করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ আরও সাত দিন অর্থাৎ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
উপসচিব মো. রেজাউল ইসলমের সই করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ১৬ মে মধ্যরাত থেকে ২৩ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হলো। তবে এবারের নির্দেশনায় সরকারের রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত দপ্তর/সংস্থাসমূহ জরুরি পরিসেবার আওতাভুক্ত হিসেবে যোগ হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তরাঁ শুধুমাত্র খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবে। আর বাকি সব আগের নির্দেশনাই বহাল থাকছে।
আগের মতোই দোকানপাট, শপিংমল সকাল দশটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে মার্কেট বন্ধ করা হবে বলে নির্দেশনায় যুক্ত হয়েছে। এছাড়া, আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। ট্রেন ও লঞ্চ যথারীতি বন্ধ থাকবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে গত ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করে। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এরপর আবার তা ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়, যা আবার বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছিল। গতকাল মধ্যরাতে লকডাউন শেষ হয়েছে। তাই নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, গত শুক্রবার (১৪ মে) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। করোনা সংক্রমণ রোধে ঈদের ছুটিতে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা থাকলেও তা মানেননি অনেকেই। ঈদের আগে যেভাবে মানুষ চলাচল করেছে, তাতে সংক্রমণ বৃদ্ধি হতে পারে। ২৪ মের দিকে গিয়ে এর বহিঃপ্রকাশ হতে পারে। সে কারণে আরও কিছুদিন বিধিনিষেধ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সোমবার, ১৭ মে ২০২১ , ৩০ বৈশাখ ১৪২৮ ৩০ রমজান ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ আরও সাত দিন অর্থাৎ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
উপসচিব মো. রেজাউল ইসলমের সই করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ১৬ মে মধ্যরাত থেকে ২৩ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হলো। তবে এবারের নির্দেশনায় সরকারের রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত দপ্তর/সংস্থাসমূহ জরুরি পরিসেবার আওতাভুক্ত হিসেবে যোগ হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তরাঁ শুধুমাত্র খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবে। আর বাকি সব আগের নির্দেশনাই বহাল থাকছে।
আগের মতোই দোকানপাট, শপিংমল সকাল দশটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে মার্কেট বন্ধ করা হবে বলে নির্দেশনায় যুক্ত হয়েছে। এছাড়া, আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। ট্রেন ও লঞ্চ যথারীতি বন্ধ থাকবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে গত ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করে। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এরপর আবার তা ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়, যা আবার বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছিল। গতকাল মধ্যরাতে লকডাউন শেষ হয়েছে। তাই নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, গত শুক্রবার (১৪ মে) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। করোনা সংক্রমণ রোধে ঈদের ছুটিতে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা থাকলেও তা মানেননি অনেকেই। ঈদের আগে যেভাবে মানুষ চলাচল করেছে, তাতে সংক্রমণ বৃদ্ধি হতে পারে। ২৪ মের দিকে গিয়ে এর বহিঃপ্রকাশ হতে পারে। সে কারণে আরও কিছুদিন বিধিনিষেধ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।