ডিএসইর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি

ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিয়ে দীর্ঘ সাত মাসের বেশি সময় ধরে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও যোগ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দিয়ে না পারায় ডিএসইর কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ডিএসই’র চলতি দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছে বিএসইসি। ডিএসই ও বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসি মনে করে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (৯০ দিন) ডিএসই তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (বোর্ড অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) রেগুলেশন, ২০১৩ এর রেগুলেশন ১০(৩) লঙ্ঘন করেছে। তাই এ ব্যর্থতার কারণ ডিএসইকে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য লিখিতভাবে জানাতে বলেছে বিএসইসি।

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর ডিএসইর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৪ নভেম্বর এমডি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিএসই। এদিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ডিএসই’র এমডি পদের জন্য ২১ জন প্রার্থী আবেদন করেন। তাদের মধ্য থেকে ৭ জন প্রার্থীকে বাছাই করে গত ১০ ডিসেম্বর সাক্ষাৎকার নেয় ডিএসইর নমিনেশন অ্যান্ড রেমুনারেশন (এনআরসি) কমিটি। এমডি পদে আবেদন করা প্রার্থীদের মধ্যে এম আশিক রহমানকে বাছাই করে ডিএসই। পরবর্তীতে এমডি পদে তাকে নিয়োগ দেয়ার জন্য বিএসইসির কাছে অনুমতি চায় ডিএসই।

পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার তিন মাস পর অর্থাৎ চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দায়িত্ব হস্তান্তর করে ডিএসই থেকে বিদায় নেন কাজী ছানাউল হক। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি সার্বিক দিক বিবেচনা করে ডিএসইর এমডি পদের জন্য আশিক রহমানকে অযোগ্য বলে অসম্মতি জানায় বিএসইসি। আশিকুর রহমান এমডি পদে নিয়োগ না পেয়ে ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (সিআরও) পদে আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবারও ডিএসই আশিকুর রহমানকে সিআরও পদের জন্য নির্ধারণ করে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিএসইসিতে আবেদন জানায় ডিএসইর পর্ষদ। বর্তমানে ডিএসইর ওই আবেদনটির বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার, ১৯ মে ২০২১ , ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৬ শাওয়াল ১৪৪২

এমডি নিয়োগে ব্যর্থতা

ডিএসইর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিয়ে দীর্ঘ সাত মাসের বেশি সময় ধরে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও যোগ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দিয়ে না পারায় ডিএসইর কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ডিএসই’র চলতি দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছে বিএসইসি। ডিএসই ও বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসি মনে করে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (৯০ দিন) ডিএসই তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (বোর্ড অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) রেগুলেশন, ২০১৩ এর রেগুলেশন ১০(৩) লঙ্ঘন করেছে। তাই এ ব্যর্থতার কারণ ডিএসইকে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য লিখিতভাবে জানাতে বলেছে বিএসইসি।

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর ডিএসইর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৪ নভেম্বর এমডি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিএসই। এদিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ডিএসই’র এমডি পদের জন্য ২১ জন প্রার্থী আবেদন করেন। তাদের মধ্য থেকে ৭ জন প্রার্থীকে বাছাই করে গত ১০ ডিসেম্বর সাক্ষাৎকার নেয় ডিএসইর নমিনেশন অ্যান্ড রেমুনারেশন (এনআরসি) কমিটি। এমডি পদে আবেদন করা প্রার্থীদের মধ্যে এম আশিক রহমানকে বাছাই করে ডিএসই। পরবর্তীতে এমডি পদে তাকে নিয়োগ দেয়ার জন্য বিএসইসির কাছে অনুমতি চায় ডিএসই।

পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার তিন মাস পর অর্থাৎ চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দায়িত্ব হস্তান্তর করে ডিএসই থেকে বিদায় নেন কাজী ছানাউল হক। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি সার্বিক দিক বিবেচনা করে ডিএসইর এমডি পদের জন্য আশিক রহমানকে অযোগ্য বলে অসম্মতি জানায় বিএসইসি। আশিকুর রহমান এমডি পদে নিয়োগ না পেয়ে ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (সিআরও) পদে আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবারও ডিএসই আশিকুর রহমানকে সিআরও পদের জন্য নির্ধারণ করে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিএসইসিতে আবেদন জানায় ডিএসইর পর্ষদ। বর্তমানে ডিএসইর ওই আবেদনটির বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।