ঈদের আগে বকেয়া পরিশোধের দাবি শ্রমিকদের

ঈদুল ফিতরের আগে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সব শ্রমিকের বকেয়া মজুরি ও বোনাস দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ। একইসঙ্গে বন্ধ পাটকল ও চিনিকল শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধেরও দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

সমাবেশে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সহ-সভাপতি মো. খলিলুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য আতিকুল ইসলাম টিটো, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি শ্যামল কুমার ভৌমিক, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহ আলম ভূইয়া, বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ, বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আখতারুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত লকডাউনের সুযোগে মালিকদের অবহেলার কারণে শ্রমিকরা মজুরি-বোনাস নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে। পাশাপাশি চলছে ছাঁটাই ও লে-অফের যন্ত্রণা। সরকারের প্রণোদনা নিয়েও শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে নানারকম টালবাহানা করছেন অনেক গার্মেন্টস মালিক। গত বছর গার্মেন্টস মালিকরা শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের জন্য সরকারের কাছ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা আদায় করেও সব শ্রমিকদের পূর্ণমজুরি ও বোনাস পরিশোধ করেনি। গার্মেন্টস শিল্প রক্ষার নামে মূলত লগ্নিপুঁজির স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি অনুকূল্যে গার্মেন্টস গত বছরও বন্ধ ছিল না। আর এ বছর গার্মেন্টস ছিল লকডাউনের আওতামুক্ত।

শনিবার, ০৮ মে ২০২১ , ২৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৬ রমজান ১৪৪২

ঈদের আগে বকেয়া পরিশোধের দাবি শ্রমিকদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ঈদুল ফিতরের আগে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সব শ্রমিকের বকেয়া মজুরি ও বোনাস দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ। একইসঙ্গে বন্ধ পাটকল ও চিনিকল শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধেরও দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

সমাবেশে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সহ-সভাপতি মো. খলিলুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য আতিকুল ইসলাম টিটো, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি শ্যামল কুমার ভৌমিক, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহ আলম ভূইয়া, বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ, বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আখতারুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত লকডাউনের সুযোগে মালিকদের অবহেলার কারণে শ্রমিকরা মজুরি-বোনাস নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে। পাশাপাশি চলছে ছাঁটাই ও লে-অফের যন্ত্রণা। সরকারের প্রণোদনা নিয়েও শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে নানারকম টালবাহানা করছেন অনেক গার্মেন্টস মালিক। গত বছর গার্মেন্টস মালিকরা শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের জন্য সরকারের কাছ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা আদায় করেও সব শ্রমিকদের পূর্ণমজুরি ও বোনাস পরিশোধ করেনি। গার্মেন্টস শিল্প রক্ষার নামে মূলত লগ্নিপুঁজির স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি অনুকূল্যে গার্মেন্টস গত বছরও বন্ধ ছিল না। আর এ বছর গার্মেন্টস ছিল লকডাউনের আওতামুক্ত।