আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে শিয়া জেলায় একটি স্কুলের কাছাকাছি এলাকায় পরপর কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৫৮ জন নিহত ও ১৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। আল-জাজিরা
আফগানিস্তানের একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, হতাহতদের অধিকাংশই সায়েদ উল শুহাদা স্কুলের শিক্ষার্থী, তারা স্কুল থেকে বের হয়ে আসার সময় বিস্ফোরণগুলো ঘটে এবং হাসপাতালে ভর্তি আহতদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর।
আফগানিস্তানের স্থানীয় টিভি চ্যানেলের ফুটেজে স্কুলটির সামনের রক্তস্নাত রাস্তার মধ্যে বই ও স্কুল ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা গেছে, হতাহতদের উদ্ধারে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে জড়ো হচ্ছেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এটি একটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ছিল, স্কুলের প্রবেশপথের সামনে এটি ঘটে। তিনি জানান, হতাহতদের মধ্যে সাত-আট জন ছাড়া বাকি সবাই স্কুলের ছাত্রী, স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছিল তারা।
সায়েদ উল শুহাদা স্কুলটি ছেলে ও মেয়েদের একটি যৌথ উচ্চ বিদ্যালয়, এখানে তিনটি শিফটে ক্লাস হয় এবং দ্বিতীয়টি নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজিবা আরিয়ান। আহতদের অধিকাংশই ছাত্রী বলে জানিয়েছেন তিনি।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। তারপর থেকে কাবুলজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করে উচ্চ সতর্কাবস্থা বজায় রাখা হয়েছে। আফগান কর্মকর্তারা বলছেন, তালেবান সারা দেশজুড়ে হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে।
শেষ খবর পর্যন্ত এ হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী। এ হামলার নিন্দা জানিয়ে তালেবান বিদ্রোহীরা এর সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ।
কাবুলের পশ্চিমাংশের শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় হামলাটি হয়েছে। এর জন্য প্রেসিডেন্ট গনি তালেবানকে দায়ী করলেও গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকাটিতে বার বার নৃশংস হামলা চালিয়েছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা।
কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্কুলের পাশে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় -আলজাজিরা
আরও খবরসোমবার, ১০ মে ২০২১ , ২৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমজান ১৪৪২
কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্কুলের পাশে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় -আলজাজিরা
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে শিয়া জেলায় একটি স্কুলের কাছাকাছি এলাকায় পরপর কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৫৮ জন নিহত ও ১৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। আল-জাজিরা
আফগানিস্তানের একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, হতাহতদের অধিকাংশই সায়েদ উল শুহাদা স্কুলের শিক্ষার্থী, তারা স্কুল থেকে বের হয়ে আসার সময় বিস্ফোরণগুলো ঘটে এবং হাসপাতালে ভর্তি আহতদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর।
আফগানিস্তানের স্থানীয় টিভি চ্যানেলের ফুটেজে স্কুলটির সামনের রক্তস্নাত রাস্তার মধ্যে বই ও স্কুল ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা গেছে, হতাহতদের উদ্ধারে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে জড়ো হচ্ছেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এটি একটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ছিল, স্কুলের প্রবেশপথের সামনে এটি ঘটে। তিনি জানান, হতাহতদের মধ্যে সাত-আট জন ছাড়া বাকি সবাই স্কুলের ছাত্রী, স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছিল তারা।
সায়েদ উল শুহাদা স্কুলটি ছেলে ও মেয়েদের একটি যৌথ উচ্চ বিদ্যালয়, এখানে তিনটি শিফটে ক্লাস হয় এবং দ্বিতীয়টি নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজিবা আরিয়ান। আহতদের অধিকাংশই ছাত্রী বলে জানিয়েছেন তিনি।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। তারপর থেকে কাবুলজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করে উচ্চ সতর্কাবস্থা বজায় রাখা হয়েছে। আফগান কর্মকর্তারা বলছেন, তালেবান সারা দেশজুড়ে হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে।
শেষ খবর পর্যন্ত এ হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী। এ হামলার নিন্দা জানিয়ে তালেবান বিদ্রোহীরা এর সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ।
কাবুলের পশ্চিমাংশের শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় হামলাটি হয়েছে। এর জন্য প্রেসিডেন্ট গনি তালেবানকে দায়ী করলেও গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকাটিতে বার বার নৃশংস হামলা চালিয়েছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা।