঙ্গে তার সম্মতিতে বা সম্মতি ছাড়া যৌন সঙ্গম করেন, তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে। হাটহাজারীর সাম্প্রতিক সহিংসতার মামলায় নোমান ফয়েজীকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। ওই মামলায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

ধর্ষণ মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফেইসবুকের মাধ্যমে ওই নারীর সঙ্গে জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর পরিচয় হয়। পরে ফেইসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসআপের আলাপ জমিয়ে ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হাটহাজারীতে নিয়ে যান এই হেফাজত নেতা। মামলার বাদী বলছেন, ওই বছরের নভেম্বরে হাটহাজারীতে একটি বাসা ভাড়া করে সেখানে তাকে রাখেন নোমান ফয়েজী। সেখানে বিভিন্ন সময়ে নোমান ফয়েজী তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন।

প্রায় এক বছর ওই নারী হাটহাজারী থেকে চট্টগ্রাম শহরে তার খালার বাসায় চলে যান। তখনও নোমান ফয়েজী ফুসলিয়ে বিভিন্ন বাসা ও হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন বাদী। চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কাওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজত ইসলামের নেতা জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর একাধিক বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলেছিলেন।

গ্রেপ্তারের পর জাকারিয়া নোমানের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোন থেকে বেশ কিছু লিখিত কথোপকথন পুলিশ জব্দ করেছে, যেগুলো মামলার আলামত হিসেবে আদালতে জমা দেয়া হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি (নোমান ফয়েজী) আমাদের কাছেও স্বীকার করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমি তাকে বলেছি আপনি যে বেশভূষা নিয়ে চলেন এবং আপনার যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য, সেগুলোর সঙ্গে এসব যায় কিনা এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

শনিবার, ০৮ মে ২০২১ , ২৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৬ রমজান ১৪৪২

চট্টগ্রামে হেফাজত নেতা নোমান ফয়েজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা

জব্দ করা মোবাইল ফোনে কথোপকথনে আরও তথ্য পাওয়া গেছে : পুলিশ

প্রতিনিধি, হাটহাজারী/ চট্টগ্রাম

হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন চট্টগ্রামের এক নারী। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবদুল্লাহ আল মাসুম জানান, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাটহাজারী থানায় ওই মামলা দায়ের করা হয়। তিনি বলেন, নোমান ফয়েজী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৯ সাল থেকে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিন্তু বিয়ে না করে তার সঙ্গে প্রতারণা করায় ওই নারী ধর্ষণের মামলাটি করেছেন।

বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বলা হয়েছে, যদি কোন পুরুষ বিয়ে না করে ষোল বছরের বেশি বয়সী কোন নারীর সঙ্গে তার সম্মতি ছাড়া অথবা ভয় দেখিয়ে বা প্রতারণামূলকভাবে সম্মতি আদায় করেন, অথবা ষোল বছরের কম বয়সী কোন নারীর সঙ্গে তার সম্মতিতে বা সম্মতি ছাড়া যৌন সঙ্গম করেন, তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে। হাটহাজারীর সাম্প্রতিক সহিংসতার মামলায় নোমান ফয়েজীকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। ওই মামলায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

ধর্ষণ মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফেইসবুকের মাধ্যমে ওই নারীর সঙ্গে জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর পরিচয় হয়। পরে ফেইসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসআপের আলাপ জমিয়ে ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হাটহাজারীতে নিয়ে যান এই হেফাজত নেতা। মামলার বাদী বলছেন, ওই বছরের নভেম্বরে হাটহাজারীতে একটি বাসা ভাড়া করে সেখানে তাকে রাখেন নোমান ফয়েজী। সেখানে বিভিন্ন সময়ে নোমান ফয়েজী তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন।

প্রায় এক বছর ওই নারী হাটহাজারী থেকে চট্টগ্রাম শহরে তার খালার বাসায় চলে যান। তখনও নোমান ফয়েজী ফুসলিয়ে বিভিন্ন বাসা ও হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন বাদী। চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কাওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজত ইসলামের নেতা জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর একাধিক বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলেছিলেন।

গ্রেপ্তারের পর জাকারিয়া নোমানের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোন থেকে বেশ কিছু লিখিত কথোপকথন পুলিশ জব্দ করেছে, যেগুলো মামলার আলামত হিসেবে আদালতে জমা দেয়া হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি (নোমান ফয়েজী) আমাদের কাছেও স্বীকার করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমি তাকে বলেছি আপনি যে বেশভূষা নিয়ে চলেন এবং আপনার যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য, সেগুলোর সঙ্গে এসব যায় কিনা এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।