পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে নিহত ১৫

গতকাল দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১৫ জন নিহত ও ৭জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নেত্রকোনার চার উপজেলায় ৮, ফরিদপুরের তিনটি এলাকায় ৩, মানিকগঞ্জে ২ এবং সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জে একজন করে প্রাণ হারায়।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

নেত্রকোনা : নেত্রকোনার কেন্দুয়া, মদন, পূর্বধলা ও খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে কৃষকসহ আটজন নিহত হওয়ার বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বিকেল পৌনে ৪টার দিকে পৃথক ৪টি উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৫ জন।

নিহতরা হলেন কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বৈরাটী গ্রামের মো. বায়েজিদ মিয়া (৪২) কান্দিউড়া ইউনিয়নের কুন্ডলী গ্রামের মো. ফজলুর রহমান (৫৫)। খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের খেলু ফকিরের ছেলে কৃষক অছেক মিয়া (৩২) একই গ্রামের আমির সরকারের ছেলে কৃষক বিপুল মিয়া (২৮) ও বাতুয়াইল গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে মনির (২৮ )। এ ছাড়াও মদনে হাফেজ মোহাম্মদ শরীফ (১৮) ও মাওলানা আতাবুর (২১)। এদিকে পূর্বধলায় আরও একজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। নিহত শরীফ উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের মৃত আবদুল কাদিরের ছেলে। আতাবুর এইক গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে।

একই সময় বজ্রপাতে পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের রবিন (১৫) রুমান (১৮) ও তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের ভিক্ষু মিয়ার স্ত্রী কণা (৪৫) ও চন্দন মিয়ার স্ত্রী সুরমা আক্তার আহত হয়। আহতদের মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সি। এদিকে নিহতদের দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার করে নগদ অর্থ প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান।

ফরিদপুর : ফরিদপুরে বজ্রপাতে নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বিকেল ৪টা ও সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে পশ্চিম গঙ্গাবর্দী, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাডাঙ্গী মহল্লায় ও নর্থচ্যানেল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাডাঙ্গী মহল্লায় বজ্রপাতে নিহত হন আনোয়ারা বেগম (৪৫) নামে এক নারী। ঘটনার সময় ওই নারী স্বামী ও ছেলের সঙ্গে মাঠ থেকে ধান নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় বজ্রপাতের এ ঘটনায় তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

আনোয়ারা বেগম মোল্লাডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক কাবুল শেখের স্ত্রী। তিনি এক মেয়ে ও দুই ছেলের মা।

এদিকে বিকেল চারটার দিকে বজ্রপাতে মারা গেছেন কৃষক কবির মোল্লা (৪৮)। তিনি ফরিদপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গঙ্গাবর্দী মহল্লার গোপাল মোল্লার ছেলে। তিনি ধান নিয়ে মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। কবির মোল্লা বিবাহিত, তিনি দুই মেয়ে, এক ছেলের বাবা।

অন্যদিকে সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের আদুমাতুব্বর ডাঙ্গীর দুলাল খান নামে এক ব্যক্তি মারা গেছে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মানিকগঞ্জে গতকাল বজ্রপাতে দুইজন মারা গেছেন ও আহত হয়েছেন তিনজন। নিহতরা হলেন, ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া গ্রামের কৃষি শ্রমিক আজমত আলী (৫০) সদর উপজেলা গিলন্ড গ্রামের শিক্ষার্থী আসিফ মোল্লা (১৬)। আহতদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া গ্রামের শেখ মাঈনুদ্দিনের ছেলে কৃষি শ্রমিক আজমত আলী (৫০) মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় পৌলি গ্রামে আব্দুল হকের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। মঙ্গলবার বিকেলে ধান খেত থেকে ধানের বোঝা মাথায় নিয়ে তিনি আব্দুল হকের বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তার ওপর বজ্রপাত হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

অন্যদিকে সদর উপজেলা গিলন্ড গ্রামে মাসুদ মোল্লা ছেলে স্থানীয় রাকিব আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আসিফসহ কয়েক বন্ধু ঘুড়ি উড়ানোর জন্য খোলা মাঠে যায়। মঙ্গলবার বিকেলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই আসিফ মোল্লা মারা যায়। সেই সঙ্গে বজ্রপাতে আহত হয় আসিফের বন্ধু আব্দুল্লাহ ও অনিক। এদের মধ্যে আব্দুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অনিককে মুন্নু মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় বজ্রপাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার নাম আবু তাহের (৩৫)। সে দোয়ারাবাজার উপজেলাধীন তেগাগা গ্রামের তাজউদ্দিনের পুত্র। পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্র মতে, ঐ যুবক বাজারে মাছ বিক্রি করে ফেরার পথে বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে দৌড়ে উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আশ্রয় নিতে গেলে বজ্রপাতে নিহত হয়।

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বজ্রপাতে কহিনুর বেগম (৩৬) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের চিতেশ্বরী টান পলাশতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেন আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য আলেয়া ভুইয়া।

কহিনুর বেগম ওই গ্রামের মো. লতিফ মিয়ার স্ত্রী বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানান, সোমবার সন্ধ্যায় কহিনুর বেগম বাড়ির উঠানে কাজ করছিলেন। ওই সময় আকাশে মেঘ ডাকা শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বজ্রপাতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তাকে গ্রামীণ কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার, ১৯ মে ২০২১ , ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৬ শাওয়াল ১৪৪২

