পাঁচদিনে করোনা শনাক্ত ৩ হাজার ৯০২ জন

মৃত্যু ১৪৪ জন

দেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু কমে আসছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে শনাক্তের হার ও শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও কমে আসছে। ঈদের ছুটিতে গত পাঁচদিনে করোনায় দেশে ১৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে তিন হাজার ৯০২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে গতকাল পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ হাজার ১৪৯ জনে। আর মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৮০ হাজার ১৫৯ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বিকেলে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৬৩ জনের করোনা শনাক্ত এবং এই একদিনে করোনায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে ১৫ মে দেশে ২৬১ জনের করোনা শনাক্ত ও ২২ জনের মৃত্যু, ১৪ মে ৮৪৮ জনের করোনা শনাক্ত ও ২৬ জনের মৃত্যু, ১৩ মে এক হাজার ২৯০ জনের করোনা শনাক্ত ও ৩১ জনের মৃত্যু এবং ১২ মে এক হাজার ১৪০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত এবং ওইদিন ৪০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় গতকাল দেশে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৬৮। এর আগের দিন শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ১৪ মে তা ছিল ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, কোন দেশে কমপক্ষে দুই সপ্তাহের বেশি সময় নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরে নেয়া যায়। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশে গত মার্চের প্রথমদিকে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। এরপর মে’র প্রথমদিকে কমতে থাকে সংক্রমণ। এর মধ্যে গত ৭ এপ্রিল একদিনে রেকর্ড সাত হাজার ৬২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আর ১৯ এপ্রিল একদিনে সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যু হয় করোনা সংক্রমণে।

গত একদিনে শনাক্তের হার ৭ শতাংশেরও কম

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে মৃত্যু হওয়া ২৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১৮জন এবং নারী সাতজন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২০ জন, বেসরকারি হাসপাতালে চারজন এবং বাসায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৪৫৯টি ল্যাবরেটরিতে পাঁচ হাজার ৫০৮টি নমুনা সংগ্রহ এবং পাঁচ হাজার ৪৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭ লাখ সাত হাজার ৭১৬টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৬০১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর মোট সুস্থ হয়েছেন মোট সাত লাখ ২২ হাজার ৩৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত একদিনে মারা যাওয়া ২৫ জনের মধ্যে ১৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ছয়জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, চারজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং দুইজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রামে ১১ জন এবং বরিশাল বিভাগে বাসিন্দা ছিলেন একজন।

দেশে করোনায় মৃত্যু হওয়া ১২ হাজার ১৪৯ জনের মধ্যে পুরুষ আট হাজার ৭৯৯ জন এবং নারী তিন হাজার ৩৫২ জন।

সোমবার, ১৭ মে ২০২১ , ৩০ বৈশাখ ১৪২৮ ৩০ রমজান ১৪৪২

পাঁচদিনে করোনা শনাক্ত ৩ হাজার ৯০২ জন

মৃত্যু ১৪৪ জন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

দেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু কমে আসছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে শনাক্তের হার ও শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও কমে আসছে। ঈদের ছুটিতে গত পাঁচদিনে করোনায় দেশে ১৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে তিন হাজার ৯০২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে গতকাল পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ হাজার ১৪৯ জনে। আর মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৮০ হাজার ১৫৯ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বিকেলে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৬৩ জনের করোনা শনাক্ত এবং এই একদিনে করোনায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে ১৫ মে দেশে ২৬১ জনের করোনা শনাক্ত ও ২২ জনের মৃত্যু, ১৪ মে ৮৪৮ জনের করোনা শনাক্ত ও ২৬ জনের মৃত্যু, ১৩ মে এক হাজার ২৯০ জনের করোনা শনাক্ত ও ৩১ জনের মৃত্যু এবং ১২ মে এক হাজার ১৪০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত এবং ওইদিন ৪০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় গতকাল দেশে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৬৮। এর আগের দিন শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ১৪ মে তা ছিল ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, কোন দেশে কমপক্ষে দুই সপ্তাহের বেশি সময় নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরে নেয়া যায়। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশে গত মার্চের প্রথমদিকে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। এরপর মে’র প্রথমদিকে কমতে থাকে সংক্রমণ। এর মধ্যে গত ৭ এপ্রিল একদিনে রেকর্ড সাত হাজার ৬২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আর ১৯ এপ্রিল একদিনে সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যু হয় করোনা সংক্রমণে।

গত একদিনে শনাক্তের হার ৭ শতাংশেরও কম

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে মৃত্যু হওয়া ২৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১৮জন এবং নারী সাতজন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২০ জন, বেসরকারি হাসপাতালে চারজন এবং বাসায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৪৫৯টি ল্যাবরেটরিতে পাঁচ হাজার ৫০৮টি নমুনা সংগ্রহ এবং পাঁচ হাজার ৪৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭ লাখ সাত হাজার ৭১৬টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৬০১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর মোট সুস্থ হয়েছেন মোট সাত লাখ ২২ হাজার ৩৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত একদিনে মারা যাওয়া ২৫ জনের মধ্যে ১৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ছয়জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, চারজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং দুইজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রামে ১১ জন এবং বরিশাল বিভাগে বাসিন্দা ছিলেন একজন।

দেশে করোনায় মৃত্যু হওয়া ১২ হাজার ১৪৯ জনের মধ্যে পুরুষ আট হাজার ৭৯৯ জন এবং নারী তিন হাজার ৩৫২ জন।