করোনা রিপোর্টে খালেদার জন্মদিন নিয়ে ফের আলোচনা

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার তৃতীয় দফায় করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হয়েছে। রিপোর্টটি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তার সেই রিপোর্টের কপিতে দেখা যায় বিএনপি নেত্রীর জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৮ মে। অথচ দীর্ঘদিন তিনি ও তার দলের নেতাকর্মীরা জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের দিন ‘শোক দিবসে’ জন্মদিন পালন করেছেন। তার একাধিক জন্মতারিখ ও শোক দিবসে জন্মদিন পালনের বিষয়টি আদালতেও গড়িয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার করোনা টেস্টের এ রিপোর্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে, জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালন করায় বেগম খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপিকে জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তার ফেইসবুকে এক পোস্টে বিএনপিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি। বিষয়টা আমার কাছে যে কোন সময়, যে কোন পরিস্থিতিতেই প্রাসঙ্গিক। এখন আপনি (খালেদা জিয়া) বলছেন, ৮ মে আপনি জন্মেছেন। তাহলে আমাদের রক্তক্ষরণ করিয়ে ১৫ আগস্ট যে জন্মদিন নিজে পালন করে এসেছেন, আপনার দলের নেতাকর্মীরা যে পালন করেছে, আমাদের শোককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, তার জন্য ন্যূনতম ক্ষমা, মানুষ হিসেবে আপনার এবং আপনার দলের নেতাদের চাওয়া উচিত।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এ প্রসঙ্গে বলেন, তারা (বিএনপি) দীর্ঘদিন রাজনৈতিক উদ্দেশে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করেছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, এটা মিথ্যা, বানোয়াট। শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের খুশি করতে এবং খুনিদের উৎসাহিত করতে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন করেছেন। এখন সত্য প্রকাশিত হয়েছে। সত্য কখনও চাপা থাকে না।

‘ভুয়া’ জন্মদিন পালন এবং মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত ও কলঙ্কিত করার অভিযোগে মানহানির দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে কয়েকটি মামলা দায়ের আছে। সেখানে অভিযোগে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিকে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট লেখা হয়। জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী, তার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট।

খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন তথা জাতীয় শোক দিবসে (১৫ আগস্ট) আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন পালন করা শুরু করেন।

আরও খবর
আপনজনদের জীবন হুমকির মুখে ঠেলে দেবেন না প্রধানমন্ত্রী
ভারতের করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশকে বিপজ্জনক বার্তা দিচ্ছে : কাদের
নতুন কর আরোপ নয়, কালো টাকা বৈধ করা বন্ধের আহ্বান
চার জঙ্গি আটক, অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করে
নেপালের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ
রাজধানীতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি আশঙ্কাজনক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
খালেদার বিদেশে যেতে না দেয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ফখরুল
চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে ভেজাল মদের কারখানা
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ বাড়লো, দুর্ভোগ বাংলাদেশিদের
করোনা : গ্রামের মানুষের রঙ্গরস
মুমূর্ষু নবজাতকও পেল না ফেরির দেখা, ফিরে যেতে হলো

সোমবার, ১০ মে ২০২১ , ২৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমজান ১৪৪২

করোনা রিপোর্টে খালেদার জন্মদিন নিয়ে ফের আলোচনা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার তৃতীয় দফায় করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হয়েছে। রিপোর্টটি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তার সেই রিপোর্টের কপিতে দেখা যায় বিএনপি নেত্রীর জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৮ মে। অথচ দীর্ঘদিন তিনি ও তার দলের নেতাকর্মীরা জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের দিন ‘শোক দিবসে’ জন্মদিন পালন করেছেন। তার একাধিক জন্মতারিখ ও শোক দিবসে জন্মদিন পালনের বিষয়টি আদালতেও গড়িয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার করোনা টেস্টের এ রিপোর্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে, জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালন করায় বেগম খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপিকে জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তার ফেইসবুকে এক পোস্টে বিএনপিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি। বিষয়টা আমার কাছে যে কোন সময়, যে কোন পরিস্থিতিতেই প্রাসঙ্গিক। এখন আপনি (খালেদা জিয়া) বলছেন, ৮ মে আপনি জন্মেছেন। তাহলে আমাদের রক্তক্ষরণ করিয়ে ১৫ আগস্ট যে জন্মদিন নিজে পালন করে এসেছেন, আপনার দলের নেতাকর্মীরা যে পালন করেছে, আমাদের শোককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, তার জন্য ন্যূনতম ক্ষমা, মানুষ হিসেবে আপনার এবং আপনার দলের নেতাদের চাওয়া উচিত।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এ প্রসঙ্গে বলেন, তারা (বিএনপি) দীর্ঘদিন রাজনৈতিক উদ্দেশে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করেছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, এটা মিথ্যা, বানোয়াট। শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের খুশি করতে এবং খুনিদের উৎসাহিত করতে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন করেছেন। এখন সত্য প্রকাশিত হয়েছে। সত্য কখনও চাপা থাকে না।

‘ভুয়া’ জন্মদিন পালন এবং মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত ও কলঙ্কিত করার অভিযোগে মানহানির দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে কয়েকটি মামলা দায়ের আছে। সেখানে অভিযোগে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিকে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট লেখা হয়। জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী, তার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট।

খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন তথা জাতীয় শোক দিবসে (১৫ আগস্ট) আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন পালন করা শুরু করেন।