করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন দেশের ৩৪ লক্ষাধিক মানুষ

দেশে ৩৪ লাখ ১ হাজার ৫৩১ জন করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ২১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫ এবং নারী ১২ লাখ ৮ হাজার ৪৮৬ জন। এদিকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৬ জন। এর মধ্যে ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৯২৭ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯২৯। আর টিকা মজুদ আছে ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৩ ডোজ। এছাড়া এ পর্যন্ত ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৮৮ হাজার ১০৭ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৫৪ হাজার ৮৭২ এবং নারী ৩৩ হাজার ২৩৫ জন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ জন। এরা দুইজনই নারী। এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১১ লাখ ২২ হাজার ৮৫২ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ২৭ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৭ হাজার ৯৭৪ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ২০ হাজার ৩ জন।

ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৮ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭ লাখ ১২ হাজার ৩৪৭ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ১৫১ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৩৯ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৫ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ১ হাজার ৫০৯ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৩১ হাজার ২৩৮ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮২০ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ৫১ হাজার ৩৪৫ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৮৯৮ জন, প্রথম ডোজ ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাসের চলমান টিকা কর্মসূচিতে ঘাটতি থাকায় দ্বিতীয় ডোজের টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে আট সপ্তাহের পরিবর্তে ১২ সপ্তাহের মধ্যেও টিকা নেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এক জরুরি ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ডা. মীরজাদী বলেন, সংকটের কারণে আমরা প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। সেই টিকা (যুক্তরাষ্ট্রের) আসার পর প্রথম ডোজ দেয়া হবে। ফ্লোরা বলেন, এ মাসের শেষের দিকে ফাইজার থেকে এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আসবে। সেই টিকা দিয়েই আমারা প্রথম ডোজ শুরু করব। এই টিকা থেকে অর্ধেক দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য রেখে দেয়া হবে। আমাদের টিকা কার্যক্রম এভাবেই চলবে।

রবিবার, ০৯ মে ২০২১ , ২৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৬ রমজান ১৪৪২

করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন দেশের ৩৪ লক্ষাধিক মানুষ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

দেশে ৩৪ লাখ ১ হাজার ৫৩১ জন করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ২১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫ এবং নারী ১২ লাখ ৮ হাজার ৪৮৬ জন। এদিকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৬ জন। এর মধ্যে ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৯২৭ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯২৯। আর টিকা মজুদ আছে ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৩ ডোজ। এছাড়া এ পর্যন্ত ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৮৮ হাজার ১০৭ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৫৪ হাজার ৮৭২ এবং নারী ৩৩ হাজার ২৩৫ জন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ জন। এরা দুইজনই নারী। এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১১ লাখ ২২ হাজার ৮৫২ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ২৭ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৭ হাজার ৯৭৪ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ২০ হাজার ৩ জন।

ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৮ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭ লাখ ১২ হাজার ৩৪৭ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ১৫১ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৩৯ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৫ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ১ হাজার ৫০৯ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৩১ হাজার ২৩৮ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮২০ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ৫১ হাজার ৩৪৫ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৮৯৮ জন, প্রথম ডোজ ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাসের চলমান টিকা কর্মসূচিতে ঘাটতি থাকায় দ্বিতীয় ডোজের টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে আট সপ্তাহের পরিবর্তে ১২ সপ্তাহের মধ্যেও টিকা নেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এক জরুরি ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ডা. মীরজাদী বলেন, সংকটের কারণে আমরা প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। সেই টিকা (যুক্তরাষ্ট্রের) আসার পর প্রথম ডোজ দেয়া হবে। ফ্লোরা বলেন, এ মাসের শেষের দিকে ফাইজার থেকে এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আসবে। সেই টিকা দিয়েই আমারা প্রথম ডোজ শুরু করব। এই টিকা থেকে অর্ধেক দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য রেখে দেয়া হবে। আমাদের টিকা কার্যক্রম এভাবেই চলবে।