বিএনপির মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যে ধারায় খালেদা জিয়াকে শর্ত-সাপেক্ষে মুক্তি দেয়া হয়েছে, সেই ধারাতেই তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘সরকার মৃত্যুদণ্ডের আসামিদের মুক্তি দিয়ে দিচ্ছে, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে কিন্তু একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়ার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করছে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সবকিছু করা হচ্ছে। এ বিষয়েও পরিবারই যা ভালো মনে করে, তাই করবে।’
গতকাল রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার উত্তর গেটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন ফখরুল। এর আগে, তিনি বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। সেখানে মাত্র দুই মিনিট তিনি খালেদা জিয়াকে দেখেছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আইনানুযায়ী দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর কোন সুযোগ নেই। এ জন্য খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের আবেদন আমরা মঞ্জুর করতে পারিনি।’
তার আগে দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সমস্যার উন্নতি হলেও তার পুরনো স্বাস্থ্য জটিলতাগুলো বাড়ছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ এসেছে। এই সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে যাচ্ছে কিন্তু তার মূল সমস্যাগুলো বাড়ছে।
‘আপনারা জানেন, তিনি অনেক অসুখে ভুগছেন দীর্ঘকাল থেকে, দীর্ঘকাল কারাভোগ করা এবং কোন চিকিৎসা না হওয়ার কারণে সেগুলো বেড়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে এই বয়সে তার সেগুলো বেশ সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ডের ‘আন্তরিকতার’ কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আশার কথা হচ্ছে যে, সি ইজ শোয়িং সাইন অব প্রোগ্রেস।’ তবে তা যা শারীরিক অবস্থা তাতে তাকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে বলে তিনি জানান।
সোমবার, ১০ মে ২০২১ , ২৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমজান ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
বিএনপির মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যে ধারায় খালেদা জিয়াকে শর্ত-সাপেক্ষে মুক্তি দেয়া হয়েছে, সেই ধারাতেই তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘সরকার মৃত্যুদণ্ডের আসামিদের মুক্তি দিয়ে দিচ্ছে, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে কিন্তু একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়ার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করছে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সবকিছু করা হচ্ছে। এ বিষয়েও পরিবারই যা ভালো মনে করে, তাই করবে।’
গতকাল রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার উত্তর গেটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন ফখরুল। এর আগে, তিনি বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। সেখানে মাত্র দুই মিনিট তিনি খালেদা জিয়াকে দেখেছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আইনানুযায়ী দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর কোন সুযোগ নেই। এ জন্য খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের আবেদন আমরা মঞ্জুর করতে পারিনি।’
তার আগে দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সমস্যার উন্নতি হলেও তার পুরনো স্বাস্থ্য জটিলতাগুলো বাড়ছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ এসেছে। এই সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে যাচ্ছে কিন্তু তার মূল সমস্যাগুলো বাড়ছে।
‘আপনারা জানেন, তিনি অনেক অসুখে ভুগছেন দীর্ঘকাল থেকে, দীর্ঘকাল কারাভোগ করা এবং কোন চিকিৎসা না হওয়ার কারণে সেগুলো বেড়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে এই বয়সে তার সেগুলো বেশ সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ডের ‘আন্তরিকতার’ কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আশার কথা হচ্ছে যে, সি ইজ শোয়িং সাইন অব প্রোগ্রেস।’ তবে তা যা শারীরিক অবস্থা তাতে তাকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে বলে তিনি জানান।