জবানবন্দি দেননি বাবুল আক্তার কারাগারে প্রেরণ

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় জবানবন্দি দেননি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। প্রায় সোয়া চার ঘণ্টা আদালতে অবস্থানের পরও তিনি মুখ খোলেননি। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। রিমান্ডে নিয়ে পাঁচদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রামের মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহানের আদালতে হাজির করে তদন্তকারী সংস্থার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য সরাসরি তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরায় নেয়া হয়। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বাবুল আক্তারকে খাস কামরা থেকে বের করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই, চট্টগ্রাম মহানগরের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, উনি (বাবুল আক্তার) জবানবন্দি দিতে সম্মত হননি। আদালত উনাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আগামীকাল (আজ) বাবুল আক্তারকে আবারও রিমান্ডে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে বলে পিবিআই সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য রাজি হলেও শেষ মহূর্তে গিয়ে তা দেননি। এনিয়ে দ্বিতীয় দফায় তিনি আদালতে গিয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টান। পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা রিমান্ড আবেদন না করায় বাবুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। সিএমপির এসি প্রসিকিউশন কাজী সাহাব উদ্দীন আহমেদ বলেন, পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে পিবিআই বাবুল আক্তারকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে হাজির করায় কোন রিমান্ড আবেদন করেনি। তবে তিনি স্বীকারোক্তি না দেয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। গত বুধবার দুপুরে মিতুর বাবার মামলায় চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় স্বামী বাবুল আক্তারের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা তদন্ত করার জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মোট্টোর কাছে হস্তান্তর করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।

গত ১২ মে’ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মদেওয়ার কথা বলে দেননি বলে জানিয়েছিলেন পিবিআই প্রধান। ওইদিন বনজ কুমার মজুমদার এক টিভি টকশোতে যুক্ত হয়ে একই কথা বলেছিলেন পিবিআই প্রধান। তিনি বলেছিলেন, বুধবার মামলার প্রধান আসামি বাবুল আক্তার দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হলেও আগ মুহূর্তে গিয়ে তা করলেন না। ফলে মামলাটি আরও পাঁচদিন বিলম্ব হলো। তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে আনতে হলো। আর কতজন আসামি বাইরে আছে, তাদেরও ধরতে হবে। কিছু কাগজপত্র জোগাড় করা বাকি, তা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার চার্জশিট দেয়া হবে। সময় নির্ধারণ করে বলতে না পারলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মামলার তদন্ত নিষ্পত্তি করা হবে।

মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১ , ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৫ শাওয়াল ১৪৪২

মিতু হত্যা মামলা

জবানবন্দি দেননি বাবুল আক্তার কারাগারে প্রেরণ

চট্টগ্রাম ব্যুরো

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় জবানবন্দি দেননি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। প্রায় সোয়া চার ঘণ্টা আদালতে অবস্থানের পরও তিনি মুখ খোলেননি। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। রিমান্ডে নিয়ে পাঁচদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রামের মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহানের আদালতে হাজির করে তদন্তকারী সংস্থার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য সরাসরি তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরায় নেয়া হয়। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বাবুল আক্তারকে খাস কামরা থেকে বের করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই, চট্টগ্রাম মহানগরের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, উনি (বাবুল আক্তার) জবানবন্দি দিতে সম্মত হননি। আদালত উনাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আগামীকাল (আজ) বাবুল আক্তারকে আবারও রিমান্ডে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে বলে পিবিআই সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য রাজি হলেও শেষ মহূর্তে গিয়ে তা দেননি। এনিয়ে দ্বিতীয় দফায় তিনি আদালতে গিয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টান। পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা রিমান্ড আবেদন না করায় বাবুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। সিএমপির এসি প্রসিকিউশন কাজী সাহাব উদ্দীন আহমেদ বলেন, পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে পিবিআই বাবুল আক্তারকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে হাজির করায় কোন রিমান্ড আবেদন করেনি। তবে তিনি স্বীকারোক্তি না দেয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। গত বুধবার দুপুরে মিতুর বাবার মামলায় চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় স্বামী বাবুল আক্তারের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা তদন্ত করার জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মোট্টোর কাছে হস্তান্তর করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।

গত ১২ মে’ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মদেওয়ার কথা বলে দেননি বলে জানিয়েছিলেন পিবিআই প্রধান। ওইদিন বনজ কুমার মজুমদার এক টিভি টকশোতে যুক্ত হয়ে একই কথা বলেছিলেন পিবিআই প্রধান। তিনি বলেছিলেন, বুধবার মামলার প্রধান আসামি বাবুল আক্তার দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হলেও আগ মুহূর্তে গিয়ে তা করলেন না। ফলে মামলাটি আরও পাঁচদিন বিলম্ব হলো। তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে আনতে হলো। আর কতজন আসামি বাইরে আছে, তাদেরও ধরতে হবে। কিছু কাগজপত্র জোগাড় করা বাকি, তা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার চার্জশিট দেয়া হবে। সময় নির্ধারণ করে বলতে না পারলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মামলার তদন্ত নিষ্পত্তি করা হবে।