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে নিহত ১৫

সংবাদ ডেস্ক

image

গতকাল দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১৫ জন নিহত ও ৭জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নেত্রকোনার চার উপজেলায় ৮, ফরিদপুরের তিনটি এলাকায় ৩, মানিকগঞ্জে ২ এবং সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জে একজন করে প্রাণ হারায়।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

নেত্রকোনা : নেত্রকোনার কেন্দুয়া, মদন, পূর্বধলা ও খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে কৃষকসহ আটজন নিহত হওয়ার বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বিকেল পৌনে ৪টার দিকে পৃথক ৪টি উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৫ জন।

নিহতরা হলেন কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বৈরাটী গ্রামের মো. বায়েজিদ মিয়া (৪২) কান্দিউড়া ইউনিয়নের কুন্ডলী গ্রামের মো. ফজলুর রহমান (৫৫)। খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের খেলু ফকিরের ছেলে কৃষক অছেক মিয়া (৩২) একই গ্রামের আমির সরকারের ছেলে কৃষক বিপুল মিয়া (২৮) ও বাতুয়াইল গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে মনির (২৮ )। এ ছাড়াও মদনে হাফেজ মোহাম্মদ শরীফ (১৮) ও মাওলানা আতাবুর (২১)। এদিকে পূর্বধলায় আরও একজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। নিহত শরীফ উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের মৃত আবদুল কাদিরের ছেলে। আতাবুর এইক গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে।

একই সময় বজ্রপাতে পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের রবিন (১৫) রুমান (১৮) ও তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের ভিক্ষু মিয়ার স্ত্রী কণা (৪৫) ও চন্দন মিয়ার স্ত্রী সুরমা আক্তার আহত হয়। আহতদের মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সি। এদিকে নিহতদের দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার করে নগদ অর্থ প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান।

ফরিদপুর : ফরিদপুরে বজ্রপাতে নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বিকেল ৪টা ও সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে পশ্চিম গঙ্গাবর্দী, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাডাঙ্গী মহল্লায় ও নর্থচ্যানেল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাডাঙ্গী মহল্লায় বজ্রপাতে নিহত হন আনোয়ারা বেগম (৪৫) নামে এক নারী। ঘটনার সময় ওই নারী স্বামী ও ছেলের সঙ্গে মাঠ থেকে ধান নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় বজ্রপাতের এ ঘটনায় তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

আনোয়ারা বেগম মোল্লাডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক কাবুল শেখের স্ত্রী। তিনি এক মেয়ে ও দুই ছেলের মা।

এদিকে বিকেল চারটার দিকে বজ্রপাতে মারা গেছেন কৃষক কবির মোল্লা (৪৮)। তিনি ফরিদপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গঙ্গাবর্দী মহল্লার গোপাল মোল্লার ছেলে। তিনি ধান নিয়ে মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। কবির মোল্লা বিবাহিত, তিনি দুই মেয়ে, এক ছেলের বাবা।

অন্যদিকে সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের আদুমাতুব্বর ডাঙ্গীর দুলাল খান নামে এক ব্যক্তি মারা গেছে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এম এ জলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মানিকগঞ্জে গতকাল বজ্রপাতে দুইজন মারা গেছেন ও আহত হয়েছেন তিনজন। নিহতরা হলেন, ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া গ্রামের কৃষি শ্রমিক আজমত আলী (৫০) সদর উপজেলা গিলন্ড গ্রামের শিক্ষার্থী আসিফ মোল্লা (১৬)। আহতদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া গ্রামের শেখ মাঈনুদ্দিনের ছেলে কৃষি শ্রমিক আজমত আলী (৫০) মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় পৌলি গ্রামে আব্দুল হকের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। মঙ্গলবার বিকেলে ধান খেত থেকে ধানের বোঝা মাথায় নিয়ে তিনি আব্দুল হকের বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তার ওপর বজ্রপাত হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

অন্যদিকে সদর উপজেলা গিলন্ড গ্রামে মাসুদ মোল্লা ছেলে স্থানীয় রাকিব আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আসিফসহ কয়েক বন্ধু ঘুড়ি উড়ানোর জন্য খোলা মাঠে যায়। মঙ্গলবার বিকেলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই আসিফ মোল্লা মারা যায়। সেই সঙ্গে বজ্রপাতে আহত হয় আসিফের বন্ধু আব্দুল্লাহ ও অনিক। এদের মধ্যে আব্দুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অনিককে মুন্নু মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় বজ্রপাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার নাম আবু তাহের (৩৫)। সে দোয়ারাবাজার উপজেলাধীন তেগাগা গ্রামের তাজউদ্দিনের পুত্র। পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্র মতে, ঐ যুবক বাজারে মাছ বিক্রি করে ফেরার পথে বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হলে দৌড়ে উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আশ্রয় নিতে গেলে বজ্রপাতে নিহত হয়।

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বজ্রপাতে কহিনুর বেগম (৩৬) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের চিতেশ্বরী টান পলাশতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেন আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য আলেয়া ভুইয়া।

কহিনুর বেগম ওই গ্রামের মো. লতিফ মিয়ার স্ত্রী বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানান, সোমবার সন্ধ্যায় কহিনুর বেগম বাড়ির উঠানে কাজ করছিলেন। ওই সময় আকাশে মেঘ ডাকা শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বজ্রপাতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তাকে গ্রামীণ কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।