বাগেরহাটে খাবার পানির তীব্র সংকট

বিভিন্ন স্থানে নেমে গেছে পানির স্তর

ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় সিডর ও আইলা ক্ষতিগ্রস্ত বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় সুপেয় পানির ব্যবস্থাপনার অভাব দেখা দিয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাবার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ২০০৭ সালের সিডর পরবর্তী সময়ে মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলায় বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। অথচ প্রতি বছরের মতো এ বছরও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই দেখা দিয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকট। মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকায় খাবার পানির এ সংকট ভয়াবহতায় রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ নলকূপে রয়েছে আর্সেনিক, এরপর অসংখ্য নলকূপ ও পিএসএফ অকেজো অবস্থায় রয়েছে।

তীব্র তাপপ্রবাহে পানি সংকটের খবর পেয়ে সরেজমিন মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, যথাযথ তদারকির অভাবে অধিকাংশ সরকারি নলকূপ ও পিএসএফ অকেজো। পাশাপশি বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে নির্মিত শত শত নলকুপও অকেজো হয়ে পড়ে আছে। মোরেলগঞ্জ পৌর সদরে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা না থাকায় পৌরবাসী বিশুদ্ধ পানির অভাবে অভাবনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৩০৯টি সরকারি ও ৪৫টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশতে কোন টিউবওয়েল নেই। আর যেসব স্কুলে আছে তাও অকেজো অবস্থায় রয়েছে। খুচরা যন্ত্রাংশ ও তত্ত্বাবধায়নের অভাবে এসব নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ে আছে। শত শত নলকূপের যন্ত্রাংশ ইতিপূর্বে চুরি হয়ে গেছে।

একটি চোরাকারবার চক্র এসব নলকূপের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ রাতের আঁধারে চুরি করে বিক্রি করছে। উপজেলার জিউধরা, নিশানবাড়ীয়া, খাউলিয়া, বলইবুনিয়া ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে এ মৌসুমে পানিতে অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে পুকুরের পানি পান করতে পারছে না এলাকাবাসী। এরপর বৃষ্টি নেই। পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে প্রতিটি গ্রামের বাসিন্দাদের দূর-দূরান্ত থেকে মাইলের পর মাইল হেটে, নৌকায় করে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। অনেকে খোলা পুকুর, খাল ও নদী-নালার পানি পান করছে।

সদর ইউনিয়ন ও পৌরবাসীকে খাবার পানির জন্য একমাত্র উপজেলা পরিষদের পুকুরের পানির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তাও বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে গেছে। সকাল থেকে রাতভর এসব পুকুর থেকে সমানভাবে পানি নেয়া হচ্ছে। এছাড়া পৌর সদরের কুঠিবাড়ি, এসএম কলেজ পুকুর থেকে ময়লাযুক্ত পানি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এ কারণে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগসহ নানা রোগে ভুগছে শিশুসহ লোকজন। বিশুদ্ধ পানির অভাবে মোরেলগঞ্জ সদর হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের একটি পুকুর শুকনো এবং পিএসএফ নষ্ট।

খাবার পানি সংকট দেখা দেয়ায় গত সপ্তাহখানেক ধরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কিছু এলাকায় জন-সাধারণের মাঝে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। মোরেলগঞ্জ পৌরসভাটি নামে মাত্র প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হলেও পানি সরবরাহের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বারইখালী ইউনিয়নের উত্তর বারইখালী গ্রামের মো. মোতাহার হোসেন বলেন, পানির কষ্টে মরে যাচ্ছি। ৩ মাইল পথ হেটে এক কলসি পানি আনতে হয়। এক কলসি পানি আনতে ২ ঘণ্টা সময় লাগে। খাবার পানি আনতে তালুকদার বাড়ির পুকুরে যেতে হয়। আমাদের এলাকায় বৃষ্টি না হওয়ায় সব পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে। অন্যদিকে নদীর পানি লবণাক্ত হওয়ায় তা খেতে পারছি না। নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের আমর বুনিয়া গ্রামের পুস্প রানী বালা বলেন, আমাদের এখন খাবার পানিতো দূরের কথা থালা বাসন ধোয়ার মতো পানি নেই। চিংড়ি ঘের এলাকা হওয়ায় যেখানে যেটুকু পানি আছে তাও লবণাক্ত।

