করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষতিগ্রস্ত চার লাখ খামারিকে ৫৫৪ কোটি টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। আরও দুই লাখ খামারিকে ২৯২ কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হবে। ছোট ছোট প্রান্তিক খামারিরা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন সেজন্য এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তর কক্ষে করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গৃহীত কার্যক্রম ও সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
করোনায় আমিষের চাহিদা ও মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম মানুষের জন্য অতন্ত্য প্রয়োজন। মানুষের পুষ্টি ও আমিষের প্রয়োজন মেটাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর কাজ করছে। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রথম পর্যায়ে গত বছর প্রায় ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকার পণ্য ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় বিক্রি করা হয়েছে। এতে উৎপাদক ও খামারি এবং একই সঙ্গে ভোক্তারা উপকৃত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমাণ বিক্রি কার্যক্রম নিয়ে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয় গত ৫ এপ্রিল থেকে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এবং এগুলোর উৎপাদন সামগ্রীর সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য সমন্বয়ক হিসেবে কাজ শুরু করেছে।
এ কারণে দেশের কোথাও দুধ, ডিম, মাছ, মাংসের সরবরাহে কোন ঘাটতি নেই। এ বছরও ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব বিক্রয় কেন্দ্রে বাজার দামের চেয়ে কম দামে ন্যায্যমূল্যে দুধ, ডিম, মাছ, মাংস বিক্রি হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থায় গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭০০, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২১০, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১২০, ডিম ৬ টাকা এবং প্যাকেট দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এ ব্যবস্থায় সারাদেশে এ পর্যন্ত ২২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশেষভাবে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা এবং এর সফল বাস্তবায়নের ফলে করোনার এ অতিমারীর মধ্যেও মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন অব্যাহত রয়েছে এবং এগুলোর বাজারমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে ৮০ লাখ মানুষ জড়িত। সে মানুষগুলো যাতে করোনায় কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, বেকার হয়ে না পড়ে সেজন্য মন্ত্রণালয় এসব কাজ বাস্তবায়ন করছে।
মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১ , ২৮ বৈশাখ ১৪২৮ ২৮ রমজান ১৪৪২
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষতিগ্রস্ত চার লাখ খামারিকে ৫৫৪ কোটি টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। আরও দুই লাখ খামারিকে ২৯২ কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হবে। ছোট ছোট প্রান্তিক খামারিরা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন সেজন্য এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তর কক্ষে করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গৃহীত কার্যক্রম ও সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
করোনায় আমিষের চাহিদা ও মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম মানুষের জন্য অতন্ত্য প্রয়োজন। মানুষের পুষ্টি ও আমিষের প্রয়োজন মেটাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর কাজ করছে। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রথম পর্যায়ে গত বছর প্রায় ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকার পণ্য ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় বিক্রি করা হয়েছে। এতে উৎপাদক ও খামারি এবং একই সঙ্গে ভোক্তারা উপকৃত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমাণ বিক্রি কার্যক্রম নিয়ে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয় গত ৫ এপ্রিল থেকে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এবং এগুলোর উৎপাদন সামগ্রীর সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য সমন্বয়ক হিসেবে কাজ শুরু করেছে।
এ কারণে দেশের কোথাও দুধ, ডিম, মাছ, মাংসের সরবরাহে কোন ঘাটতি নেই। এ বছরও ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব বিক্রয় কেন্দ্রে বাজার দামের চেয়ে কম দামে ন্যায্যমূল্যে দুধ, ডিম, মাছ, মাংস বিক্রি হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থায় গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭০০, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২১০, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১২০, ডিম ৬ টাকা এবং প্যাকেট দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এ ব্যবস্থায় সারাদেশে এ পর্যন্ত ২২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশেষভাবে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা এবং এর সফল বাস্তবায়নের ফলে করোনার এ অতিমারীর মধ্যেও মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন অব্যাহত রয়েছে এবং এগুলোর বাজারমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে ৮০ লাখ মানুষ জড়িত। সে মানুষগুলো যাতে করোনায় কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, বেকার হয়ে না পড়ে সেজন্য মন্ত্রণালয় এসব কাজ বাস্তবায়ন করছে।