করোনার কারণে দীর্ঘদিন হলো বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। অনলাইনে ক্লাস চলার কথা থাকলেও নামে মাত্র ক্লাস পরিচালনা করা হয়েছে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে যে, শতকরা প্রায় ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থীদের তাদের ডিভাইস কিংবা নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে ক্লাস করতে পারে নাই। তাছাড়া অনেক ব্যবহারকারিক ক্লাস আছে যা অনলাইনে ক্লাস নেয়া কখনও সম্ভব না। অনলাইনে ক্লাস না করে অনেক শিক্ষার্থী চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি কী কখনও পূরণ করা সম্ভব?
অনলাইনে ক্লাস শেষ হোক বা না হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের সব সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলো যদি অনলাইনে নেয়া হয় তাহলে অনেক শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে পারবে না। বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখনও অতটুকু ভালো না, যাতে করে অনলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে সব স্তরের শিক্ষার্থীরা। অনলাইনে পরীক্ষা দিতে হলে নিরবচ্ছিন্নভাবে উচ্চ গতিসম্পন্ন ইনটারনেট, বিদ্যুৎ, স্ক্যানার মেশিন, টাচ স্ক্রিন রাইটার মেশিন দরকার, যা বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে সংগ্রহ করা আদ্য কী সম্ভব? তাই অনলাইন পরীক্ষা নেয়া সিদ্ধান্ত পরিহার করে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
শাবলু শাহাবউদ্দিন
শিক্ষার্থী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
সোমবার, ১৭ মে ২০২১ , ৩০ বৈশাখ ১৪২৮ ৩০ রমজান ১৪৪২
করোনার কারণে দীর্ঘদিন হলো বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। অনলাইনে ক্লাস চলার কথা থাকলেও নামে মাত্র ক্লাস পরিচালনা করা হয়েছে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে যে, শতকরা প্রায় ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থীদের তাদের ডিভাইস কিংবা নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে ক্লাস করতে পারে নাই। তাছাড়া অনেক ব্যবহারকারিক ক্লাস আছে যা অনলাইনে ক্লাস নেয়া কখনও সম্ভব না। অনলাইনে ক্লাস না করে অনেক শিক্ষার্থী চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি কী কখনও পূরণ করা সম্ভব?
অনলাইনে ক্লাস শেষ হোক বা না হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের সব সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলো যদি অনলাইনে নেয়া হয় তাহলে অনেক শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে পারবে না। বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা এখনও অতটুকু ভালো না, যাতে করে অনলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে সব স্তরের শিক্ষার্থীরা। অনলাইনে পরীক্ষা দিতে হলে নিরবচ্ছিন্নভাবে উচ্চ গতিসম্পন্ন ইনটারনেট, বিদ্যুৎ, স্ক্যানার মেশিন, টাচ স্ক্রিন রাইটার মেশিন দরকার, যা বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে সংগ্রহ করা আদ্য কী সম্ভব? তাই অনলাইন পরীক্ষা নেয়া সিদ্ধান্ত পরিহার করে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
শাবলু শাহাবউদ্দিন
শিক্ষার্থী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়