ঈদযাত্রায় সচেতনতা জরুরি

ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার তাগিদে প্রতি বছরই লঞ্চ, বাস ও ট্রেনে থাকে উপচে পড়া ভিড়। তবে করোনা মহামারীর কারণে গতবছর থেকেই এই আনন্দ ম্লান হয়েছে। দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর এই দ্বিতীয় ঢেউ প্রথম ঢেউয়ের থেকেও ভয়াবহ। সংক্রমণ কমাতে সরকার বাধ্য হয়েই ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন জারি করেছে। আসন্ন ইদকে সামনে রেখে লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হলেও বন্ধ করা হয়েছে দূরপাল্লার আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনগণ যেন কর্মস্থলেই থাকে সে জন্য ঈদে সরকারি ও বেসরকারি ছুটিও মাত্র ৩ দিন করা হয়েছে। তবুও সব বাধা পেরিয়ে কমছে না ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপ। সবাই যেন শেকড়ের টানে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

এদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু এক নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। অন্যদিকে নৌপথেও মাঝে-মাঝেই ঘটে বড় রকমের দুর্ঘটনা, যা সড়ক দুর্ঘটনার থেকেও ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। ঈদে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে গন্তব্যে ছুটে চলায় এসব দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই ঈদযাত্রা যেন বিষাদে রূপ না নেয় সেদিকে নজর দেয়া জরুরি। গত শনিবারে দেশে ইতিমধ্যেই যশোরের কোয়ারেন্টিনে ৬ জনের মাঝে ভারতের করোনা মিউটেশন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। এটি যদি দেশে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ভারতের মতো ভয়াবহ পরিণতির শিকার হবে বাংলাদেশও। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারের ঈদে নিজ নিজ স্থানে অবস্থান না করলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানো হয়তো সম্ভব হবে না। করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার গৃহীত পদক্ষেপগুলোর পাশাপাশি জনগণের সজাগ দৃষ্টিভঙ্গিও প্রয়োজন। একমাত্র ব্যক্তি সচেতনতাই পারে করোনা থেকে রক্ষা করতে।

রুকাইয়া মিজান মিমি

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১ , ২৮ বৈশাখ ১৪২৮ ২৮ রমজান ১৪৪২

ঈদযাত্রায় সচেতনতা জরুরি

ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার তাগিদে প্রতি বছরই লঞ্চ, বাস ও ট্রেনে থাকে উপচে পড়া ভিড়। তবে করোনা মহামারীর কারণে গতবছর থেকেই এই আনন্দ ম্লান হয়েছে। দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর এই দ্বিতীয় ঢেউ প্রথম ঢেউয়ের থেকেও ভয়াবহ। সংক্রমণ কমাতে সরকার বাধ্য হয়েই ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন জারি করেছে। আসন্ন ইদকে সামনে রেখে লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হলেও বন্ধ করা হয়েছে দূরপাল্লার আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনগণ যেন কর্মস্থলেই থাকে সে জন্য ঈদে সরকারি ও বেসরকারি ছুটিও মাত্র ৩ দিন করা হয়েছে। তবুও সব বাধা পেরিয়ে কমছে না ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপ। সবাই যেন শেকড়ের টানে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

এদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু এক নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। অন্যদিকে নৌপথেও মাঝে-মাঝেই ঘটে বড় রকমের দুর্ঘটনা, যা সড়ক দুর্ঘটনার থেকেও ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। ঈদে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে গন্তব্যে ছুটে চলায় এসব দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই ঈদযাত্রা যেন বিষাদে রূপ না নেয় সেদিকে নজর দেয়া জরুরি। গত শনিবারে দেশে ইতিমধ্যেই যশোরের কোয়ারেন্টিনে ৬ জনের মাঝে ভারতের করোনা মিউটেশন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। এটি যদি দেশে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ভারতের মতো ভয়াবহ পরিণতির শিকার হবে বাংলাদেশও। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারের ঈদে নিজ নিজ স্থানে অবস্থান না করলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানো হয়তো সম্ভব হবে না। করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার গৃহীত পদক্ষেপগুলোর পাশাপাশি জনগণের সজাগ দৃষ্টিভঙ্গিও প্রয়োজন। একমাত্র ব্যক্তি সচেতনতাই পারে করোনা থেকে রক্ষা করতে।

রুকাইয়া মিজান মিমি

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।