প্রতিদিন মাকে ভালোবাসি

মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার বিশ্ব মা দিবস। এই দিনটা নিয়ে মানুষের নানান আয়োজন, উৎসব এবং আমেজের শেষ থাকে না। মনে হয় এই একদিনের জন্য সবাই মায়ের প্রতি ভালোবাসা জমিয়ে রাখে। এই যে মা দিবস, এটার সম্পূর্ণ বিরোধিতা আমি করছি না। সকল মায়েদের সম্মানার্থে এমন একটি দিন থাকাটা মন্দ কিছু নয়। তবে তার মানে এই নয় যে, শুধু এই দিনটাই মায়েদের জন্য। অন্য সময় আর এই মায়েদের খোঁজখবর রাখা হয় না।

সারাবছর আমি যদি আমার ম’কে অসম্মান অশ্রদ্ধা করি এই একদিনে কি সেই কষ্ট মুছে ফেলা সম্ভব? আবার এই একদিন মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা প্রকাশ করে, এরপরের দিনই যদি মায়ের মনে আঘাত দেওয়া হয় তাহলে এমন দিবস দিয়ে কী হবে? প্রকৃতপক্ষে আজকের সমাজে এমনটাই অহরহ হচ্ছে।

অসুস্থ মাকে জঙ্গলে ফেলে আসছে, মারধর করছে এখনকার কতিপয় সন্তান নামক কুলাঙ্গাররা। আজ অনেক মা বৃদ্ধাশ্রমে দিন কাটাচ্ছে একা একা। অথচ যেসব সন্তানরা তাদের মায়ের সঙ্গে এমন অন্যায় করছে তারাও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে লিখবে, ‘সকল মাকে জানাই ভালোবাসা, সবাই মাকে ভালোবাসুন।’

এমন আরও অনেক লোক সমাজে বসবাস করছে, যারা মাকে অপমান, অশ্রদ্ধা করে। এমন সন্তান কোনো মা-ই আশা করেন না। ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করে এই পৃথিবীতে সন্তানকে এনে যদি সেই সন্তানের আঘাত সহ্য করতে হয় সেই মায়ের জীবন আর কেমন জীবন হতে পারে!

সুতরাং একদিন মাকে নিয়ে স্ট্যাটাস, ছবি আপলোড কিংবা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলার চেয়ে প্রতিদিন মাকে শ্রদ্ধা, সম্মান এবং ভালোবাসা দিতে পারাটাই সার্থকতা বলে মনে করি আমি। আসুন মায়েদের কষ্ট না দিয়ে সম্মান শ্রদ্ধা করি সবসময়।

আজহার মাহমুদ

চট্টগ্রাম

সোমবার, ১০ মে ২০২১ , ২৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমজান ১৪৪২

প্রতিদিন মাকে ভালোবাসি

মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার বিশ্ব মা দিবস। এই দিনটা নিয়ে মানুষের নানান আয়োজন, উৎসব এবং আমেজের শেষ থাকে না। মনে হয় এই একদিনের জন্য সবাই মায়ের প্রতি ভালোবাসা জমিয়ে রাখে। এই যে মা দিবস, এটার সম্পূর্ণ বিরোধিতা আমি করছি না। সকল মায়েদের সম্মানার্থে এমন একটি দিন থাকাটা মন্দ কিছু নয়। তবে তার মানে এই নয় যে, শুধু এই দিনটাই মায়েদের জন্য। অন্য সময় আর এই মায়েদের খোঁজখবর রাখা হয় না।

সারাবছর আমি যদি আমার ম’কে অসম্মান অশ্রদ্ধা করি এই একদিনে কি সেই কষ্ট মুছে ফেলা সম্ভব? আবার এই একদিন মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা প্রকাশ করে, এরপরের দিনই যদি মায়ের মনে আঘাত দেওয়া হয় তাহলে এমন দিবস দিয়ে কী হবে? প্রকৃতপক্ষে আজকের সমাজে এমনটাই অহরহ হচ্ছে।

অসুস্থ মাকে জঙ্গলে ফেলে আসছে, মারধর করছে এখনকার কতিপয় সন্তান নামক কুলাঙ্গাররা। আজ অনেক মা বৃদ্ধাশ্রমে দিন কাটাচ্ছে একা একা। অথচ যেসব সন্তানরা তাদের মায়ের সঙ্গে এমন অন্যায় করছে তারাও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে লিখবে, ‘সকল মাকে জানাই ভালোবাসা, সবাই মাকে ভালোবাসুন।’

এমন আরও অনেক লোক সমাজে বসবাস করছে, যারা মাকে অপমান, অশ্রদ্ধা করে। এমন সন্তান কোনো মা-ই আশা করেন না। ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করে এই পৃথিবীতে সন্তানকে এনে যদি সেই সন্তানের আঘাত সহ্য করতে হয় সেই মায়ের জীবন আর কেমন জীবন হতে পারে!

সুতরাং একদিন মাকে নিয়ে স্ট্যাটাস, ছবি আপলোড কিংবা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলার চেয়ে প্রতিদিন মাকে শ্রদ্ধা, সম্মান এবং ভালোবাসা দিতে পারাটাই সার্থকতা বলে মনে করি আমি। আসুন মায়েদের কষ্ট না দিয়ে সম্মান শ্রদ্ধা করি সবসময়।

আজহার মাহমুদ

চট্টগ্রাম