সন্ধ্যার পড় ছেলেমেয়ে নিয়ে ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এক কলসি করে পানি নিয়ে আসি। খাউলিয়া ইউনিয়নের বড়পরী এলাকার প্রতিবন্ধী মো. বেল্লাল হাওলাদার বলেন, প্রতিদিন ভ্যানে করে পাঁচ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে পল্লীমঙ্গল সরকারি পুকুর থেকে পানি আনতে হয়। গত তিন মাস ধরে পানির কষ্টে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এছাড়া অযথা হয়রানির ভয়ে একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার ও নারী-পুরুষ এ প্রতিবেদককে বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা সুপেয় পানির জন্য কোন কাজ করেন না।

সাধারণ নাগরিকদের এ পানির সমস্যায় কোন পদক্ষেপ নেয় না। আর কতিপয় এনজিওরা সুপেয় পানি ব্যবস্থাপনার নামে দরিদ্র মানুষদের পুঁজি করে ব্যবসা করে। তার স্থায়ী কোন পানির ব্যবস্থা করে নাই। ধনীরা টাকা দিয়ে বোতল ভরা দামি পানি ক্রয় করে পান করে। মোড়েলগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে সরকারিভাবে ৪৮টি ও বেসরকারিভাবে ১ হাজার ৬০০ পানীয় জলের পুকুর রয়েছে।

পিএসএফ রয়েছে প্রায় ১ হাজার ১০০। এর মধ্যে চালু আছে মাত্র ৩০০টি। বাকিগুলো অকেজো। ১০টি গভীর নলকূপের মধ্যে জিউধরা ইউনিয়নে মাত্র একটি চালু রয়েছে। রেইন ওয়াটার হারবেস্ট্রিং প্ল্যান রয়েছে ৮০টি। সদর ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামে চালু রয়েছে একটি রিংওয়েল (পাত কুয়া)। স্যালো টিউবয়েল রয়েছে ৩ হাজার ৬৭০টি। তারমধ্যে অকেজো আছে ২ হাজারের বেশি। ২০০৩ সালের আর্সেনিক জরিপ অনুযায়ী মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সব ইউনিয়নে কম-বেশি আর্সেনিক চিহ্নিত টিউবওয়েল রয়েছে। তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী দপ্তরের হিসাবের সঙ্গে ব্যস্তবতার কোন মিল নেই বলে জানায় এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১ , ২৮ বৈশাখ ১৪২৮ ২৮ রমজান ১৪৪২

বাগেরহাটে খাবার পানির তীব্র সংকট

বিভিন্ন স্থানে নেমে গেছে পানির স্তর

আজাদুল হক, বাগেরহাট

image

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : পানি সংগ্রহের জন্য কলসী নিয়ে গাঁয়ের মহিলারা যাচ্ছেন দূর-দূরান্তে -সংবাদ

ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় সিডর ও আইলা ক্ষতিগ্রস্ত বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় সুপেয় পানির ব্যবস্থাপনার অভাব দেখা দিয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাবার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ২০০৭ সালের সিডর পরবর্তী সময়ে মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলায় বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। অথচ প্রতি বছরের মতো এ বছরও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই দেখা দিয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকট। মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকায় খাবার পানির এ সংকট ভয়াবহতায় রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ নলকূপে রয়েছে আর্সেনিক, এরপর অসংখ্য নলকূপ ও পিএসএফ অকেজো অবস্থায় রয়েছে।

তীব্র তাপপ্রবাহে পানি সংকটের খবর পেয়ে সরেজমিন মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, যথাযথ তদারকির অভাবে অধিকাংশ সরকারি নলকূপ ও পিএসএফ অকেজো। পাশাপশি বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে নির্মিত শত শত নলকুপও অকেজো হয়ে পড়ে আছে। মোরেলগঞ্জ পৌর সদরে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা না থাকায় পৌরবাসী বিশুদ্ধ পানির অভাবে অভাবনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৩০৯টি সরকারি ও ৪৫টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশতে কোন টিউবওয়েল নেই। আর যেসব স্কুলে আছে তাও অকেজো অবস্থায় রয়েছে। খুচরা যন্ত্রাংশ ও তত্ত্বাবধায়নের অভাবে এসব নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ে আছে। শত শত নলকূপের যন্ত্রাংশ ইতিপূর্বে চুরি হয়ে গেছে।

একটি চোরাকারবার চক্র এসব নলকূপের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ রাতের আঁধারে চুরি করে বিক্রি করছে। উপজেলার জিউধরা, নিশানবাড়ীয়া, খাউলিয়া, বলইবুনিয়া ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে এ মৌসুমে পানিতে অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে পুকুরের পানি পান করতে পারছে না এলাকাবাসী। এরপর বৃষ্টি নেই। পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে প্রতিটি গ্রামের বাসিন্দাদের দূর-দূরান্ত থেকে মাইলের পর মাইল হেটে, নৌকায় করে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। অনেকে খোলা পুকুর, খাল ও নদী-নালার পানি পান করছে।

