বিশ্বব্যাপী করোনায় ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ফের ৪ লাখের বেশি। এ নিয়ে পরপর ৪ দিন আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখের বেশি হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৩৮ জন। দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও ৪ হাজারের বেশি। তবে গতকালের তুলনায় তা সামান্য কমেছে। আনন্দবাজার
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৪ জন। এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৩৬২ জনের। দেশটিতে কোভিড সংক্রমণের হার প্রতিদিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংক্রমণের হার ২১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট সংক্রমণের হার ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
তবে আক্রান্তের সঙ্গে সঙ্গে সুস্থতার সংখ্যাও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৪৪ জন। এখনও পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৮৩ লাখ ১৭ হাজার ৪০৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অর্থাৎ বর্তমানে দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪৮ জন।
ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসকরা বলছেন, নমুনা পরীক্ষা ও টিকাকরণের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মোট ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৪২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩০ কোটি ২২ লাখ ৭৫ হাজার ৪৭১ জনের।
অন্যদিকে একদিনে দেশে ২০ লাখ ৯৩ হাজার ১১৯ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৬ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬৩ জন টিকা পেয়েছেন দেশটিতে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে চারজনের দেহে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জ্যেলি এমখিজে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গাউটেং ও কেওয়াজুলু-নাটাল প্রদেশে চারজনের দেহে বি.১.৬১৭.২ শনাক্ত হয়েছে। এদের সবাই সম্প্রতি ভারতে থেকে এসেছেন। এএফপি
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্ট বি.১.১.৭ প্রথমবারের মতো সাতজনের দেহে শনাক্ত হয়েছে। এগুলোর কমিউনিটি সংক্রমণ ইতোমধ্যেই হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার আগে আফ্রিকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কেনিয়া, উগান্ডা ও মরক্কোতে পাওয়া গেছে। ভারতে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু দুই-ই ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। প্রায় এক ডজন দেশে ইতোমধ্যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আটকানোর প্রচেষ্টায় বেশ কিছু দেশ ভারতের ফ্লাইট বাতিল করেছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা এখনো ভারতের সঙ্গে বিমান চলাচল অব্যাহত রেখেছে।
এমখিজে বলেন, অর্থনীতি রক্ষার জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ‘বৈজ্ঞানিক বাস্তবতার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ হতে হবে।’
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে পরামর্শের পর একটি ঘোষণা দেয়া হবে। আফ্রিকায় করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। এই অঞ্চলের ৩৪ শতাংশ সংক্রমণ হয়েছে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকাতেই।
দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে ভাইরাস ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সৃষ্ট বি.১.৩৫১ ভ্যারিয়েন্টের কারণেই সংক্রমণের মাত্রা বেশি হয়। সামনের শীতকালে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে সম্প্রতি সতর্ক করে দিয়েছেন এমখিজে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ ৯০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৫৪ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি।
সোমবার, ১০ মে ২০২১ , ২৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমজান ১৪৪২
বিশ্বব্যাপী করোনায় ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ফের ৪ লাখের বেশি। এ নিয়ে পরপর ৪ দিন আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখের বেশি হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৩৮ জন। দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও ৪ হাজারের বেশি। তবে গতকালের তুলনায় তা সামান্য কমেছে। আনন্দবাজার
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৪ জন। এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৩৬২ জনের। দেশটিতে কোভিড সংক্রমণের হার প্রতিদিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংক্রমণের হার ২১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট সংক্রমণের হার ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
তবে আক্রান্তের সঙ্গে সঙ্গে সুস্থতার সংখ্যাও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৪৪ জন। এখনও পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৮৩ লাখ ১৭ হাজার ৪০৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অর্থাৎ বর্তমানে দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪৮ জন।
ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসকরা বলছেন, নমুনা পরীক্ষা ও টিকাকরণের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মোট ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৪২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩০ কোটি ২২ লাখ ৭৫ হাজার ৪৭১ জনের।
অন্যদিকে একদিনে দেশে ২০ লাখ ৯৩ হাজার ১১৯ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৬ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬৩ জন টিকা পেয়েছেন দেশটিতে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে চারজনের দেহে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জ্যেলি এমখিজে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গাউটেং ও কেওয়াজুলু-নাটাল প্রদেশে চারজনের দেহে বি.১.৬১৭.২ শনাক্ত হয়েছে। এদের সবাই সম্প্রতি ভারতে থেকে এসেছেন। এএফপি
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্ট বি.১.১.৭ প্রথমবারের মতো সাতজনের দেহে শনাক্ত হয়েছে। এগুলোর কমিউনিটি সংক্রমণ ইতোমধ্যেই হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার আগে আফ্রিকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কেনিয়া, উগান্ডা ও মরক্কোতে পাওয়া গেছে। ভারতে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু দুই-ই ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। প্রায় এক ডজন দেশে ইতোমধ্যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আটকানোর প্রচেষ্টায় বেশ কিছু দেশ ভারতের ফ্লাইট বাতিল করেছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা এখনো ভারতের সঙ্গে বিমান চলাচল অব্যাহত রেখেছে।
এমখিজে বলেন, অর্থনীতি রক্ষার জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ‘বৈজ্ঞানিক বাস্তবতার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ হতে হবে।’
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে পরামর্শের পর একটি ঘোষণা দেয়া হবে। আফ্রিকায় করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। এই অঞ্চলের ৩৪ শতাংশ সংক্রমণ হয়েছে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকাতেই।
দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে ভাইরাস ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সৃষ্ট বি.১.৩৫১ ভ্যারিয়েন্টের কারণেই সংক্রমণের মাত্রা বেশি হয়। সামনের শীতকালে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে সম্প্রতি সতর্ক করে দিয়েছেন এমখিজে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ ৯০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৫৪ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি।