নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন মমতার

বিধানসভার বৈঠক বর্জন বিজেপির

বিধানসভায় নবনির্বাচিত শাসক ও বিরোধী বিধায়কদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান গতকালও চলে। শুক্রবার থেকে এই শপথ অন্ষ্ঠুান শুরু হয়েছে। এর আগে তৃতীয়বারের জন্য বিধানসভায় অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কণ্ঠ ভোটে অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন তিনি।

বারুইপুর পশ্চিম কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিধানসভার অধিবেশনেই তাকে ফের স্পিকার নির্বাচিত করার প্রস্তাব দেন বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রস্তাব সমর্থন করেন দমদম উত্তর বিধায়ক চন্দিমা ভট্টাচার্য।

এরপর স্পিকার নির্বাচনের জন্য বিধানসভায় ধ্বনি ভোটের সিদ্ধান্ত নেন প্রোটেম স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ধ্বনিভোটে আবারও স্পিকার হন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে টানা তৃতীয়বার বিধানসভা স্পিকার হলেন তিনি। নতুন স্পিকারকে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেয়ার পর শনিবার প্রথম বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবারও বিধানসভায় স্পিকার নির্বাচনেও উপস্থিত ছিলেন না বিরোধী দলের বিধায়করা। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় কোথাও কোথাও রিগিং হয়েছে। এজন্য অবিলম্বে নির্বাচনী আইনের সংস্কার হওয়া উচিত। বিজেপির নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, এখনও যারা অহঙ্কারী, তাদের পতন অবশ্যম্ভাবী।’

এ দিন বিধানসভায় ভাষণের শুরুতে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কোথাও কোথাও রিগিং সম্পন্ন হয়েছে। এটা খুব দুঃখের ও লজ্জাজনক। এভাবে গণতন্ত্রকে বাচানো যাবে না। নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার হওয়া দরকার।

গত বুধবার আমার শপথ অনুষ্ঠানও বয়কট করেছিল ওরা। আসলে ওদের সম্পূর্ণ বয়কট করেছে জনগণ।’

মমতা বলেন, ‘নির্বাচনে আমাদের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ টাকা খরচ করেছে ওরা, এই টাকা দিয়ে ভারতের সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হতো, এজন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার দরকার হতো। অথচ কেন্দ্র ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে সুরম্য সংসদ ভবন তৈরি করছে।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ‘বাংলার হিংসা নিয়ে যেসব ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, তার বেশির ভাগই মিথ্যা ও ফেক। মানুষকে মিথ্যা প্রচার করছে ওরা।

বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা আরও বলেন, আমরা শান্তির পক্ষে, হিংসায় বিশ্বাস করি না। তিনি বলেন, দলের প্রার্থীরা ৩১০০০ ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছে।

এ যেন অবিশ্বাস্য ঘটনা। মানুষ আমাদের সহযোগিতা করেছে। বাংলার নারী শক্তির কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মা-বোনেদের সম্মানের জন্য যা যা করার দরকার তা করারই চেষ্টা করব।

আরও খবর
আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ অভিবাসীর ৭৭ শতাংশই চাকরি খুঁজছেন
আজ শবে কদর
সোহরাওয়ার্দীতে গাছ কাটা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হতে বলেছেন কাদের
আজ বিশ্ব মা দিবস
করোনাকালে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে ফিরেছেন ১৩ লাখ যাত্রী
পরিযায়ী পাখি দেশের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করে পরিবেশমন্ত্রী
ঈদের আগে দূরপাল্লার গণপরিবহন চালু দাবি
ক্লাসে যেতে না পারায় ক্ষোভে সবুজবাগ স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যা
এক দারোয়ান খুনসহ একদিনে ৩ লাশ উদ্ধার
ছাত্র অধিকার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি ১৮ বিশিষ্ট নাগরিকের
কোম্পানীগঞ্জ ফের অশান্ত আ’লীগ দু’গ্রুপে সংঘর্ষ মামলা ও গ্রেপ্তার
নন-একাডেমিক ব্যক্তিকে ট্রেজারার নিয়োগে নিন্দা

রবিবার, ০৯ মে ২০২১ , ২৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৬ রমজান ১৪৪২

নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন মমতার

বিধানসভার বৈঠক বর্জন বিজেপির

দীপক মুখার্জী, কলকাতা

বিধানসভায় নবনির্বাচিত শাসক ও বিরোধী বিধায়কদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান গতকালও চলে। শুক্রবার থেকে এই শপথ অন্ষ্ঠুান শুরু হয়েছে। এর আগে তৃতীয়বারের জন্য বিধানসভায় অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কণ্ঠ ভোটে অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন তিনি।

বারুইপুর পশ্চিম কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিধানসভার অধিবেশনেই তাকে ফের স্পিকার নির্বাচিত করার প্রস্তাব দেন বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রস্তাব সমর্থন করেন দমদম উত্তর বিধায়ক চন্দিমা ভট্টাচার্য।

এরপর স্পিকার নির্বাচনের জন্য বিধানসভায় ধ্বনি ভোটের সিদ্ধান্ত নেন প্রোটেম স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ধ্বনিভোটে আবারও স্পিকার হন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে টানা তৃতীয়বার বিধানসভা স্পিকার হলেন তিনি। নতুন স্পিকারকে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেয়ার পর শনিবার প্রথম বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবারও বিধানসভায় স্পিকার নির্বাচনেও উপস্থিত ছিলেন না বিরোধী দলের বিধায়করা। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় কোথাও কোথাও রিগিং হয়েছে। এজন্য অবিলম্বে নির্বাচনী আইনের সংস্কার হওয়া উচিত। বিজেপির নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, এখনও যারা অহঙ্কারী, তাদের পতন অবশ্যম্ভাবী।’

এ দিন বিধানসভায় ভাষণের শুরুতে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কোথাও কোথাও রিগিং সম্পন্ন হয়েছে। এটা খুব দুঃখের ও লজ্জাজনক। এভাবে গণতন্ত্রকে বাচানো যাবে না। নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার হওয়া দরকার।

গত বুধবার আমার শপথ অনুষ্ঠানও বয়কট করেছিল ওরা। আসলে ওদের সম্পূর্ণ বয়কট করেছে জনগণ।’

মমতা বলেন, ‘নির্বাচনে আমাদের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ টাকা খরচ করেছে ওরা, এই টাকা দিয়ে ভারতের সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হতো, এজন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার দরকার হতো। অথচ কেন্দ্র ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে সুরম্য সংসদ ভবন তৈরি করছে।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ‘বাংলার হিংসা নিয়ে যেসব ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, তার বেশির ভাগই মিথ্যা ও ফেক। মানুষকে মিথ্যা প্রচার করছে ওরা।

বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা আরও বলেন, আমরা শান্তির পক্ষে, হিংসায় বিশ্বাস করি না। তিনি বলেন, দলের প্রার্থীরা ৩১০০০ ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছে।

এ যেন অবিশ্বাস্য ঘটনা। মানুষ আমাদের সহযোগিতা করেছে। বাংলার নারী শক্তির কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মা-বোনেদের সম্মানের জন্য যা যা করার দরকার তা করারই চেষ্টা করব।