সদর ইউনিয়ন ও পৌরবাসীকে খাবার পানির জন্য একমাত্র উপজেলা পরিষদের পুকুরের পানির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তাও বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে গেছে। সকাল থেকে রাতভর এসব পুকুর থেকে সমানভাবে পানি নেয়া হচ্ছে। এছাড়া পৌর সদরের কুঠিবাড়ি, এসএম কলেজ পুকুর থেকে ময়লাযুক্ত পানি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এ কারণে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগসহ নানা রোগে ভুগছে শিশুসহ লোকজন। বিশুদ্ধ পানির অভাবে মোরেলগঞ্জ সদর হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের একটি পুকুর শুকনো এবং পিএসএফ নষ্ট।

খাবার পানি সংকট দেখা দেয়ায় গত সপ্তাহখানেক ধরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কিছু এলাকায় জন-সাধারণের মাঝে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। মোরেলগঞ্জ পৌরসভাটি নামে মাত্র প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হলেও পানি সরবরাহের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বারইখালী ইউনিয়নের উত্তর বারইখালী গ্রামের মো. মোতাহার হোসেন বলেন, পানির কষ্টে মরে যাচ্ছি। ৩ মাইল পথ হেটে এক কলসি পানি আনতে হয়। এক কলসি পানি আনতে ২ ঘণ্টা সময় লাগে। খাবার পানি আনতে তালুকদার বাড়ির পুকুরে যেতে হয়। আমাদের এলাকায় বৃষ্টি না হওয়ায় সব পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে। অন্যদিকে নদীর পানি লবণাক্ত হওয়ায় তা খেতে পারছি না। নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের আমর বুনিয়া গ্রামের পুস্প রানী বালা বলেন, আমাদের এখন খাবার পানিতো দূরের কথা থালা বাসন ধোয়ার মতো পানি নেই। চিংড়ি ঘের এলাকা হওয়ায় যেখানে যেটুকু পানি আছে তাও লবণাক্ত।

সন্ধ্যার পড় ছেলেমেয়ে নিয়ে ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এক কলসি করে পানি নিয়ে আসি। খাউলিয়া ইউনিয়নের বড়পরী এলাকার প্রতিবন্ধী মো. বেল্লাল হাওলাদার বলেন, প্রতিদিন ভ্যানে করে পাঁচ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে পল্লীমঙ্গল সরকারি পুকুর থেকে পানি আনতে হয়। গত তিন মাস ধরে পানির কষ্টে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এছাড়া অযথা হয়রানির ভয়ে একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার ও নারী-পুরুষ এ প্রতিবেদককে বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা সুপেয় পানির জন্য কোন কাজ করেন না।

সাধারণ নাগরিকদের এ পানির সমস্যায় কোন পদক্ষেপ নেয় না। আর কতিপয় এনজিওরা সুপেয় পানি ব্যবস্থাপনার নামে দরিদ্র মানুষদের পুঁজি করে ব্যবসা করে। তার স্থায়ী কোন পানির ব্যবস্থা করে নাই। ধনীরা টাকা দিয়ে বোতল ভরা দামি পানি ক্রয় করে পান করে। মোড়েলগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে সরকারিভাবে ৪৮টি ও বেসরকারিভাবে ১ হাজার ৬০০ পানীয় জলের পুকুর রয়েছে।

পিএসএফ রয়েছে প্রায় ১ হাজার ১০০। এর মধ্যে চালু আছে মাত্র ৩০০টি। বাকিগুলো অকেজো। ১০টি গভীর নলকূপের মধ্যে জিউধরা ইউনিয়নে মাত্র একটি চালু রয়েছে। রেইন ওয়াটার হারবেস্ট্রিং প্ল্যান রয়েছে ৮০টি। সদর ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামে চালু রয়েছে একটি রিংওয়েল (পাত কুয়া)। স্যালো টিউবয়েল রয়েছে ৩ হাজার ৬৭০টি। তারমধ্যে অকেজো আছে ২ হাজারের বেশি। ২০০৩ সালের আর্সেনিক জরিপ অনুযায়ী মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সব ইউনিয়নে কম-বেশি আর্সেনিক চিহ্নিত টিউবওয়েল রয়েছে। তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী দপ্তরের হিসাবের সঙ্গে ব্যস্তবতার কোন মিল নেই বলে জানায় এলাকাবাসী।