ফিরে দেখা শওকত ওসমান

‘শওকত, তুমি নাও, না বলো না।’ আহসান চাচা নরম সুরে, কথাশিল্পী শওকত ওসমানকে অনুরোধ জানালেন।

‘না না, এ আমি নিতে পারবো না।’ কথাশিল্পী শওকত ওসমানের সাফ জবাব।

‘শওকত তুমি কেন বুঝতে চাইছো না, তোমার পাঁচ ছেলে মেয়ে বড় হলে ওদের, কাজে লাগবে।’

‘আরে, আমার তো রয়েছে, আমি আবার নিতে যাবো কেনো?’

‘এ-টা, তোমায় সম্মান করে দিচ্ছে, তুমি কেন নিবে না?’

‘সম্মান করে দিচ্ছে না মুখ বন্ধ করার জন্য দিচ্ছে!’

‘তোমার বড় বড় বন্ধুরা, কবি-সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ভাইস চ্যান্সেলার, সবাই নিচ্ছে তুমি নেবে না কেন!!’

‘ওরা তোষামদকারী- ওদের কপালে এসব উচ্ছিষ্ট জুটবেই। ’

‘শওকত এটা সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের সিদ্ধান্ত : দেশের শিল্পী সাহিত্যিকরা যাতে তাদের, নিজ নিজ কাজে আরো ভালো করতে পারে তাই এই প্রকল্প। শওকত আমি এই প্রকল্পের পরিচালক, তুমি আমার কথা শোনো।’

‘অজিত দা, সত্যেন সেন, রণেশ দাশ গুপ্ত- কল্যাণ মিত্র, লিস্টে তো এদের নাম দেখলাম না?’

‘পাকিস্তান সরকার হিন্দুদের কীভাবে সহযোগিতা করবে? তাছাড়া এ প্রকল্প তো কেবলমাত্র মুসলিম সাহিত্যিক, শিক্ষক-শিল্পী এঁদের জন্য।’

‘এসব সুবিধা দেওয়া, পাকিস্তান সরকারের চাল। পাকিস্তানিদের, বিরুদ্ধে যাতে কেউ কথা না বলে।’

‘শওকত সব সরকারই চাইবে নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশ চালাতে। তুমি জমিটা নাও, বনানীর চেয়ারম্যান বাড়িতে এক বিঘা জমি। তুমি বললে, আমি নিজেই তোমার নামে দরখাস্ত লিখে বরাদ্দ দিয়ে দিবো-তুমি শুধু দস্তখত দিয়ে দিও।’

‘না না, এ জমি আমি নিবো না। আমাদের রাজার বাগে দশ’কাঠা জমি শ্বশুর জনাব কাূসার আলী সাহেব কিনে দিয়েছেন। আমার আর লাগবে না।’

‘ঠিক আছে-তুমি যা ভালো বোঝো। তবে আমি বলবো একবার ভেবে দেখলে পারতে।’

‘আহসান তুমি বুঝছো না কেন, পাকিস্তান সরকার পূর্ব-পাকিস্তানে কিছু চাটুকার তৈরির জন্য এই প্রকল্প নিয়েছে।’

‘হয়তো বা, তবে অনেকেই নিয়েছে, নিচ্ছে। তোমার খুব কাছের বন্ধুরাও নিয়েছে।’

‘বাদ দাও, জীবনে কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করিনি এসব সরকারি অনুগ্রহ আমার লাগবে না।’

‘একবার ভেবে দেখলে পারতে, তোমার একার উপর এতো বড় সংসার, পাঁচ ছেলে-মেয়ে, ওদেও দাদি, ভাবি, তোমার ছোটভাই, তোমার শ্যালকের ছেলে, তোমার ভায়ের ছেলে, বাড়িতে দু-জন, গৃহ-কর্ম সহায়ক, মাঝে মাঝে চাটগাঁ থেকে করিম সাহেবের ছেলে মেয়েরা এসে থাকছে...’

‘থাক ওসব বাদ দাও। এ জমি আমার লাগবে না।’

‘ঠিক আছে।’

হতাশার সুর সিএসপি অফিসার একেএম.আহ্সান চাচার কণ্ঠে। পরর্বতীতে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্ল্যানিং কমিশনের চেয়ারম্যান হয়ে অবসরে যান।

এই হচ্ছে তৎকালীন র্পূব-পাকিস্তানের ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কথাশিল্পী শওকত ওসমান।

জাগতিক বিষয়ের লোভ লালসার উর্দ্ধে উঠে উনারা জীবনটাকে সৎ সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন। লোভ লালসার কাছে কখোনও মাথানত করেননি।

মানুষকে মানুষ মনে করেছেন। মানুষের জন্য মানুষের উপকারের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তখন সমাজে এমন অফিসার দেখা গেছে যে বন্যার সময়, তার পুরো বেতনের মাত্র দশ ভাগ রেখে বেতনের বাকি নব্বই ভাগ টাকা আর্ত-মানবেতার সেবায় দান করছেন।

বর্বর পাকিস্তানি শাষকদের সময় পূর্বপাকিস্তানের বাঙালিরা যেন সবাই একই পরিবারের সন্তানের মতো জীবন অতিবাহিত করতো।

প্রতিটি পাড়া যেন ছিল এক একটি যৌথ পরিবার। এক বাড়িতে ভালো-মন্দ রান্না হলে- সে তার প্রতিবেশীর বাড়িতে তরকারি পাঠাতো।

কোথাও কোনো অন্যায় হলে- ছাত্র জনতা সবাই একবাক্যে প্রতিবাদ করেছেন। কেউ কোনোদিন শোনেনি যে বাঙালি হয়ে বাঙালি নিধনে, বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বর্বর পাকিসÍানি শাসনামলে এ কথা কখনো স্বপ্নেও ভাবা যেত না যেÑ ছাত্ররা লেখাপড়া ছেড়ে টেন্ডারবাজি বা চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছেন।

আর বর্তমানে বাংলাদেশে যখন দেখি- হুসেইন মোহম্মদ এরশাদের আমলে মাত্র এক টাকায় সংবাদপত্রের সম্পাদক মহাশয় আস্ত চারতলা বাড়ির মালিক হচ্ছেন, তখন আর বলার কিছু থাকে না!

মেম্বার পার্লামেন্ট হলেই শুল্কমুক্ত কোটি টাকার গাড়ি!

কেনরে ভাই, তোমাদের সংবিধানের কোথায় লেখা আছে যে, এমপি গাড়ি আমদানি করলে শুল্ক লাগবেনা!!

এ তো যে কোনো অন্ধও বোঝে- তোমাদের যখন সরকার গাড়ি, বাড়ি, জমির প্লট দেন সে তো সরকারের তোষামোদির জন্য।

আর বর্তমানে বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে কথাশিল্পী শওকত ওসমানদের, মতো একটি লোকও পাওয়া যাবে না যে সরকার হাড্ডি ছুড়ে দিলে লুফে নিবে না!

সেদিন একটি দৈনিকের সম্পাদক বড় বেদনার সঙ্গে বললেন, ‘আগে ধনীরা অ্যালসেশিয়ান শারমেয় পালন করতো চোর ঠেকানোর জন্য, আর এখন ধনীরা পা-চাঁটা সাংবাদিক লালন করে চুরি ঢাকবার জন্য।’

এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম বুঝি!

বাঙালি হয়ে বাঙালি নিধন!

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, গণফোরাম, গামছা পার্টি, হেফাজতে ইসলাম এঁরা সবাই মুসলমান।

প্রধাণমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, তাহাজ্জুতের নামাজ আদায় করেন। জাতীয় পার্টির হুসেইন মোহম্মদ এরশাদ তো পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালার স্বপ্নে নির্দেশিত বিশেষ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতেন। মির্জা আব্বাস তার এলাকায় মসজিদ নির্মাণ করেছেন।

তাহলে তোমরা সব মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই কি করে, একে অপরের বিরুদ্ধে বোমাবাজি করো!! একুশে অগাস্টে গ্রেনেড হামলা করো??

এই বাংলাদেশ গড়ার জন্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কি তার জীবনবাজি রেখেছিলেন!! এই বাংলাদেশের জন্য লক্ষ লক্ষ বীর মুক্তি যোদ্ধা প্রাণ-উৎসর্গ করেছিলেন?

কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ব্যথিত হৃদয়ে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে- ‘হে মহান কথাশিল্পী আপনাদের মতো হৃদয়বান মানুষেরা মরে গিয়ে সারা বাঙালি জাতিকে মেরে গেছেন।’

[লেখক : চিত্রনির্মাতা]

বুধবার, ১২ মে ২০২১ , ২৯ বৈশাখ ১৪২৮ ২৯ রমজান ১৪৪২

ফিরে দেখা শওকত ওসমান

জাঁ-নেসার ওসমান

‘শওকত, তুমি নাও, না বলো না।’ আহসান চাচা নরম সুরে, কথাশিল্পী শওকত ওসমানকে অনুরোধ জানালেন।

‘না না, এ আমি নিতে পারবো না।’ কথাশিল্পী শওকত ওসমানের সাফ জবাব।

‘শওকত তুমি কেন বুঝতে চাইছো না, তোমার পাঁচ ছেলে মেয়ে বড় হলে ওদের, কাজে লাগবে।’

‘আরে, আমার তো রয়েছে, আমি আবার নিতে যাবো কেনো?’

‘এ-টা, তোমায় সম্মান করে দিচ্ছে, তুমি কেন নিবে না?’

‘সম্মান করে দিচ্ছে না মুখ বন্ধ করার জন্য দিচ্ছে!’

‘তোমার বড় বড় বন্ধুরা, কবি-সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ভাইস চ্যান্সেলার, সবাই নিচ্ছে তুমি নেবে না কেন!!’

‘ওরা তোষামদকারী- ওদের কপালে এসব উচ্ছিষ্ট জুটবেই। ’

‘শওকত এটা সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের সিদ্ধান্ত : দেশের শিল্পী সাহিত্যিকরা যাতে তাদের, নিজ নিজ কাজে আরো ভালো করতে পারে তাই এই প্রকল্প। শওকত আমি এই প্রকল্পের পরিচালক, তুমি আমার কথা শোনো।’

‘অজিত দা, সত্যেন সেন, রণেশ দাশ গুপ্ত- কল্যাণ মিত্র, লিস্টে তো এদের নাম দেখলাম না?’

‘পাকিস্তান সরকার হিন্দুদের কীভাবে সহযোগিতা করবে? তাছাড়া এ প্রকল্প তো কেবলমাত্র মুসলিম সাহিত্যিক, শিক্ষক-শিল্পী এঁদের জন্য।’

‘এসব সুবিধা দেওয়া, পাকিস্তান সরকারের চাল। পাকিস্তানিদের, বিরুদ্ধে যাতে কেউ কথা না বলে।’

‘শওকত সব সরকারই চাইবে নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশ চালাতে। তুমি জমিটা নাও, বনানীর চেয়ারম্যান বাড়িতে এক বিঘা জমি। তুমি বললে, আমি নিজেই তোমার নামে দরখাস্ত লিখে বরাদ্দ দিয়ে দিবো-তুমি শুধু দস্তখত দিয়ে দিও।’

‘না না, এ জমি আমি নিবো না। আমাদের রাজার বাগে দশ’কাঠা জমি শ্বশুর জনাব কাূসার আলী সাহেব কিনে দিয়েছেন। আমার আর লাগবে না।’

‘ঠিক আছে-তুমি যা ভালো বোঝো। তবে আমি বলবো একবার ভেবে দেখলে পারতে।’

‘আহসান তুমি বুঝছো না কেন, পাকিস্তান সরকার পূর্ব-পাকিস্তানে কিছু চাটুকার তৈরির জন্য এই প্রকল্প নিয়েছে।’

‘হয়তো বা, তবে অনেকেই নিয়েছে, নিচ্ছে। তোমার খুব কাছের বন্ধুরাও নিয়েছে।’

‘বাদ দাও, জীবনে কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করিনি এসব সরকারি অনুগ্রহ আমার লাগবে না।’

‘একবার ভেবে দেখলে পারতে, তোমার একার উপর এতো বড় সংসার, পাঁচ ছেলে-মেয়ে, ওদেও দাদি, ভাবি, তোমার ছোটভাই, তোমার শ্যালকের ছেলে, তোমার ভায়ের ছেলে, বাড়িতে দু-জন, গৃহ-কর্ম সহায়ক, মাঝে মাঝে চাটগাঁ থেকে করিম সাহেবের ছেলে মেয়েরা এসে থাকছে...’

