করোনার মধ্যেও ৩০ শতাংশ গাড়ি বিক্রি বেড়েছে যুক্তরাজ্যে

করোনার মধ্যে প্রথমদিকে বৈশ্বিক গাড়ি বিক্রিতে ধস নামলেও ধীরে ধীরে বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। এতে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতারা। যদিও মহামারীর আগের সময়ের চেয়ে বিক্রি কম হচ্ছে, তবু শোরুমগুলো চালু হওয়ায় আশার আলো দেখছেন তারা। অন্তত গত বছরের তুলনায় গাড়ি বিক্রি বেড়েছে। রয়টার্স।

দ্য সোসাইটি অব মোটর ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ট্রেডার্সের (এসএমএমটি) হিসাব অনুযায়ী, গত মাসে ১ লাখ ৪১ হাজার ৬০০টি যানবাহন বিক্রি হয়েছে, যা গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় ৩০ গুণ বেশি। গত বছর এ সময়ে দেশটিতে সামগ্রিক লকডাউন ঘোষণা করায় গাড়ি বিক্রি রীতিমতো ৯৭ শতাংশ কমে গিয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গত বছরই প্রথম গাড়ি বিক্রি খাতে এমন মন্দা দেখা দেয়। ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের সঙ্গে তুলনা করলে বর্তমানে গাড়ি বিক্রির হার ১৩ শতাংশ কম। তবে আশা করা হচ্ছে ২০২১ সালে ১৮ লাখ ৬০ হাজারটি গাড়ি বিক্রি করা যাবে। আর যদি এ পরিমাণে গাড়ি বিক্রি হয়, তবে তা ২০২০ সালের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি হবে। এজন্য যুক্তরাজ্যজুড়ে চলমান টিকাদান কর্মসূচিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংস্থাটি।

এসএমএমটির প্রধান নির্বাহী মাইক হাওয়েস বলেন, ‘মোটরগাড়ি খাতের সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন বছরটি পার করার পর সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় আমরা একটু আলো দেখতে পাচ্ছি। এ খাত পুরোপুরি মহামারীর আগের পর্যায়ে যেতে সময় লাগবে। কিন্তু শোরুমগুলো খুলে দেয়ার কারণে গ্রাহকরা নিজেরা এসে গাড়ি দেখতে পারছেন। প্রয়োজনে পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ি চালাতে পারছেন। ফলে আশা করছি যে খাতটি দ্রুত পুনর্গঠিত হবে।’

চলতি বছর প্রথম চার মাসেই নতুন গাড়ির জন্য নিবন্ধনের আবেদন জমা পড়েছে ৫ লাখ ৬৭ হাজার। মহামারীপূর্ব সময়ের চেয়ে যদিও তা এক-তৃতীয়াংশ কম। করোনাভাইরাসজনিত মহামারীর কারণে গোটা বিশ্বজুড়েই ২০২০ সালে গাড়ির বিক্রি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ কমানোর ঘোষণা দিয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারও গত বছর চাঙ্গা হতে শুরু করেছিল।

কিন্তু হঠাৎ কভিড-১৯-এর আক্রমণে সব এলোমেলো হয়ে গেছে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিকে উৎসাহ দেয়ার প্রতিষ্ঠান নিউ অটোমোটিভের পরিসংখ্যান মতে, এপ্রিলজুড়ে ফক্সওয়াগনের বৈদ্যুতিক গাড়ি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। আইডিথ্রি নামে নতুন একটি মডেল বাজারে এনেছে জার্মান এ প্রতিষ্ঠান। আর বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির খাতে তারা বিনিয়োগও করেছে প্রচুর। তবে যুক্তরাজ্যের বাজারে এখনও গাড়ির ব্যাটারির বিক্রি আগের মতো হয়নি। বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রিতে দ্বিতীয় স্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়া।

