৩৭০ জনের চোখে আলো মুক্তিযোদ্ধার

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোর্দ্দমেগচামী গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা খায়রুল বাশার খান। তিনি একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। অস্ত্র হাতে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। এখন সমাজসেবার ব্রত নিয়ে মানুষের সেবা করে চলেছেন। তার বদৌলতে চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন ৩৭০জন দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষ। ঈদকে সামনে রেখে উপলক্ষে শুক্রবার রাতে ১০জন দারিদ্র ও অসহায় মানুষের নিজের অর্থায়নে চোখের ছানি অপারেশন করেছেন।

সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ইতিমধ্যে পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পদক, মহাত্ম্যা গান্ধী পুরস্কার, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্বর্ণপদকসহ পাঁচটি পুরস্কার। ব্যক্তিজীবনে এক মেয়ে ও এক ছেলের জনক খায়রুল বাশার খান ১৯৮০ সালের ১ জুন আনসার বাহিনীতে যোগ দেন। এখন অবসর জীবন-যাপন করছেন। বিশেষ করে যাদের চোখে ছানি পড়েছে। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না এমন লোকজনকে খুঁজে বের করে ছানি অপারেশন করান নিজ খরচে। অবশ্য তাকে এ-কাজে সহযোগিতা করেন তার জামাতা খন্দকার শামীম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তাকে একটু ছাড় দেন। তা ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষকেও সাধ্যমতো সাহায্য করেন তিনি। জটিল রোগে যারা আক্রান্ত, তাদের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তাও দেন খায়রুল বাশার খান।

খায়রুল বাশার খান বলেন, টাকার অভাবে একজন মানুষ ধীরে ধীরে চোখের আলো হারিয়ে ফেলবে, এটা হতে পারে না। তাই তিনি মানুষকে সহায়তা করেন। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর এখন পুরোপুরি সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। সমাজসেবাতেই তার আনন্দ। যতদিন বেচে থাকবেন এ সেবা প্রদান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন।

রবিবার, ০৯ মে ২০২১ , ২৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৬ রমজান ১৪৪২

৩৭০ জনের চোখে আলো মুক্তিযোদ্ধার

প্রতিনিধি, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী)

image

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোর্দ্দমেগচামী গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা খায়রুল বাশার খান। তিনি একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। অস্ত্র হাতে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। এখন সমাজসেবার ব্রত নিয়ে মানুষের সেবা করে চলেছেন। তার বদৌলতে চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন ৩৭০জন দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষ। ঈদকে সামনে রেখে উপলক্ষে শুক্রবার রাতে ১০জন দারিদ্র ও অসহায় মানুষের নিজের অর্থায়নে চোখের ছানি অপারেশন করেছেন।

সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ইতিমধ্যে পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পদক, মহাত্ম্যা গান্ধী পুরস্কার, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্বর্ণপদকসহ পাঁচটি পুরস্কার। ব্যক্তিজীবনে এক মেয়ে ও এক ছেলের জনক খায়রুল বাশার খান ১৯৮০ সালের ১ জুন আনসার বাহিনীতে যোগ দেন। এখন অবসর জীবন-যাপন করছেন। বিশেষ করে যাদের চোখে ছানি পড়েছে। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না এমন লোকজনকে খুঁজে বের করে ছানি অপারেশন করান নিজ খরচে। অবশ্য তাকে এ-কাজে সহযোগিতা করেন তার জামাতা খন্দকার শামীম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তাকে একটু ছাড় দেন। তা ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষকেও সাধ্যমতো সাহায্য করেন তিনি। জটিল রোগে যারা আক্রান্ত, তাদের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তাও দেন খায়রুল বাশার খান।

খায়রুল বাশার খান বলেন, টাকার অভাবে একজন মানুষ ধীরে ধীরে চোখের আলো হারিয়ে ফেলবে, এটা হতে পারে না। তাই তিনি মানুষকে সহায়তা করেন। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর এখন পুরোপুরি সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। সমাজসেবাতেই তার আনন্দ। যতদিন বেচে থাকবেন এ সেবা প্রদান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন।