রাজধানীর রমনা নিউ স্কাটন রোডের বাসা থেকে সুপ্রিয়া কর্মকার (৩৫) নামের এক নারী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। গতকাল বেলা ১টার দিকে বাসার ৫তলা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নারায়ন সরকার জানান, মৃত সুপ্রিয়া বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এফসিপিএস কোর্স করছিলেন। গত রোববার রাতে খাবার শেষে ১১টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে ছোট ভাই সুতনু কর্মকার তাকে ডাকতে যান। তখন দরজা ধাক্কা দিয়ে দেখেন, সুপ্রিয়া ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলে আছে। এ সময় থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ নামিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মর্গে পাঠায়।
এসআই নারায়ন আরও জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার কর্তাবাজার গ্রামে। বাবা সুধির কর্মকার ও মা পান্না কর্মকার চট্টগ্রামে থাকেন। সুপ্রিয়ারা এক ভাই এক বোন। রমনার নিউ ইস্কাটনের বাসায় থাকতো। পরিবারের বরাতে এসআই জানান, অবিবাহিত সুপ্রিয়া খুব চাপা স্বভাবের ছিলেন। পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। পরিবারের লোকজনও মৃত্যুর কারণ জানাতে পারেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১ , ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৫ শাওয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
রাজধানীর রমনা নিউ স্কাটন রোডের বাসা থেকে সুপ্রিয়া কর্মকার (৩৫) নামের এক নারী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। গতকাল বেলা ১টার দিকে বাসার ৫তলা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নারায়ন সরকার জানান, মৃত সুপ্রিয়া বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এফসিপিএস কোর্স করছিলেন। গত রোববার রাতে খাবার শেষে ১১টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে ছোট ভাই সুতনু কর্মকার তাকে ডাকতে যান। তখন দরজা ধাক্কা দিয়ে দেখেন, সুপ্রিয়া ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলে আছে। এ সময় থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ নামিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মর্গে পাঠায়।
এসআই নারায়ন আরও জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার কর্তাবাজার গ্রামে। বাবা সুধির কর্মকার ও মা পান্না কর্মকার চট্টগ্রামে থাকেন। সুপ্রিয়ারা এক ভাই এক বোন। রমনার নিউ ইস্কাটনের বাসায় থাকতো। পরিবারের বরাতে এসআই জানান, অবিবাহিত সুপ্রিয়া খুব চাপা স্বভাবের ছিলেন। পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। পরিবারের লোকজনও মৃত্যুর কারণ জানাতে পারেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।