ভোলা
জেলা বার্তা পরিবেশক, ভোলা
ভোলায় ঈদকে ঘিরে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই তুলাতুলি শাহবাজপুর পর্যটন কেন্দ্র, ইলিশা উদ্যান, চরফ্যাশনের জ্যাকব টাওয়ার, লালমোহনের সজিব ওয়াজেদ ডিজিটাল পার্ক, বোরহানউদ্দিনের রিভার্স পার্কসহ মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী পাড়ের কমপক্ষে ১০টি বিনোদন পয়েন্টে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। গত সোমবারও একই অবস্থা দেখা যায়। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের ঢলে ভেঙ্গে পড়ে স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম কানুন। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে এই সব এলাকায় প্রবেশ নিষেধ থাকলেও তা মানছেন শিশু কিশোরসহ বয়স্করাও। অভিযোগ রয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষরাই ফের পরিবার পরিজন নিয়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমান।
চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি আসা মো. সাদেক মিয়া জানান, মা বাবা’র সঙ্গে ঈদ উৎসব করতে অনেক কষ্ট করে বাড়ি এসেছেন। তার বাড়ি বাপ্তা এলাকায়। পরিজন নিয়ে তিনি ঘুরতে আসেন, জেলা সদরের তুলাতুলি শাহবাজপুর পর্যটন কেন্দ্রের পরিচালক মো. দুলাল মিয়া জানান,তারা ওই কেন্দ্রে প্রবেশেদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবস্থা রাখলেও মানুষের চাপে তা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ভোলা জেলা শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে মেঘনা পাড়েরর এই কেন্দ্রে এসে অনেকেই নৌকা ও ট্রলার নিয়ে নদীর বুকেও ঘুরে বেড়ান। দৌলতখানের মেঘনা পাড়েও ছিল একই ভিড়। জেলা সদরের ইলিশা ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটের পার্শ্ববর্তী এক কিলোমিটার এলাকাব্যাপী নতুন উদ্যান গড়ে ওঠেছে। ওই সব এলাকায় এবার হাজারো মানুষের ঢল নামে। চরফ্যাশনের জ্যাকব টাওয়ার, খোয়াববাড়ি, বেতুয়া রিভারপার্ক, শেখ রাসেল পার্কও ছিল উপচেপড়া ভিড়। এই এলাকায় ভিড় সামাল দিতে স্থানীয়দের হিমশিম খেতে হয়।
কিশোরগঞ্জ
জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ
করোনা পরিস্থিতিতে যানবাহন চলাচলে বিধি-নিষেধের ঘোষণা থাকায় ঈদ শেষে বিনোদনপ্রেমী মানুষজন দূরবর্তী কোথাও ঘুরতে বেড়াতে যেতে পারেনি। যে কারণে যার যার এলাকায় যেটুকু বিনোদনের স্পট রয়েছে, সেখানেই মানুষ যেন হামলে পড়ছে। স্বাস্থ্যবিধির কেউ ধারই ধারছে না।
কিশোরগঞ্জ শহরের একটি অন্যতম বিনোদন স্পট হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারি গুরুদয়াল কলেজ সংলগ্ন নরসুন্দা পাড়ের মুক্তমঞ্চ এলাকা। সেখানে রয়েছে নদীর ওপর গোলাকার মুক্তমঞ্চ, রয়েছে সুউঁচ্চ টাওয়ার, রয়েছে নদী তীরবর্তী বেশ কিছু আরসিসি সিঁড়ি, রয়েছে সার্কুলার এবং সর্পিল ওয়াকওয়ে আর নদীর ওপর রয়েছে ফুটব্রিজ। এখানে বসেছে চটপটি, ঝালমুড়ি, চা-কফি আর আইসক্রিমের দোকান। রয়েছে নাগরদোলা। বসেছে শিশুদের খেলনার দোকানও। দুপুরের পর থেকে এই এলাকায় যেন জন¯্রােত ধেয়ে যায়। মুক্তমঞ্চ এলাকা বিকেলে হয়ে ওঠে বিশাল এক জনসমুদ্র। কিশোরগঞ্জ শহরতলিতে নেহাল পার্ক এবং উবাই পার্ক নামে দু’টি বিনোদন পার্ক থাকলেও করোনার কারণে সেগুলো এখন বন্ধ। ফলে মানুষের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে একটু আনন্দ করার জন্য ছুটে যাচ্ছে মুক্তমঞ্চ এলাকায়। আবার অনেকে হাওরের কিচু এলাকায়ও যাচ্ছে। সেখানেও মানুষের ঢল নামছে। ভৈরবের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু এলাকাও একইভাবে হাজার হাজার মানুষের পদভাবে মুখরিত। সেখানেও কেউ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না। তবে বেপরোয়া ভিড়ের কারণে এই আনন্দ শেষে নিরানন্দের উপলক্ষ হয়ে উঠতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
নিয়ামতপুর
প্রতিনিধি, নিয়ামতপুর (নওগাঁ)
কোন বিনোদন কিংবা পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় করোনা পরিস্থিতিতেও ব্যক্তি মালিকানা তৈরি বরেন্দ্র গার্ডেন পার্ক, সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র ৫০-৬০টি শতবর্ষী বটবৃক্ষ ছায়া ঘেরা ঐতিহ্যবাহী বেলগাপুর হাট, ঘুঘুডাংগা সারি সারি তালগাছ বিশিষ্ট গ্রামীণ রাস্তাসহ উপজেলার উন্মুক্ত স্থানগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ঈদের আনন্দে দলবেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে শিশু-কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধরা। করোনার ভয়াবহতা ভুলে গিয়ে সবাই নিজেদের মতো করে সময় কাটাচ্ছেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মেনে এভাবে ঘোরাঘুরিতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা। উপজেলা প্রশাসন কিংবা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি মাস্ক পরা বা স্বাস্থ্যবিধি মানার।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের বরেন্দ্র বাজারে নির্মিত একমাত্র ব্যক্তি মালিকানায় বরেন্দ্র গার্ডেন পার্ক নামে একটি পার্ক রয়েছে। যা সবেমাত্র হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার কোথাও কোন পার্ক না থাকায় ঈদ কিংবা বিশেষ দিনে ভ্রমণ প্রেমীরা ফুটে আসেন এখানে। মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অভিভাবকরা ছুটে যান একটু আনন্দ দেয়ার জন্য।
অথচ সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র ৫০-৬০টি শতবর্ষী বটবৃক্ষ ছায়াঘেরা ঐতিহ্যবাহী বেলগাপুর হাট অযতেœ অবহেলায় পড়ে থাকায় আজও বিনোদন কিংবা পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারল না। এখানেও ঈদ, পূজা কিংবা নববর্ষে মানুষের ঢল নামে। কিন্তু এখানেও শতবর্ষী বটবৃক্ষ ছায়া ছাড়া আর কোন সুযোগ সুবিধা নেই। পানি, টয়লেট, বসারমত তেমন জায়গা নেই। সরকারের একটু সুনজর পড়লেই বেলগাপুর হাটটি হয়ে উঠতে পারে উপজেলাবাসীর একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র।
মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১ , ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৫ শাওয়াল ১৪৪২
ভোলা
জেলা বার্তা পরিবেশক, ভোলা
ভোলায় ঈদকে ঘিরে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই তুলাতুলি শাহবাজপুর পর্যটন কেন্দ্র, ইলিশা উদ্যান, চরফ্যাশনের জ্যাকব টাওয়ার, লালমোহনের সজিব ওয়াজেদ ডিজিটাল পার্ক, বোরহানউদ্দিনের রিভার্স পার্কসহ মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী পাড়ের কমপক্ষে ১০টি বিনোদন পয়েন্টে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। গত সোমবারও একই অবস্থা দেখা যায়। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের ঢলে ভেঙ্গে পড়ে স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম কানুন। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে এই সব এলাকায় প্রবেশ নিষেধ থাকলেও তা মানছেন শিশু কিশোরসহ বয়স্করাও। অভিযোগ রয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষরাই ফের পরিবার পরিজন নিয়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমান।
চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি আসা মো. সাদেক মিয়া জানান, মা বাবা’র সঙ্গে ঈদ উৎসব করতে অনেক কষ্ট করে বাড়ি এসেছেন। তার বাড়ি বাপ্তা এলাকায়। পরিজন নিয়ে তিনি ঘুরতে আসেন, জেলা সদরের তুলাতুলি শাহবাজপুর পর্যটন কেন্দ্রের পরিচালক মো. দুলাল মিয়া জানান,তারা ওই কেন্দ্রে প্রবেশেদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবস্থা রাখলেও মানুষের চাপে তা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ভোলা জেলা শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে মেঘনা পাড়েরর এই কেন্দ্রে এসে অনেকেই নৌকা ও ট্রলার নিয়ে নদীর বুকেও ঘুরে বেড়ান। দৌলতখানের মেঘনা পাড়েও ছিল একই ভিড়। জেলা সদরের ইলিশা ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটের পার্শ্ববর্তী এক কিলোমিটার এলাকাব্যাপী নতুন উদ্যান গড়ে ওঠেছে। ওই সব এলাকায় এবার হাজারো মানুষের ঢল নামে। চরফ্যাশনের জ্যাকব টাওয়ার, খোয়াববাড়ি, বেতুয়া রিভারপার্ক, শেখ রাসেল পার্কও ছিল উপচেপড়া ভিড়। এই এলাকায় ভিড় সামাল দিতে স্থানীয়দের হিমশিম খেতে হয়।
