নানা ভোগান্তিতে ঢাকায় ফিরছে মানুষ

কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় ভেঙে ভেঙে আসছে

দূরাপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঢাকামুখী যাত্রীদের। গতকালও ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখ ছিল ঢাকামুখী মানুষের ভিড়। কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে ভেঙে ভেঙে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে তাদের। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে কিছু দূরপাল্লার বাস চলাচল করলেও ভাড়া অনেক বেশি নেয়া হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। ঢাকা ফেরত কিছু যাত্রীর মুখে মাস্ক থাকলেও ছিল না শারীরিক দূরত্ব।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সরকারি নির্দেশ অনাম্য করে গতকাল ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে দূরপাল্লার বাস উত্তরবঙ্গ থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এসব বাসের যাত্রীরা অধিকাংশই ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন। তবে পথে পথে পুলিশের হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া ও দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। সারোয়ার নামের চট্টগ্রামের যাত্রী বলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কাপড়ের ব্যবসা করি। ঈদের ছুটিতে টাঙ্গাইলে বাড়িতে এসেছিলাম। এখন চট্টগ্রামে যাব কিন্তু বাস নেই। তাই ভেঙে ভেঙে যাচ্ছি। এতে একদিনে যেমন সময় নষ্ট অন্যদিকে টাকাও বেশি খরচ হচ্ছে। ৫০০ টাকার ভাড়া এখন ১৬০০ টাকা খরচ হচ্ছে।

উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা সেবা লাইন পরিবহনের চালক তুলা মিয়া বলেন, ‘ভাই আর কতদিন কামাই বাদ দিয়া বইয়া থাহন যায়, আমাগোও তো সংসার আছে, গাড়ি না চালাইলে সংসার চালামু কি কইরা।’ সিরাজগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আলিফ পরিবহনের চালক আবদুল হাই বাবু বলেন, ‘ট্রাকে কইরা সোমানে মানুষ নিতাছে গাদাগাদি কইরা, তাগো করোনা নাই? বাসে তো আমরা গাদাগাদি কইরা যাত্রী নেই না। তাও খালি বাসের দোষ।’ এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, গতকাল দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল সেতু মহাসড়ক দিয়ে যানবাহনের চাপ বাড়েনি। মহাসড়কে যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।

ফেরিঘাটে কমেছে যাত্রীদের চাপ

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও গাড়ির চাপ কমেছে। গতকাল সকাল থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে গাড়ি ও যাত্রী বোঝাই ফেরি ছেড়ে এলেও শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের তেমন চাপ ছিল না। তবে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ফেরিঘাটে পরিবহন সংকটের কারণে বেশি ভাড়া দিয়েও সিএনটি অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহনে বিড়ম্বনায় শিকার হতে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। ছিল না কোন স্বাস্থ্যবিধি।

স্থানীয়রা জানান, শিমুলিয়া ফেরিঘাটে বাস না থাকায় সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারে ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে। সাধারণত একটি সিএনজি অটোরিকশার ৩ জন যাত্রী বসতে পারে। কিন্তু ঢাকামুখী যাত্রী বেশি থাকায় গাদাগাদি করে প্রতিটি সিএনজিতে ৫ জন করে যাত্রী নেয়া হয়। মাওয়া থেকে যাত্রাবাড়ী ভাড়া নেয়া হয় ৫০০ টাকা। স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই ছিল না ছোট যানবাহনে।

সিএনজিগুলো অন্য সময় শিমুলিয়া ঘাট থেকে জনপ্রতি ঢাকার পোস্তগোলা, নয়াবাজার, নারায়ণগঞ্জে ১৫০ টাকা, সায়েদাবাদে ১৫০-১৭০ টাকা, মোহাম্মদপুরে ৩০০ টাকা, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুক্তারপুরে ১০০ টাকা ভাড়ায় নিয়মিত যাতায়াত করত। তবে বর্তমানে প্রতিটি রুটেই ২-৩ গুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। বর্তমানে শিমুলিয়া ঘাট থেকে পোস্তগোলা ও নয়াবাজারে ৩০০ টাকা, যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদে ৪০০-৫০০ টাকা, মোহাম্মদপুরে ৫০০-৬০০ টাকা, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুক্তারপুরে ২০০ টাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৩০০-৪০০ টাকা করে ভাড়া হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় মনির হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘বরিশাল থেকে ভেঙে ভেঙে ঢাকায় আসলাম। বাস বন্ধ থাকায় কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিতে হয়েছে। মাওয়া ঘাট থেকে যাত্রাবাড়ী সিএনজি ভাড়া দিতে হয়েছে ৫০০ টাকা। চাকরি বাঁচাতে ঢাকায় আসলাম। ফরিদপুর থেকে আসা অন্য এক যাত্রী বলেন, ‘অন্য সময় ফরিদপুর থেকে আসতে খরচ হতো ২৫০ টাকা। এবার খরচ হয়েছে ১০০০ টাকা। বাস না থাকায় ভেঙে ভেঙে আসতে হয়েছে।’

জাফর আহমেদ নামের অন্য যাত্রী বলেন, ‘সিএনজিতে গাদাগাদি করে বসতে হয়েছে। অথচ ভাড়া দিতে হয়ে বেশি। সরকার গণপরিবহন খুলে দিলে এত ভোগান্তি হতো না। ফেরিতে চাপাচাপি করে এলাম আবার সিএনজিতেও।’ তবে যাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করে সিএনজিচালক নাঈম হোসেন বলেন, ঢাকায় আসার সময় যাত্রী পেলেও ঘাটে যেতে হয় খালি। তাই ভাড়া কিছুটা বেশি না নিলে আমাদের পোষাবে না। বাধ্য হয়ে কিছুটা বেশি নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ঘাটে এখন ১৮টি ফেরি চলছে। ওপার থেকে যাত্রীরা ফেরিতে চড়ে আসছে। শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী-গাড়ি কোনটারই চাপ নেই। তবে ওপারে কিছুটা চাপ রয়েছে।

দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়

গোয়লন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি জানান, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঈদের ৫ম দিনেও নাড়ির টানে বাড়ি যাওয়া মানুষগুলো জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে উঠে কর্মস্থলগামী যাত্রীরা।

ঢাকাগামী যাত্রী মৌসুমী বলেন, অনেক কষ্ট করে ঈদের আগে ঢাকা থেকে বাড়ি এসেছি এবং আজকেও পথে পথে গাড়ি পাল্টে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঘাটে এসেছি। ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে তাই তারাহুড়ো করে ফেরিতে উঠেছি। গাজীপুরগামী গার্মেন্টকর্মী রবিউল বলেন, বাড়িতে আসার সময় দুর্ভোগ আবার ঢাকায় যাওয়ার সময় দুর্ভোগ ও ভোগান্তি, আবার পথে পথে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফিরোজ খান জানান, ঘাটে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। এ রুটে ছোট বড় মিলে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।

বুধবার, ১৯ মে ২০২১ , ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৬ শাওয়াল ১৪৪২

নানা ভোগান্তিতে ঢাকায় ফিরছে মানুষ

কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় ভেঙে ভেঙে আসছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

শিবচর (মাদারীপুর) ঘাটে যাত্রীদের ভিড়। গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠার চেষ্টা -সংবাদ

দূরাপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঢাকামুখী যাত্রীদের। গতকালও ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখ ছিল ঢাকামুখী মানুষের ভিড়। কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে ভেঙে ভেঙে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে তাদের। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে কিছু দূরপাল্লার বাস চলাচল করলেও ভাড়া অনেক বেশি নেয়া হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। ঢাকা ফেরত কিছু যাত্রীর মুখে মাস্ক থাকলেও ছিল না শারীরিক দূরত্ব।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সরকারি নির্দেশ অনাম্য করে গতকাল ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে দূরপাল্লার বাস উত্তরবঙ্গ থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এসব বাসের যাত্রীরা অধিকাংশই ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন। তবে পথে পথে পুলিশের হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া ও দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। সারোয়ার নামের চট্টগ্রামের যাত্রী বলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কাপড়ের ব্যবসা করি। ঈদের ছুটিতে টাঙ্গাইলে বাড়িতে এসেছিলাম। এখন চট্টগ্রামে যাব কিন্তু বাস নেই। তাই ভেঙে ভেঙে যাচ্ছি। এতে একদিনে যেমন সময় নষ্ট অন্যদিকে টাকাও বেশি খরচ হচ্ছে। ৫০০ টাকার ভাড়া এখন ১৬০০ টাকা খরচ হচ্ছে।

উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা সেবা লাইন পরিবহনের চালক তুলা মিয়া বলেন, ‘ভাই আর কতদিন কামাই বাদ দিয়া বইয়া থাহন যায়, আমাগোও তো সংসার আছে, গাড়ি না চালাইলে সংসার চালামু কি কইরা।’ সিরাজগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আলিফ পরিবহনের চালক আবদুল হাই বাবু বলেন, ‘ট্রাকে কইরা সোমানে মানুষ নিতাছে গাদাগাদি কইরা, তাগো করোনা নাই? বাসে তো আমরা গাদাগাদি কইরা যাত্রী নেই না। তাও খালি বাসের দোষ।’ এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, গতকাল দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল সেতু মহাসড়ক দিয়ে যানবাহনের চাপ বাড়েনি। মহাসড়কে যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।

ফেরিঘাটে কমেছে যাত্রীদের চাপ

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও গাড়ির চাপ কমেছে। গতকাল সকাল থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে গাড়ি ও যাত্রী বোঝাই ফেরি ছেড়ে এলেও শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের তেমন চাপ ছিল না। তবে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ফেরিঘাটে পরিবহন সংকটের কারণে বেশি ভাড়া দিয়েও সিএনটি অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহনে বিড়ম্বনায় শিকার হতে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। ছিল না কোন স্বাস্থ্যবিধি।

স্থানীয়রা জানান, শিমুলিয়া ফেরিঘাটে বাস না থাকায় সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারে ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে। সাধারণত একটি সিএনজি অটোরিকশার ৩ জন যাত্রী বসতে পারে। কিন্তু ঢাকামুখী যাত্রী বেশি থাকায় গাদাগাদি করে প্রতিটি সিএনজিতে ৫ জন করে যাত্রী নেয়া হয়। মাওয়া থেকে যাত্রাবাড়ী ভাড়া নেয়া হয় ৫০০ টাকা। স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই ছিল না ছোট যানবাহনে।

সিএনজিগুলো অন্য সময় শিমুলিয়া ঘাট থেকে জনপ্রতি ঢাকার পোস্তগোলা, নয়াবাজার, নারায়ণগঞ্জে ১৫০ টাকা, সায়েদাবাদে ১৫০-১৭০ টাকা, মোহাম্মদপুরে ৩০০ টাকা, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুক্তারপুরে ১০০ টাকা ভাড়ায় নিয়মিত যাতায়াত করত। তবে বর্তমানে প্রতিটি রুটেই ২-৩ গুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। বর্তমানে শিমুলিয়া ঘাট থেকে পোস্তগোলা ও নয়াবাজারে ৩০০ টাকা, যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদে ৪০০-৫০০ টাকা, মোহাম্মদপুরে ৫০০-৬০০ টাকা, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুক্তারপুরে ২০০ টাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৩০০-৪০০ টাকা করে ভাড়া হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় মনির হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘বরিশাল থেকে ভেঙে ভেঙে ঢাকায় আসলাম। বাস বন্ধ থাকায় কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিতে হয়েছে। মাওয়া ঘাট থেকে যাত্রাবাড়ী সিএনজি ভাড়া দিতে হয়েছে ৫০০ টাকা। চাকরি বাঁচাতে ঢাকায় আসলাম। ফরিদপুর থেকে আসা অন্য এক যাত্রী বলেন, ‘অন্য সময় ফরিদপুর থেকে আসতে খরচ হতো ২৫০ টাকা। এবার খরচ হয়েছে ১০০০ টাকা। বাস না থাকায় ভেঙে ভেঙে আসতে হয়েছে।’

জাফর আহমেদ নামের অন্য যাত্রী বলেন, ‘সিএনজিতে গাদাগাদি করে বসতে হয়েছে। অথচ ভাড়া দিতে হয়ে বেশি। সরকার গণপরিবহন খুলে দিলে এত ভোগান্তি হতো না। ফেরিতে চাপাচাপি করে এলাম আবার সিএনজিতেও।’ তবে যাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করে সিএনজিচালক নাঈম হোসেন বলেন, ঢাকায় আসার সময় যাত্রী পেলেও ঘাটে যেতে হয় খালি। তাই ভাড়া কিছুটা বেশি না নিলে আমাদের পোষাবে না। বাধ্য হয়ে কিছুটা বেশি নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ঘাটে এখন ১৮টি ফেরি চলছে। ওপার থেকে যাত্রীরা ফেরিতে চড়ে আসছে। শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী-গাড়ি কোনটারই চাপ নেই। তবে ওপারে কিছুটা চাপ রয়েছে।

দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়

গোয়লন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি জানান, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঈদের ৫ম দিনেও নাড়ির টানে বাড়ি যাওয়া মানুষগুলো জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে উঠে কর্মস্থলগামী যাত্রীরা।

ঢাকাগামী যাত্রী মৌসুমী বলেন, অনেক কষ্ট করে ঈদের আগে ঢাকা থেকে বাড়ি এসেছি এবং আজকেও পথে পথে গাড়ি পাল্টে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঘাটে এসেছি। ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে তাই তারাহুড়ো করে ফেরিতে উঠেছি। গাজীপুরগামী গার্মেন্টকর্মী রবিউল বলেন, বাড়িতে আসার সময় দুর্ভোগ আবার ঢাকায় যাওয়ার সময় দুর্ভোগ ও ভোগান্তি, আবার পথে পথে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফিরোজ খান জানান, ঘাটে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। এ রুটে ছোট বড় মিলে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।