সোহরাওয়ার্দীর গাছ কাটা বন্ধের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ২০ মে পর্যন্ত যেন গাছ কাটা না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা ও রেস্তোরাঁ নির্মাণ কাজের স্থিতাবস্থা চেয়ে করা আদালত অবমাননার আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ওই দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

গতকাল বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন আগামী ২০ মে তারিখ নির্ধারণের আবেদন করেন। তিনি আদালতকে বলেন, যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আগে তাকে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

পাশাপাশি, এ সংক্রান্ত আরও একটি রিট আবেদন হাইকোর্টে অন্য একটি বেঞ্চে রয়েছে। আমিন উদ্দিন বলেন, দুটি আবেদনের ওপর একসঙ্গে শুনানি হতে পারে।

আদালত অবমাননার অভিযোগে গত রোববার আইনজীবী মাহবুবুল ইসলাম ও রিপন বাড়ইয়ের পক্ষে মনজিল মোরসেদ আবেদনটি করেছিলেন। ২০০৯ সালের ৭ জুলাই এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুক্ত সংশ্লিষ্ট ঐতিহাসিক স্থানগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

তাতে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু যেখানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চে ভাষণ দিয়েছিলেন এবং ১৬ ডিসেম্বর যেখানে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল, সেই জায়গাও সংরক্ষণের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাষণ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া, ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বঙ্গবন্ধুকে সম্ভাষণ জানিয়েছিলেন।

বুধবার, ১২ মে ২০২১ , ২৯ বৈশাখ ১৪২৮ ২৯ রমজান ১৪৪২

সোহরাওয়ার্দীর গাছ কাটা বন্ধের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ২০ মে পর্যন্ত যেন গাছ কাটা না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা ও রেস্তোরাঁ নির্মাণ কাজের স্থিতাবস্থা চেয়ে করা আদালত অবমাননার আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ওই দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

গতকাল বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন আগামী ২০ মে তারিখ নির্ধারণের আবেদন করেন। তিনি আদালতকে বলেন, যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আগে তাকে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

পাশাপাশি, এ সংক্রান্ত আরও একটি রিট আবেদন হাইকোর্টে অন্য একটি বেঞ্চে রয়েছে। আমিন উদ্দিন বলেন, দুটি আবেদনের ওপর একসঙ্গে শুনানি হতে পারে।

আদালত অবমাননার অভিযোগে গত রোববার আইনজীবী মাহবুবুল ইসলাম ও রিপন বাড়ইয়ের পক্ষে মনজিল মোরসেদ আবেদনটি করেছিলেন। ২০০৯ সালের ৭ জুলাই এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুক্ত সংশ্লিষ্ট ঐতিহাসিক স্থানগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

তাতে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু যেখানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চে ভাষণ দিয়েছিলেন এবং ১৬ ডিসেম্বর যেখানে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল, সেই জায়গাও সংরক্ষণের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাষণ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া, ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বঙ্গবন্ধুকে সম্ভাষণ জানিয়েছিলেন।