‘থাক ওসব বাদ দাও। এ জমি আমার লাগবে না।’

‘ঠিক আছে।’

হতাশার সুর সিএসপি অফিসার একেএম.আহ্সান চাচার কণ্ঠে। পরর্বতীতে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্ল্যানিং কমিশনের চেয়ারম্যান হয়ে অবসরে যান।

এই হচ্ছে তৎকালীন র্পূব-পাকিস্তানের ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কথাশিল্পী শওকত ওসমান।

জাগতিক বিষয়ের লোভ লালসার উর্দ্ধে উঠে উনারা জীবনটাকে সৎ সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন। লোভ লালসার কাছে কখোনও মাথানত করেননি।

মানুষকে মানুষ মনে করেছেন। মানুষের জন্য মানুষের উপকারের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তখন সমাজে এমন অফিসার দেখা গেছে যে বন্যার সময়, তার পুরো বেতনের মাত্র দশ ভাগ রেখে বেতনের বাকি নব্বই ভাগ টাকা আর্ত-মানবেতার সেবায় দান করছেন।

বর্বর পাকিস্তানি শাষকদের সময় পূর্বপাকিস্তানের বাঙালিরা যেন সবাই একই পরিবারের সন্তানের মতো জীবন অতিবাহিত করতো।

প্রতিটি পাড়া যেন ছিল এক একটি যৌথ পরিবার। এক বাড়িতে ভালো-মন্দ রান্না হলে- সে তার প্রতিবেশীর বাড়িতে তরকারি পাঠাতো।

কোথাও কোনো অন্যায় হলে- ছাত্র জনতা সবাই একবাক্যে প্রতিবাদ করেছেন। কেউ কোনোদিন শোনেনি যে বাঙালি হয়ে বাঙালি নিধনে, বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বর্বর পাকিসÍানি শাসনামলে এ কথা কখনো স্বপ্নেও ভাবা যেত না যেÑ ছাত্ররা লেখাপড়া ছেড়ে টেন্ডারবাজি বা চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছেন।

আর বর্তমানে বাংলাদেশে যখন দেখি- হুসেইন মোহম্মদ এরশাদের আমলে মাত্র এক টাকায় সংবাদপত্রের সম্পাদক মহাশয় আস্ত চারতলা বাড়ির মালিক হচ্ছেন, তখন আর বলার কিছু থাকে না!

মেম্বার পার্লামেন্ট হলেই শুল্কমুক্ত কোটি টাকার গাড়ি!

কেনরে ভাই, তোমাদের সংবিধানের কোথায় লেখা আছে যে, এমপি গাড়ি আমদানি করলে শুল্ক লাগবেনা!!

এ তো যে কোনো অন্ধও বোঝে- তোমাদের যখন সরকার গাড়ি, বাড়ি, জমির প্লট দেন সে তো সরকারের তোষামোদির জন্য।

আর বর্তমানে বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে কথাশিল্পী শওকত ওসমানদের, মতো একটি লোকও পাওয়া যাবে না যে সরকার হাড্ডি ছুড়ে দিলে লুফে নিবে না!

সেদিন একটি দৈনিকের সম্পাদক বড় বেদনার সঙ্গে বললেন, ‘আগে ধনীরা অ্যালসেশিয়ান শারমেয় পালন করতো চোর ঠেকানোর জন্য, আর এখন ধনীরা পা-চাঁটা সাংবাদিক লালন করে চুরি ঢাকবার জন্য।’

এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম বুঝি!

বাঙালি হয়ে বাঙালি নিধন!

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, গণফোরাম, গামছা পার্টি, হেফাজতে ইসলাম এঁরা সবাই মুসলমান।

প্রধাণমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, তাহাজ্জুতের নামাজ আদায় করেন। জাতীয় পার্টির হুসেইন মোহম্মদ এরশাদ তো পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালার স্বপ্নে নির্দেশিত বিশেষ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতেন। মির্জা আব্বাস তার এলাকায় মসজিদ নির্মাণ করেছেন।

তাহলে তোমরা সব মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই কি করে, একে অপরের বিরুদ্ধে বোমাবাজি করো!! একুশে অগাস্টে গ্রেনেড হামলা করো??

এই বাংলাদেশ গড়ার জন্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কি তার জীবনবাজি রেখেছিলেন!! এই বাংলাদেশের জন্য লক্ষ লক্ষ বীর মুক্তি যোদ্ধা প্রাণ-উৎসর্গ করেছিলেন?

কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ব্যথিত হৃদয়ে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে- ‘হে মহান কথাশিল্পী আপনাদের মতো হৃদয়বান মানুষেরা মরে গিয়ে সারা বাঙালি জাতিকে মেরে গেছেন।’

[লেখক : চিত্রনির্মাতা]