ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ বাড়লো, দুর্ভোগ বাংলাদেশিদের

করোনা সমক্রমণের তীব্রতায় ভারতের সঙ্গে সীমান্তে জনযাতায়াতে ওপর নিষেধজ্ঞা আরও ১৪ দিন বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ কারণে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে ভারতে এসে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরা আবারও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কনস্যুলার মো. বশির উদ্দীন জানান, গত শনিবার বাংলাদেশ সরকারের আন্ত-মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত আনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে সরকার নিষেধজ্ঞা ছিল ২৬ এপ্রিল থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত। তবে যাদের ভিসার মেয়াদ নিষেধজ্ঞার মধ্যে শেষ হবে বা হয়েছে কেবল এমন অসুস্থ রোগীদের তখন দেশে ফেরার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন, কলকাতা উপ-হাইকমিশন ও আগরতলা উপ- হাইকমিশন থেকে এনওসি নিয়ে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে আসাতে পারবেন। কিন্তু দ্বিতীয় বারের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী দেশে ফেরার জন্য কাউকেই এনওসি দেয়া যাবে না। তবে ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে যদি কোন রোগীর মৃত্যু ঘটে তাহলে তার ডেডবডিসহ সঙ্গে তার আত্মীয়দের বিশেষ বিবেচনায় বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে। এমনটিই জানিয়েছেন মো. বশির উদ্দিন। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত যাদের এনওসি দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রোববার ১০২ জন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ও ৪১ জন বুড়িমারী সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরেছেন। পরে তাদের ১৪ দিনের কোরেন্টিনে পাঠনো হয়। এ পর্যন্ত কলকাতা উপ-হাইকমিশন থেকে এনওসি নিয়ে মোট ২৫০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন।

এদিকে গতকাল বন্ধের দিনে অনেক বাংলাদেশি নাগরিক উপ-হাইকমিশনে এনওসির জন্য এসে আবারও সরকার সীমান্ত বন্ধ করায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এমন একজন বজলুর রশিদ যিনি চিকিৎসা করতে এসে আটকাপড়ে বাড়ি ফিরতে না পাড়ায় মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এখানেও করোনার কারণে দোকানপাট বন্ধ থাকায় আরও সমস্যার মধ্যে পড়েছি। বজলুর রশিদ বলেন, আমার মতো এমন আরও এক হাজার নাগরিক আছেন যারা দেশে ফিরতে চান। সহজ শর্তে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে তারা ফরিয়াদ জানিয়েছেন।

কলকাতা উপ-হাইকমিশন কন্স্যুলার মো. বশিরউদ্দীন সংবাদ প্রতিনিধিকে জানান, আটকেপড়া নাগরিদের সহায়তার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি।

আরও খবর
আপনজনদের জীবন হুমকির মুখে ঠেলে দেবেন না প্রধানমন্ত্রী
ভারতের করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশকে বিপজ্জনক বার্তা দিচ্ছে : কাদের
নতুন কর আরোপ নয়, কালো টাকা বৈধ করা বন্ধের আহ্বান
করোনা রিপোর্টে খালেদার জন্মদিন নিয়ে ফের আলোচনা
চার জঙ্গি আটক, অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করে
নেপালের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ
রাজধানীতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি আশঙ্কাজনক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
খালেদার বিদেশে যেতে না দেয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ফখরুল
চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে ভেজাল মদের কারখানা
করোনা : গ্রামের মানুষের রঙ্গরস
মুমূর্ষু নবজাতকও পেল না ফেরির দেখা, ফিরে যেতে হলো

সোমবার, ১০ মে ২০২১ , ২৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমজান ১৪৪২

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ বাড়লো, দুর্ভোগ বাংলাদেশিদের

দীপক মুখার্জী, কলকাতা

করোনা সমক্রমণের তীব্রতায় ভারতের সঙ্গে সীমান্তে জনযাতায়াতে ওপর নিষেধজ্ঞা আরও ১৪ দিন বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ কারণে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে ভারতে এসে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরা আবারও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কনস্যুলার মো. বশির উদ্দীন জানান, গত শনিবার বাংলাদেশ সরকারের আন্ত-মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত আনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে সরকার নিষেধজ্ঞা ছিল ২৬ এপ্রিল থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত। তবে যাদের ভিসার মেয়াদ নিষেধজ্ঞার মধ্যে শেষ হবে বা হয়েছে কেবল এমন অসুস্থ রোগীদের তখন দেশে ফেরার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন, কলকাতা উপ-হাইকমিশন ও আগরতলা উপ- হাইকমিশন থেকে এনওসি নিয়ে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে আসাতে পারবেন। কিন্তু দ্বিতীয় বারের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী দেশে ফেরার জন্য কাউকেই এনওসি দেয়া যাবে না। তবে ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে যদি কোন রোগীর মৃত্যু ঘটে তাহলে তার ডেডবডিসহ সঙ্গে তার আত্মীয়দের বিশেষ বিবেচনায় বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে। এমনটিই জানিয়েছেন মো. বশির উদ্দিন। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত যাদের এনওসি দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রোববার ১০২ জন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ও ৪১ জন বুড়িমারী সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরেছেন। পরে তাদের ১৪ দিনের কোরেন্টিনে পাঠনো হয়। এ পর্যন্ত কলকাতা উপ-হাইকমিশন থেকে এনওসি নিয়ে মোট ২৫০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন।

এদিকে গতকাল বন্ধের দিনে অনেক বাংলাদেশি নাগরিক উপ-হাইকমিশনে এনওসির জন্য এসে আবারও সরকার সীমান্ত বন্ধ করায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এমন একজন বজলুর রশিদ যিনি চিকিৎসা করতে এসে আটকাপড়ে বাড়ি ফিরতে না পাড়ায় মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এখানেও করোনার কারণে দোকানপাট বন্ধ থাকায় আরও সমস্যার মধ্যে পড়েছি। বজলুর রশিদ বলেন, আমার মতো এমন আরও এক হাজার নাগরিক আছেন যারা দেশে ফিরতে চান। সহজ শর্তে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে তারা ফরিয়াদ জানিয়েছেন।

কলকাতা উপ-হাইকমিশন কন্স্যুলার মো. বশিরউদ্দীন সংবাদ প্রতিনিধিকে জানান, আটকেপড়া নাগরিদের সহায়তার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি।