কয়েক ঘণ্টা আগেই জন্মেছে নবজাতক শিশুটি। শ্বাসকষ্টে মুমূর্ষু পরিস্থিতি হওয়ায় মা আঁখিকে হাসপাতালে রেখেই নবজাতকটিকে নিয়ে স্বজনরা ছুটছে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য। কিন্তু বাংলাবাজার ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও হাজারো আকুতি-মিনতি করেও মিললো না ফেরির দেখা। উন্নতির বদলে ঘাটে দীর্ঘ সময় আটকে থেকে আরও নিস্তেজ হয়ে পড়া শিশুটিকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত শরীয়তপুরেই ফিরে যেতে বাধ্য হলো স্বজনরা। গতকাল বাংলাবাজার ঘাটে অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রেও এমন কঠোর ভূমিকা দেখায় বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা। এদিকে মাছ, তরমুজসহ কাঁচামালে পচন ধরায় বাংলাবাজার ঘাটে বিআইডব্লিউটিসি ও পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। জরুরি রোগীরা ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে মোটরসাইকেল, ৩ চাক্কার যানবাহনে এসে ঘাটে ও গন্তব্যে কয়েকগুণ ভাড়া গুনে পৌঁছাচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসিসহ ঘাট সূত্রে জানা যায়, যাত্রী নিয়ন্ত্রণে যেন কোন বিধিনিষেধই মানতে চাইছেন না দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। রোববার সকাল থেকে বিকেলে বাংলাবাজার ঘাট থেকে ২টি ফেরি জরুরি অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহন নিয়ে পার হয়। তবে যাত্রীদের চাপে জরুরি যানবাহনে তোলা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসিকে বেগে পড়তে হয়। শিমুলিয়া থেকে যে কয়টি ফেরি এসেছে সেগুলোতে যাত্রী চাপে পা ফেলানোর জায়গা ছিল না। সকাল থেকেই উভয় পাড়ে যাত্রী ও যানবাহনের প্রচণ্ড ভিড় শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনে শয়লাব হয়ে যায় ঘাট এলাকা। ঘাট থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রী ও যানবাহনগুলো। ঘাট পার হয়ে মোটরসাইকেল, ৩ চাকার যানবাহনে এসে ঘাটে ও গন্তব্যে কয়েকগুণ ভাড়া গুনে পৌঁছাচ্ছেন। অনেকে অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী বেশে পার হওয়ার চেষ্টা করেন।
শরীয়তপুরের আটং এলাকার নবজাতকটির খালা বলেন, কয়েক ঘণ্টা আগে শিশুটি হয়েছে। ওর মা এখনও বেডে। বাচ্চাটির শ্বাসকষ্ট হওয়ায় ওকে ঢাকা নিচ্ছিলাম। কিন্তু কোন কিছুতেই ফেরি ছাড়লো না। বাচ্চাটি আরও নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। তাই আবার শরীয়তপুর হাসপাতালেই ফিরে যাচ্ছি।
১৫ দিনের আরেক নবজাতক রেদোয়ানের মা লাবনী বেগম বলেন, বাচ্চাটি খুব অসুস্থ তাই ঢাকায় যাচ্ছি। কিন্তু ফেরি ছাড়ছেই না। কি যে করবো এসে ভুল করলাম। রুগীরাও পার হতে পারবে না । এটা কেমন নিয়ম?
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ফেরি বন্ধ রাখতে বলেছে তাই বন্ধ। জরুরি অ্যাম্বুলেন্স বা রোগীর কথা বললে তিনি বলেন, ফেরি বন্ধ।
সোমবার, ১০ মে ২০২১ , ২৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমজান ১৪৪২
প্রতিনিধি, শিবচর ( মাদারীপুর)
কয়েক ঘণ্টা আগেই জন্মেছে নবজাতক শিশুটি। শ্বাসকষ্টে মুমূর্ষু পরিস্থিতি হওয়ায় মা আঁখিকে হাসপাতালে রেখেই নবজাতকটিকে নিয়ে স্বজনরা ছুটছে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য। কিন্তু বাংলাবাজার ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও হাজারো আকুতি-মিনতি করেও মিললো না ফেরির দেখা। উন্নতির বদলে ঘাটে দীর্ঘ সময় আটকে থেকে আরও নিস্তেজ হয়ে পড়া শিশুটিকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত শরীয়তপুরেই ফিরে যেতে বাধ্য হলো স্বজনরা। গতকাল বাংলাবাজার ঘাটে অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রেও এমন কঠোর ভূমিকা দেখায় বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা। এদিকে মাছ, তরমুজসহ কাঁচামালে পচন ধরায় বাংলাবাজার ঘাটে বিআইডব্লিউটিসি ও পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। জরুরি রোগীরা ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে মোটরসাইকেল, ৩ চাক্কার যানবাহনে এসে ঘাটে ও গন্তব্যে কয়েকগুণ ভাড়া গুনে পৌঁছাচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসিসহ ঘাট সূত্রে জানা যায়, যাত্রী নিয়ন্ত্রণে যেন কোন বিধিনিষেধই মানতে চাইছেন না দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। রোববার সকাল থেকে বিকেলে বাংলাবাজার ঘাট থেকে ২টি ফেরি জরুরি অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহন নিয়ে পার হয়। তবে যাত্রীদের চাপে জরুরি যানবাহনে তোলা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসিকে বেগে পড়তে হয়। শিমুলিয়া থেকে যে কয়টি ফেরি এসেছে সেগুলোতে যাত্রী চাপে পা ফেলানোর জায়গা ছিল না। সকাল থেকেই উভয় পাড়ে যাত্রী ও যানবাহনের প্রচণ্ড ভিড় শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনে শয়লাব হয়ে যায় ঘাট এলাকা। ঘাট থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রী ও যানবাহনগুলো। ঘাট পার হয়ে মোটরসাইকেল, ৩ চাকার যানবাহনে এসে ঘাটে ও গন্তব্যে কয়েকগুণ ভাড়া গুনে পৌঁছাচ্ছেন। অনেকে অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী বেশে পার হওয়ার চেষ্টা করেন।
শরীয়তপুরের আটং এলাকার নবজাতকটির খালা বলেন, কয়েক ঘণ্টা আগে শিশুটি হয়েছে। ওর মা এখনও বেডে। বাচ্চাটির শ্বাসকষ্ট হওয়ায় ওকে ঢাকা নিচ্ছিলাম। কিন্তু কোন কিছুতেই ফেরি ছাড়লো না। বাচ্চাটি আরও নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। তাই আবার শরীয়তপুর হাসপাতালেই ফিরে যাচ্ছি।
১৫ দিনের আরেক নবজাতক রেদোয়ানের মা লাবনী বেগম বলেন, বাচ্চাটি খুব অসুস্থ তাই ঢাকায় যাচ্ছি। কিন্তু ফেরি ছাড়ছেই না। কি যে করবো এসে ভুল করলাম। রুগীরাও পার হতে পারবে না । এটা কেমন নিয়ম?
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ফেরি বন্ধ রাখতে বলেছে তাই বন্ধ। জরুরি অ্যাম্বুলেন্স বা রোগীর কথা বললে তিনি বলেন, ফেরি বন্ধ।