হাতিয়ায় ৫ কিশোরকে চুরির অভিযোগে বেঁধে নির্যাতন : আটক ৪

নোয়াখালীর হাতিয়ায় গত রোববার বিন্দি জাল চুরির অভিযোগে ৫ কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার কিশোররা হলো, উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শুল্লকিয়া গ্রামের জেলেপাড়ার বাসিন্দা সহদেব (১৫), কিরণ (১৫), শিশুপদ, (১৬),সমূল্য (১৫), রতন (১৬)। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা মধ্যেই নির্যাতনের ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে জেলা পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে।

পরে হাতিয়া থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করে।

আটককৃতরা হলো, শুল্লকিয়া গ্রামের জেলে পাড়ার মাতব্বর শ্রীহরি জলদাস, নেপাল চন্দ জলদাস, বিধান চন্দ জলদাস, রায় মেহেন জলদাস।

ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় জেলে পাড়ার নারী-পুরুষের সামনে ৫ কিশোরকে লাঠিপেটা করা হচ্ছে। এই সময় ওই পাঁচ কিশোর এবং তাদের পরিবারের নারী সদস্যরা আহাজারি করে তাদের ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান। কান্নারত নারীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়।

চরকিং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহাম্মেদ জানান, গত কয়েকদিন আগে ৫ কিশোর মিলে এক জেলের একটি বিন্দি জাল চুরি করে পার্শ্ববর্তী সোনাদিয়া ইউনিয়নের এক জেলের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে ওই জাল উদ্ধার করে শনিবার বিকেলে মালিককে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এরপর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে জেলে পাড়ার মাতব্বর শ্রীহরি দলদাস, নেপাল চন্দ জলদাস, প্রিয় লাল জলদাস বিধান চন্দ জলদাস, রায় মেহেন জলদাসের নেতৃত্বে একটি সালিশী বৈঠক বসে। বৈঠকের এক পর্যায়ে জেলে পাড়ার ৫ মাতব্বর অভিযুক্তদের একজনকে ১০ বেত করে মারার আদেশ দেন এবং প্রত্যেকের ২ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে জেলে পাড়ার মাতব্বরদের নির্দেশে ৫ কিশোরকে বেঁধে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান চৌকিদার আমির হোসেন।

মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১ , ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৫ শাওয়াল ১৪৪২

হাতিয়ায় ৫ কিশোরকে চুরির অভিযোগে বেঁধে নির্যাতন : আটক ৪

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

নোয়াখালীর হাতিয়ায় গত রোববার বিন্দি জাল চুরির অভিযোগে ৫ কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার কিশোররা হলো, উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শুল্লকিয়া গ্রামের জেলেপাড়ার বাসিন্দা সহদেব (১৫), কিরণ (১৫), শিশুপদ, (১৬),সমূল্য (১৫), রতন (১৬)। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা মধ্যেই নির্যাতনের ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে জেলা পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে।

পরে হাতিয়া থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করে।

আটককৃতরা হলো, শুল্লকিয়া গ্রামের জেলে পাড়ার মাতব্বর শ্রীহরি জলদাস, নেপাল চন্দ জলদাস, বিধান চন্দ জলদাস, রায় মেহেন জলদাস।

ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় জেলে পাড়ার নারী-পুরুষের সামনে ৫ কিশোরকে লাঠিপেটা করা হচ্ছে। এই সময় ওই পাঁচ কিশোর এবং তাদের পরিবারের নারী সদস্যরা আহাজারি করে তাদের ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান। কান্নারত নারীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়।

চরকিং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহাম্মেদ জানান, গত কয়েকদিন আগে ৫ কিশোর মিলে এক জেলের একটি বিন্দি জাল চুরি করে পার্শ্ববর্তী সোনাদিয়া ইউনিয়নের এক জেলের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে ওই জাল উদ্ধার করে শনিবার বিকেলে মালিককে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এরপর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে জেলে পাড়ার মাতব্বর শ্রীহরি দলদাস, নেপাল চন্দ জলদাস, প্রিয় লাল জলদাস বিধান চন্দ জলদাস, রায় মেহেন জলদাসের নেতৃত্বে একটি সালিশী বৈঠক বসে। বৈঠকের এক পর্যায়ে জেলে পাড়ার ৫ মাতব্বর অভিযুক্তদের একজনকে ১০ বেত করে মারার আদেশ দেন এবং প্রত্যেকের ২ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে জেলে পাড়ার মাতব্বরদের নির্দেশে ৫ কিশোরকে বেঁধে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান চৌকিদার আমির হোসেন।