কিশোরগঞ্জ
জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ
করোনা পরিস্থিতিতে যানবাহন চলাচলে বিধি-নিষেধের ঘোষণা থাকায় ঈদ শেষে বিনোদনপ্রেমী মানুষজন দূরবর্তী কোথাও ঘুরতে বেড়াতে যেতে পারেনি। যে কারণে যার যার এলাকায় যেটুকু বিনোদনের স্পট রয়েছে, সেখানেই মানুষ যেন হামলে পড়ছে। স্বাস্থ্যবিধির কেউ ধারই ধারছে না।
কিশোরগঞ্জ শহরের একটি অন্যতম বিনোদন স্পট হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারি গুরুদয়াল কলেজ সংলগ্ন নরসুন্দা পাড়ের মুক্তমঞ্চ এলাকা। সেখানে রয়েছে নদীর ওপর গোলাকার মুক্তমঞ্চ, রয়েছে সুউঁচ্চ টাওয়ার, রয়েছে নদী তীরবর্তী বেশ কিছু আরসিসি সিঁড়ি, রয়েছে সার্কুলার এবং সর্পিল ওয়াকওয়ে আর নদীর ওপর রয়েছে ফুটব্রিজ। এখানে বসেছে চটপটি, ঝালমুড়ি, চা-কফি আর আইসক্রিমের দোকান। রয়েছে নাগরদোলা। বসেছে শিশুদের খেলনার দোকানও। দুপুরের পর থেকে এই এলাকায় যেন জন¯্রােত ধেয়ে যায়। মুক্তমঞ্চ এলাকা বিকেলে হয়ে ওঠে বিশাল এক জনসমুদ্র। কিশোরগঞ্জ শহরতলিতে নেহাল পার্ক এবং উবাই পার্ক নামে দু’টি বিনোদন পার্ক থাকলেও করোনার কারণে সেগুলো এখন বন্ধ। ফলে মানুষের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে একটু আনন্দ করার জন্য ছুটে যাচ্ছে মুক্তমঞ্চ এলাকায়। আবার অনেকে হাওরের কিচু এলাকায়ও যাচ্ছে। সেখানেও মানুষের ঢল নামছে। ভৈরবের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু এলাকাও একইভাবে হাজার হাজার মানুষের পদভাবে মুখরিত। সেখানেও কেউ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না। তবে বেপরোয়া ভিড়ের কারণে এই আনন্দ শেষে নিরানন্দের উপলক্ষ হয়ে উঠতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
নিয়ামতপুর
প্রতিনিধি, নিয়ামতপুর (নওগাঁ)
কোন বিনোদন কিংবা পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় করোনা পরিস্থিতিতেও ব্যক্তি মালিকানা তৈরি বরেন্দ্র গার্ডেন পার্ক, সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র ৫০-৬০টি শতবর্ষী বটবৃক্ষ ছায়া ঘেরা ঐতিহ্যবাহী বেলগাপুর হাট, ঘুঘুডাংগা সারি সারি তালগাছ বিশিষ্ট গ্রামীণ রাস্তাসহ উপজেলার উন্মুক্ত স্থানগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ঈদের আনন্দে দলবেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে শিশু-কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধরা। করোনার ভয়াবহতা ভুলে গিয়ে সবাই নিজেদের মতো করে সময় কাটাচ্ছেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মেনে এভাবে ঘোরাঘুরিতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা। উপজেলা প্রশাসন কিংবা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি মাস্ক পরা বা স্বাস্থ্যবিধি মানার।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের বরেন্দ্র বাজারে নির্মিত একমাত্র ব্যক্তি মালিকানায় বরেন্দ্র গার্ডেন পার্ক নামে একটি পার্ক রয়েছে। যা সবেমাত্র হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার কোথাও কোন পার্ক না থাকায় ঈদ কিংবা বিশেষ দিনে ভ্রমণ প্রেমীরা ফুটে আসেন এখানে। মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অভিভাবকরা ছুটে যান একটু আনন্দ দেয়ার জন্য।
অথচ সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র ৫০-৬০টি শতবর্ষী বটবৃক্ষ ছায়াঘেরা ঐতিহ্যবাহী বেলগাপুর হাট অযতেœ অবহেলায় পড়ে থাকায় আজও বিনোদন কিংবা পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারল না। এখানেও ঈদ, পূজা কিংবা নববর্ষে মানুষের ঢল নামে। কিন্তু এখানেও শতবর্ষী বটবৃক্ষ ছায়া ছাড়া আর কোন সুযোগ সুবিধা নেই। পানি, টয়লেট, বসারমত তেমন জায়গা নেই। সরকারের একটু সুনজর পড়লেই বেলগাপুর হাটটি হয়ে উঠতে পারে উপজেলাবাসীর একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র।