আফগানিস্তানে নতুন সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সেনা প্রত্যাহার শুরু করার পর আফগানিস্তানে অতিরিক্ত সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র। সেনা প্রত্যাহারের পর দেশটিতে থেকে যাওয়া আমেরিকান ও জোট শক্তির সুরক্ষায় এসব সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। সেনা সদস্য এবং বেসামরিক কন্ট্রাক্টরদের রক্ষায় মোতায়েন করা হচ্ছে বোমারু এবং যুদ্ধবিমান। বিবিসি

প্রায় ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো জোটের সেনা সদস্য।

সম্প্রতি আফগানিস্তান যুদ্ধে ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, ৯/১১ হামলার দুই দশকপূর্তির আগেই আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মিলে জানান, আফগানিস্তানে ১৬ হাজার বেসামরিক কন্ট্রাক্টর এবং যৌথবাহিনীর সুরক্ষায় দেশটিতে ছয়টি দীর্ঘ পাল্লার বি-৫২ বোমারু বিমান এবং ১২টি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হচ্ছে।

জেনারেল মিলে আরও জানান, তালেবান বিদ্রোহীরা আফগান সরকারি বাহিনীকে লক্ষ্য করে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১২০টি হামলা চালাচ্ছে। তবে গত ১ মে থেকে প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর মার্কিন এবং জোট বাহিনীর ওপর কোন হামলা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার পরিকল্পনা অনুযায়ীই চলছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে তারা আন্তর্জাতিক বাহিনীর ওপর হামলা বন্ধ রাখতে এখন আর চুক্তিবদ্ধ নেই।

গত বছর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে তাদের স্বাক্ষরিত এক চুক্তিতে এই বছরের ১ মে’র মধ্যে মার্কিন বাহিনীর আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এই সময় পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাহিনীর ওপর হামলা বন্ধ রাখে তালেবান।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে আল-কায়েদার ভয়াবহ হামলার পর আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করে মার্কিন বাহিনী। পাঠানো হয় হাজার হাজার সেনা।

দীর্ঘ ১৯ বছর পর পরিস্থিতি অনেকটা পরিবর্তন হওয়ায় এর মধ্যেই কয়েক ধাপে দেশটি থেকে সেনা সরিয়ে নেয়।

শনিবার, ০৮ মে ২০২১ , ২৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৬ রমজান ১৪৪২

আফগানিস্তানে নতুন সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সেনা প্রত্যাহার শুরু করার পর আফগানিস্তানে অতিরিক্ত সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র। সেনা প্রত্যাহারের পর দেশটিতে থেকে যাওয়া আমেরিকান ও জোট শক্তির সুরক্ষায় এসব সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। সেনা সদস্য এবং বেসামরিক কন্ট্রাক্টরদের রক্ষায় মোতায়েন করা হচ্ছে বোমারু এবং যুদ্ধবিমান। বিবিসি

প্রায় ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো জোটের সেনা সদস্য।

সম্প্রতি আফগানিস্তান যুদ্ধে ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, ৯/১১ হামলার দুই দশকপূর্তির আগেই আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মিলে জানান, আফগানিস্তানে ১৬ হাজার বেসামরিক কন্ট্রাক্টর এবং যৌথবাহিনীর সুরক্ষায় দেশটিতে ছয়টি দীর্ঘ পাল্লার বি-৫২ বোমারু বিমান এবং ১২টি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হচ্ছে।

জেনারেল মিলে আরও জানান, তালেবান বিদ্রোহীরা আফগান সরকারি বাহিনীকে লক্ষ্য করে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১২০টি হামলা চালাচ্ছে। তবে গত ১ মে থেকে প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর মার্কিন এবং জোট বাহিনীর ওপর কোন হামলা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার পরিকল্পনা অনুযায়ীই চলছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে তারা আন্তর্জাতিক বাহিনীর ওপর হামলা বন্ধ রাখতে এখন আর চুক্তিবদ্ধ নেই।

গত বছর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে তাদের স্বাক্ষরিত এক চুক্তিতে এই বছরের ১ মে’র মধ্যে মার্কিন বাহিনীর আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এই সময় পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাহিনীর ওপর হামলা বন্ধ রাখে তালেবান।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে আল-কায়েদার ভয়াবহ হামলার পর আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করে মার্কিন বাহিনী। পাঠানো হয় হাজার হাজার সেনা।

দীর্ঘ ১৯ বছর পর পরিস্থিতি অনেকটা পরিবর্তন হওয়ায় এর মধ্যেই কয়েক ধাপে দেশটি থেকে সেনা সরিয়ে নেয়।