লকডাউনের ১৮ কর্মদিবসে জামিন পেলেন ৩১,২০৮ হাজতি

সারাদেশে অধস্তন আদালতগুলোতে করোনা সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে মোট ১৮ কার্যদিবসে ৫৮ হাজার ৬০৫টি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানি হলো। এ সময় জামিনে মুক্তি পেলেন ৩১ হাজার ২০৮ জন হাজতি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ৩৬৩৬টি আবেদনের ওপর ভার্চুয়াল শুনানি ও নিষ্পত্তি করে ১৯১৭ জন হাজতিকে জামিন দেয় আদালত। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, চলমান লকডাউনে সারাদেশে অধঃস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন এবং অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তের ওপর শুনানি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সারাদেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে ৩৬৩৬টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ১৯১৭ জন হাজতি অভিযুক্ত আসামিকে জামিন দেয়া হয়েছে।

এর আগে দ্বিতীয় দফায় ভার্চুয়াল আদালতের প্রথম দিনে সারাদেশে অধস্তন আদালতসমূহে ১৬০৪ জন, দ্বিতীয় দিনে ৩২৪০ জন, তৃতীয় দিনে ২৩৬০ জন, চতুর্থ দিনে ১৮৪২ জন, পঞ্চম দিনে ১৬৩৫ জন, ষষ্ঠ দিনে ১৫৭৬ জন, সপ্তম দিনে ১৩৪৯ জন, অষ্টম দিনে ১৫৯২ জন, নবম দিনে ১৮৩৯ জন, দশম দিনে ১৫৯৩ জন, ১১তম দিনে ১৩৯৫ জন, ১২তম দিনে ১৪২২ জন, ১৩তম দিনে ১৪১২ জন, ১৪তম দিনে ১৭২১ জন, ১৫তম দিনে ১৭১৪ জন, ১৬তম দিনে ১৫৩৬ জন এবং ১৭তম দিনে ১৪৪৭ জন আসামিকে জামিন দেয়া হয়। সবমিলিয়ে সর্বমোট ১৮ কার্যদিবসে ৫৮ হাজার ৬০৫টি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে মোট ৩১ হাজার ২০৮ জন হাজতি কারামুক্ত হয়েছেন। এ সময়ে জামিনপ্রাপ্ত শিশুর সংখ্যা ৪২২ জন।

এর আগে ভার্চুয়াল আদালত শুরু হওয়ার পর প্রথম দফায় ২০২০ সালের ১১ মে থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৫৮ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে মোট এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৯টি ফৌজদারি মামলায় জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয় এবং ৭২ হাজার ২২৯ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির (শিশুসহ) জামিন মঞ্জুর করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে- করোনার বিস্তার রোধে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

শনিবার, ০৮ মে ২০২১ , ২৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৬ রমজান ১৪৪২

লকডাউনের ১৮ কর্মদিবসে জামিন পেলেন ৩১,২০৮ হাজতি

আদালত বার্তা পরিবেশক

সারাদেশে অধস্তন আদালতগুলোতে করোনা সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে মোট ১৮ কার্যদিবসে ৫৮ হাজার ৬০৫টি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানি হলো। এ সময় জামিনে মুক্তি পেলেন ৩১ হাজার ২০৮ জন হাজতি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ৩৬৩৬টি আবেদনের ওপর ভার্চুয়াল শুনানি ও নিষ্পত্তি করে ১৯১৭ জন হাজতিকে জামিন দেয় আদালত। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, চলমান লকডাউনে সারাদেশে অধঃস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন এবং অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তের ওপর শুনানি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সারাদেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে ৩৬৩৬টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ১৯১৭ জন হাজতি অভিযুক্ত আসামিকে জামিন দেয়া হয়েছে।

এর আগে দ্বিতীয় দফায় ভার্চুয়াল আদালতের প্রথম দিনে সারাদেশে অধস্তন আদালতসমূহে ১৬০৪ জন, দ্বিতীয় দিনে ৩২৪০ জন, তৃতীয় দিনে ২৩৬০ জন, চতুর্থ দিনে ১৮৪২ জন, পঞ্চম দিনে ১৬৩৫ জন, ষষ্ঠ দিনে ১৫৭৬ জন, সপ্তম দিনে ১৩৪৯ জন, অষ্টম দিনে ১৫৯২ জন, নবম দিনে ১৮৩৯ জন, দশম দিনে ১৫৯৩ জন, ১১তম দিনে ১৩৯৫ জন, ১২তম দিনে ১৪২২ জন, ১৩তম দিনে ১৪১২ জন, ১৪তম দিনে ১৭২১ জন, ১৫তম দিনে ১৭১৪ জন, ১৬তম দিনে ১৫৩৬ জন এবং ১৭তম দিনে ১৪৪৭ জন আসামিকে জামিন দেয়া হয়। সবমিলিয়ে সর্বমোট ১৮ কার্যদিবসে ৫৮ হাজার ৬০৫টি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে মোট ৩১ হাজার ২০৮ জন হাজতি কারামুক্ত হয়েছেন। এ সময়ে জামিনপ্রাপ্ত শিশুর সংখ্যা ৪২২ জন।

এর আগে ভার্চুয়াল আদালত শুরু হওয়ার পর প্রথম দফায় ২০২০ সালের ১১ মে থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৫৮ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে মোট এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৯টি ফৌজদারি মামলায় জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয় এবং ৭২ হাজার ২২৯ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির (শিশুসহ) জামিন মঞ্জুর করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে- করোনার বিস্তার রোধে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।