চারদিন পর করোনা শনাক্ত হাজার ছাড়ালো

চারদিন পর দেশে আবারও হাজার ছাড়িয়েছে দৈনিক করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা। ঈদের ছুটিতে গত কয়েক দিন নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ায় শনাক্তও কম ছিল। নমুনা পরীক্ষা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত একদিনে করোনা রোগী শনাক্ত আবারও বেড়েছে। তবে নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।

গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১২ হাজার ২১১ জনে। ওই ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ২৭২ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জনে।

এর আগে গত ১৩ মে এর চেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। ওইদিন এক হাজার ২৯০ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। এরপর ১৪ মে ৮৪৮ জনের করোনা শনাক্ত ও ২৬ জনের মৃত্যু; ১৫ মে ২৬১ জনের করোনা শনাক্ত ও ২২ জনের মৃত্যু; ১৬ মে ৩৬৩ জনের করোনা শনাক্ত ও ২৫ জনের মৃত্যু এবং ১৭ মে ৬৯৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত ও ৩২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ঈদের ছুটির পর দুই দিনে নমুনা পরীক্ষা এক-চতুর্থাংশে নেমেছিল। ১৫ মে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক ধাক্কায় নেমে এসেছিল ১৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। ওইদিন মোট তিন হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল পাঁচ হাজার ৫০৮টি। এরপর ১৭ মে নমুনা পরীক্ষা হয় ১০ হাজার ৩৪৭টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে সরকারি ও বেসরকারি ৪৬৬টি ল্যাবরেটরিতে ১৭ হাজার ৬৭৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৬ হাজার ৮৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭ লাখ ৩৪ হাজার ৯১৮টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে মৃত্যু হওয়া ৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন এবং নারী ১৬ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া ১২ হাজার ২১১ জনের মধ্যে পুরুষ আট হাজার ৮৩৪ জন এবং নারী তিন হাজার ৩৭৭ জন।

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৮ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১০ জন এবং বাসায় দু’জন মারা যান। গত একদিনে করোনামুক্ত হয়েছেন এক হাজার ১১৫ জন। এ নিয়ে মোট করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ২৪ হাজার ২০৯ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত একদিনে মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে ১৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, সাতজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ছয়জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।

বিভাগভিত্তিক হিসাবে মৃত্যু হওয়া ৩০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রামে আটজন, রাজশাহীতে দুইজন, সিলেটে দুইজন, রংপুরে একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন দুইজন।

বুধবার, ১৯ মে ২০২১ , ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৬ শাওয়াল ১৪৪২

চারদিন পর করোনা শনাক্ত হাজার ছাড়ালো

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

চারদিন পর দেশে আবারও হাজার ছাড়িয়েছে দৈনিক করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা। ঈদের ছুটিতে গত কয়েক দিন নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ায় শনাক্তও কম ছিল। নমুনা পরীক্ষা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত একদিনে করোনা রোগী শনাক্ত আবারও বেড়েছে। তবে নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।

গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১২ হাজার ২১১ জনে। ওই ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ২৭২ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জনে।

এর আগে গত ১৩ মে এর চেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। ওইদিন এক হাজার ২৯০ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। এরপর ১৪ মে ৮৪৮ জনের করোনা শনাক্ত ও ২৬ জনের মৃত্যু; ১৫ মে ২৬১ জনের করোনা শনাক্ত ও ২২ জনের মৃত্যু; ১৬ মে ৩৬৩ জনের করোনা শনাক্ত ও ২৫ জনের মৃত্যু এবং ১৭ মে ৬৯৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত ও ৩২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ঈদের ছুটির পর দুই দিনে নমুনা পরীক্ষা এক-চতুর্থাংশে নেমেছিল। ১৫ মে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক ধাক্কায় নেমে এসেছিল ১৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। ওইদিন মোট তিন হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল পাঁচ হাজার ৫০৮টি। এরপর ১৭ মে নমুনা পরীক্ষা হয় ১০ হাজার ৩৪৭টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে সরকারি ও বেসরকারি ৪৬৬টি ল্যাবরেটরিতে ১৭ হাজার ৬৭৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৬ হাজার ৮৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭ লাখ ৩৪ হাজার ৯১৮টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে মৃত্যু হওয়া ৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন এবং নারী ১৬ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া ১২ হাজার ২১১ জনের মধ্যে পুরুষ আট হাজার ৮৩৪ জন এবং নারী তিন হাজার ৩৭৭ জন।

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৮ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১০ জন এবং বাসায় দু’জন মারা যান। গত একদিনে করোনামুক্ত হয়েছেন এক হাজার ১১৫ জন। এ নিয়ে মোট করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ২৪ হাজার ২০৯ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত একদিনে মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে ১৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, সাতজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ছয়জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।

বিভাগভিত্তিক হিসাবে মৃত্যু হওয়া ৩০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রামে আটজন, রাজশাহীতে দুইজন, সিলেটে দুইজন, রংপুরে একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন দুইজন।