অনাবৃষ্টিতে সেচ সংকট বীজতলা ফেটে চৌচির

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে তীব্র দাবদাহের কারনে ও পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে বীজতলা ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি নেই, নদী-খালে লোনা পানি, সেচ সংকটে বীজতলা রক্ষা করা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

কৃষকদের লড়াই এখন তৈরি করা বীজতলা (ধান-চারা যা অন্যত্র তৈরি করে চাষের মূল জমিতে পোঁতা হয়) বাঁচানোর। দীর্ঘ সাতমাস ধরে বৃষ্টির দেখা না মেলায় এ অবস্থায় আউশ ধানের বীজতলা তৈরি করতে বা বাঁচাতে সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা। সেই সাথে ফসলের মাঠ, খাল-বিল ও ডোবা-নালার পানি শুকিয়ে শূন্য জলধার। নদী-খালে আসছে লবণ পানি! দীর্ঘদিন ধরে অনাবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় আশানুরূপ সেচ দিতে না পারায় ইরি-বোরো ও আউশ মৌশুমের বীজতলা ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, বীজতলায় এখনই পানির বেশি প্রয়োজন ও আদর্শ সময়। তাই বৃষ্টির জন্য আরও অপেক্ষা করতে হলে আউশ মৌসুমে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে। একদিন মাত্র ৩০ মিনিট বৃষ্টি হয়েছিল তাতে বীজতলার কিছুই হয়নি।

পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের কৃষক মো. সাহেব আলী বলেন, কয়েক দশক ধরে চাষাবাদ করে আসছি কিন্তু এমন অবস্থা কখনও দেখিনি। এভাবে চলতে থাকলে চাষাবাদে দেরি হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে-সর্বত্রই কমবেশি ভুগছেন চাষিরা। বিভিন্ন এলাকায় জমি ফেটে চৌচির হয়ে উঠেছে। এতে কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি প্রাকৃতিক ভাবে মাঠে প্রবেশের পর কৃষকরা সাধারনত ধান আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করে বীজ বপন করে। তবে অনেকেই এবার পানির অভাবে ধান রোপণ করতে পারছেন না। এ উপজেলায় কৃষকরা পানি সেচ দিয়ে বীজতলা তৈরি করলেও বীজ বপন করা নির্ভর করে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির উপর। এ বছর বৃষ্টিপাত না হওয়ার মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে আছে, তাই এখনও আউশ ফসলের মাঠ অনাবাদি রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আরাফাত হোসেন বলেন, পানির অভাবে কৃষকদের বীজতলা বাঁচাতে এখন খুবই সমস্যা হচ্ছে। সময়মতো চাষাবাদ করে বীজ বপন করতে না পারলে অনেক জমি অনাবাদী থাকার উপক্রম এবং এ মৌসুমে ফলন কম হবার আশঙ্কা রয়েছে।

সোমবার, ১০ মে ২০২১ , ২৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমজান ১৪৪২

অনাবৃষ্টিতে সেচ সংকট বীজতলা ফেটে চৌচির

মো. আ. রহিম সজল, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)

image

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে তীব্র দাবদাহের কারনে ও পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে বীজতলা ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি নেই, নদী-খালে লোনা পানি, সেচ সংকটে বীজতলা রক্ষা করা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

কৃষকদের লড়াই এখন তৈরি করা বীজতলা (ধান-চারা যা অন্যত্র তৈরি করে চাষের মূল জমিতে পোঁতা হয়) বাঁচানোর। দীর্ঘ সাতমাস ধরে বৃষ্টির দেখা না মেলায় এ অবস্থায় আউশ ধানের বীজতলা তৈরি করতে বা বাঁচাতে সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা। সেই সাথে ফসলের মাঠ, খাল-বিল ও ডোবা-নালার পানি শুকিয়ে শূন্য জলধার। নদী-খালে আসছে লবণ পানি! দীর্ঘদিন ধরে অনাবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় আশানুরূপ সেচ দিতে না পারায় ইরি-বোরো ও আউশ মৌশুমের বীজতলা ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, বীজতলায় এখনই পানির বেশি প্রয়োজন ও আদর্শ সময়। তাই বৃষ্টির জন্য আরও অপেক্ষা করতে হলে আউশ মৌসুমে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে। একদিন মাত্র ৩০ মিনিট বৃষ্টি হয়েছিল তাতে বীজতলার কিছুই হয়নি।

পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের কৃষক মো. সাহেব আলী বলেন, কয়েক দশক ধরে চাষাবাদ করে আসছি কিন্তু এমন অবস্থা কখনও দেখিনি। এভাবে চলতে থাকলে চাষাবাদে দেরি হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে-সর্বত্রই কমবেশি ভুগছেন চাষিরা। বিভিন্ন এলাকায় জমি ফেটে চৌচির হয়ে উঠেছে। এতে কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি প্রাকৃতিক ভাবে মাঠে প্রবেশের পর কৃষকরা সাধারনত ধান আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করে বীজ বপন করে। তবে অনেকেই এবার পানির অভাবে ধান রোপণ করতে পারছেন না। এ উপজেলায় কৃষকরা পানি সেচ দিয়ে বীজতলা তৈরি করলেও বীজ বপন করা নির্ভর করে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির উপর। এ বছর বৃষ্টিপাত না হওয়ার মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে আছে, তাই এখনও আউশ ফসলের মাঠ অনাবাদি রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আরাফাত হোসেন বলেন, পানির অভাবে কৃষকদের বীজতলা বাঁচাতে এখন খুবই সমস্যা হচ্ছে। সময়মতো চাষাবাদ করে বীজ বপন করতে না পারলে অনেক জমি অনাবাদী থাকার উপক্রম এবং এ মৌসুমে ফলন কম হবার আশঙ্কা রয়েছে।