বুধবার, ১২ মে ২০২১ , ২৯ বৈশাখ ১৪২৮ ২৯ রমজান ১৪৪২

করোনার মধ্যেও ৩০ শতাংশ গাড়ি বিক্রি বেড়েছে যুক্তরাজ্যে

সংবাদ ডেস্ক

করোনার মধ্যে প্রথমদিকে বৈশ্বিক গাড়ি বিক্রিতে ধস নামলেও ধীরে ধীরে বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। এতে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতারা। যদিও মহামারীর আগের সময়ের চেয়ে বিক্রি কম হচ্ছে, তবু শোরুমগুলো চালু হওয়ায় আশার আলো দেখছেন তারা। অন্তত গত বছরের তুলনায় গাড়ি বিক্রি বেড়েছে। রয়টার্স।

দ্য সোসাইটি অব মোটর ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ট্রেডার্সের (এসএমএমটি) হিসাব অনুযায়ী, গত মাসে ১ লাখ ৪১ হাজার ৬০০টি যানবাহন বিক্রি হয়েছে, যা গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় ৩০ গুণ বেশি। গত বছর এ সময়ে দেশটিতে সামগ্রিক লকডাউন ঘোষণা করায় গাড়ি বিক্রি রীতিমতো ৯৭ শতাংশ কমে গিয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গত বছরই প্রথম গাড়ি বিক্রি খাতে এমন মন্দা দেখা দেয়। ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের সঙ্গে তুলনা করলে বর্তমানে গাড়ি বিক্রির হার ১৩ শতাংশ কম। তবে আশা করা হচ্ছে ২০২১ সালে ১৮ লাখ ৬০ হাজারটি গাড়ি বিক্রি করা যাবে। আর যদি এ পরিমাণে গাড়ি বিক্রি হয়, তবে তা ২০২০ সালের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি হবে। এজন্য যুক্তরাজ্যজুড়ে চলমান টিকাদান কর্মসূচিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংস্থাটি।

এসএমএমটির প্রধান নির্বাহী মাইক হাওয়েস বলেন, ‘মোটরগাড়ি খাতের সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন বছরটি পার করার পর সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় আমরা একটু আলো দেখতে পাচ্ছি। এ খাত পুরোপুরি মহামারীর আগের পর্যায়ে যেতে সময় লাগবে। কিন্তু শোরুমগুলো খুলে দেয়ার কারণে গ্রাহকরা নিজেরা এসে গাড়ি দেখতে পারছেন। প্রয়োজনে পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ি চালাতে পারছেন। ফলে আশা করছি যে খাতটি দ্রুত পুনর্গঠিত হবে।’

চলতি বছর প্রথম চার মাসেই নতুন গাড়ির জন্য নিবন্ধনের আবেদন জমা পড়েছে ৫ লাখ ৬৭ হাজার। মহামারীপূর্ব সময়ের চেয়ে যদিও তা এক-তৃতীয়াংশ কম। করোনাভাইরাসজনিত মহামারীর কারণে গোটা বিশ্বজুড়েই ২০২০ সালে গাড়ির বিক্রি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ কমানোর ঘোষণা দিয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারও গত বছর চাঙ্গা হতে শুরু করেছিল।

কিন্তু হঠাৎ কভিড-১৯-এর আক্রমণে সব এলোমেলো হয়ে গেছে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিকে উৎসাহ দেয়ার প্রতিষ্ঠান নিউ অটোমোটিভের পরিসংখ্যান মতে, এপ্রিলজুড়ে ফক্সওয়াগনের বৈদ্যুতিক গাড়ি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। আইডিথ্রি নামে নতুন একটি মডেল বাজারে এনেছে জার্মান এ প্রতিষ্ঠান। আর বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির খাতে তারা বিনিয়োগও করেছে প্রচুর। তবে যুক্তরাজ্যের বাজারে এখনও গাড়ির ব্যাটারির বিক্রি আগের মতো হয়নি। বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রিতে দ্বিতীয় স্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়া।