১৪ দিন পর ফিরুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুরোধ

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তদের ৫ জনই সুস্থ আছেন

ঈদে যারা ঢাকা ছেড়েছেন তাদের ১৪ দিন পর ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পাশাপাশি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন একদম সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম। গতকাল ভার্চুয়াল বিফ্রিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সরকার পরামর্শ দিয়েছিল আমরা যেন এবারের ঈদে নিজ নিজ অবস্থান ছেড়ে বাইরে চলে না যাই। কিন্তু আমরা দেখেছি, বিপুল সংখ্যক মানুষ এই পরামর্শ উপেক্ষা করে নানাভাবে ঘরে ফেরার চেষ্টা করেছেন। সেখানে কিছু মর্মান্তিক দৃশ্য দেখেছি। যারা বাড়িতে গেছেন এখনও অফিস খোলেনি। স্কুল-কলেজে দেরি করে ফিরলেও কোন ক্ষতি হচ্ছে না, তারা অন্তত সাত থেকে ১৪ দিন দেরি করে ফিরে আসবেন।

নাজমুল ইসলাম বলেন, যাদের ইতোমধ্যে উপসর্গ দেখা গেছে, তারা নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা জেলা সদর হাসপাতালে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অবশ্যই করিয়ে নেবেন। ফিরে আসার সময় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। ভারত থেকে যারা আসছেন তাদের কাউকে কাউকে আমরা দেখেছি আইন অমান্য করে পালিয়ে যেতে। তারা এই কাজটি যেন না করেন। অন্যের জীবনকে যেন ঝুঁকির মুখে না ফেলেন। জেনেশুনে আমরা যেন নিজের দেশের ক্ষতির কারণ না হই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত থেকে যারা এসেছেন তাদের আমরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রেখেছি। যাদের উপসর্গ আছে তাদের নিয়মিত পরীক্ষা করছি। গত মাসে শেষ সপ্তাহে যে পরীক্ষাগুলো করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে যাদের পজেটিভ পাওয়া গিয়েছিল, সেখান থেকে জিনোম সিকোয়েন্সে মাধ্যমে আমরা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টকে চিহ্নিত করতে পেরেছি।

ভারত থেকে যারা আসছে তাদের কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। যাদের ১৪ দিন হয়ে যাচ্ছে তাদের আমরা পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দিচ্ছি। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন একদম সুস্থ আছেন। যে ৫ জন সুস্থ হয়েছেন তাদের কন্টাক্ট ট্রেসিং করেও আর কোন সংক্রামিত রোগী পাইনি। সর্বশেষ আমরা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ৬ জনের নমুনায় পেয়েছি। নতুন করে জিনোম সিকোয়েন্স হচ্ছে, যদি আরও পাই তাহলে সেটিও জানিয়ে দেব।

নাজমুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কম থাকলেও এ নিয়ে আত্মতুষ্টি বা সন্তুষ্টির কোন কারণ নেই। এ ধরনের সংখ্যা যদি দিনের পর দিন পেতে থাকি তবেই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি। তার আগে পর্যন্ত মনে রাখতে হবে, সংক্রমণের যে দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভ চলছে আমরা তার মাঝখানে আছি। সেখান থেকে এখনও পরিত্রাণ পাইনি। কাজেই সবাইকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ৩টি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে নাগরিকরা ফিরে আসছেন। ফিরে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের চিকিৎসা প্রয়োজন তাদের স্থানীয় জেলা, বিশেষায়িত কিংবা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা প্রদানের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া তাদের জন্য রাজধানীর মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে সম্প্রতি খোলা ১০০ বেডও রয়েছে। প্রয়োজন হলে তাদের সেখানে রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।

সোমবার, ১৭ মে ২০২১ , ৩০ বৈশাখ ১৪২৮ ৩০ রমজান ১৪৪২

১৪ দিন পর ফিরুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুরোধ

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তদের ৫ জনই সুস্থ আছেন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ঈদে যারা ঢাকা ছেড়েছেন তাদের ১৪ দিন পর ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পাশাপাশি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন একদম সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম। গতকাল ভার্চুয়াল বিফ্রিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সরকার পরামর্শ দিয়েছিল আমরা যেন এবারের ঈদে নিজ নিজ অবস্থান ছেড়ে বাইরে চলে না যাই। কিন্তু আমরা দেখেছি, বিপুল সংখ্যক মানুষ এই পরামর্শ উপেক্ষা করে নানাভাবে ঘরে ফেরার চেষ্টা করেছেন। সেখানে কিছু মর্মান্তিক দৃশ্য দেখেছি। যারা বাড়িতে গেছেন এখনও অফিস খোলেনি। স্কুল-কলেজে দেরি করে ফিরলেও কোন ক্ষতি হচ্ছে না, তারা অন্তত সাত থেকে ১৪ দিন দেরি করে ফিরে আসবেন।

নাজমুল ইসলাম বলেন, যাদের ইতোমধ্যে উপসর্গ দেখা গেছে, তারা নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা জেলা সদর হাসপাতালে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অবশ্যই করিয়ে নেবেন। ফিরে আসার সময় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। ভারত থেকে যারা আসছেন তাদের কাউকে কাউকে আমরা দেখেছি আইন অমান্য করে পালিয়ে যেতে। তারা এই কাজটি যেন না করেন। অন্যের জীবনকে যেন ঝুঁকির মুখে না ফেলেন। জেনেশুনে আমরা যেন নিজের দেশের ক্ষতির কারণ না হই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত থেকে যারা এসেছেন তাদের আমরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রেখেছি। যাদের উপসর্গ আছে তাদের নিয়মিত পরীক্ষা করছি। গত মাসে শেষ সপ্তাহে যে পরীক্ষাগুলো করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে যাদের পজেটিভ পাওয়া গিয়েছিল, সেখান থেকে জিনোম সিকোয়েন্সে মাধ্যমে আমরা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টকে চিহ্নিত করতে পেরেছি।

ভারত থেকে যারা আসছে তাদের কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। যাদের ১৪ দিন হয়ে যাচ্ছে তাদের আমরা পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দিচ্ছি। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন একদম সুস্থ আছেন। যে ৫ জন সুস্থ হয়েছেন তাদের কন্টাক্ট ট্রেসিং করেও আর কোন সংক্রামিত রোগী পাইনি। সর্বশেষ আমরা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ৬ জনের নমুনায় পেয়েছি। নতুন করে জিনোম সিকোয়েন্স হচ্ছে, যদি আরও পাই তাহলে সেটিও জানিয়ে দেব।

নাজমুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কম থাকলেও এ নিয়ে আত্মতুষ্টি বা সন্তুষ্টির কোন কারণ নেই। এ ধরনের সংখ্যা যদি দিনের পর দিন পেতে থাকি তবেই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি। তার আগে পর্যন্ত মনে রাখতে হবে, সংক্রমণের যে দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভ চলছে আমরা তার মাঝখানে আছি। সেখান থেকে এখনও পরিত্রাণ পাইনি। কাজেই সবাইকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ৩টি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে নাগরিকরা ফিরে আসছেন। ফিরে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের চিকিৎসা প্রয়োজন তাদের স্থানীয় জেলা, বিশেষায়িত কিংবা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা প্রদানের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া তাদের জন্য রাজধানীর মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে সম্প্রতি খোলা ১০০ বেডও রয়েছে। প্রয়োজন হলে তাদের সেখানে রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।