চিকিৎসকদের মতে, ভ্যাকসিন ছাড়া করোনা অতিমারীকে আটকানোর আর কোন পথ নেই। কিন্তু ভ্যাকসিন নেয়ার পরও কেন আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা যাক। ধরুন, পাশাপাশি দুটো মহল্লা বা পাড়া। দুটো পাড়াতেই আঠারো ঊর্ধ্ব জনসংখ্যা দেড় হাজার করে। একটা পাড়ায় আঠারো ঊর্ধ্ব কেউ ভ্যাকসিন নিলেন না। অন্যদিকে পাশের পাড়ার আঠারো ঊর্ধ্ব সবাই ভ্যাকসিন নিলেন। এরপর দেখা গেল দুটো গ্রামেই এক হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হলেন। যে পাড়ায় কেউ ভ্যাকসিন নেননি, সেখানে হাজার জনের মধ্যে ৩০ জনের, আর ভ্যাকসিন নেওয়া পাশের পাড়ায় হাজার জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হল। তা হলে ভ্যাকসিন ২৯ জনের প্রাণ বাঁচাল। এটাই হচ্ছে ভ্যাকসিনের প্রধান অ্যাডভান্টেজ। মৃত্যুহার কমানো।
এ সময় অনেকেই ভাবছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বোধহয় করোনা ভাইরাস ইরাডিকেশন প্রোগ্রাম বা নির্মূল প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এটা ভুল ধারণা। করোনা নির্মূল করার বিজ্ঞানের এত ক্ষমতা নেই। পোলিও ভাইরাসকে নির্মূল করতে ৭০ থেকে ৮০ বছর সময় লাগছে। সেখানে কী করে ভ্যাকসিন দিয়ে বছর খানেকের মধ্যে ভাইরাসকে পৃথিবীর বাইরে পাঠানা হবে!
সুতরাং ভ্যাকসিন নেয়ার পর করোনা প্রতিরোধক স্বাস্থ্যবিধি ভুললে চলবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাস থাকবে, তার সংক্রমণ ক্ষমতা কেমন হবে, মৃত্যুহার কেমন হবে, সবটাই নির্ভর করছে তার মিউটেশনের ওপর। কাজেই চিকিৎসকরা যেটা করতে পারেন, তা হলো মৃত্যুহার কমানো। সেটারই নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞান।
লিয়াকত হোসেন খোকন
বুধবার, ১৯ মে ২০২১ , ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৬ শাওয়াল ১৪৪২
চিকিৎসকদের মতে, ভ্যাকসিন ছাড়া করোনা অতিমারীকে আটকানোর আর কোন পথ নেই। কিন্তু ভ্যাকসিন নেয়ার পরও কেন আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা যাক। ধরুন, পাশাপাশি দুটো মহল্লা বা পাড়া। দুটো পাড়াতেই আঠারো ঊর্ধ্ব জনসংখ্যা দেড় হাজার করে। একটা পাড়ায় আঠারো ঊর্ধ্ব কেউ ভ্যাকসিন নিলেন না। অন্যদিকে পাশের পাড়ার আঠারো ঊর্ধ্ব সবাই ভ্যাকসিন নিলেন। এরপর দেখা গেল দুটো গ্রামেই এক হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হলেন। যে পাড়ায় কেউ ভ্যাকসিন নেননি, সেখানে হাজার জনের মধ্যে ৩০ জনের, আর ভ্যাকসিন নেওয়া পাশের পাড়ায় হাজার জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হল। তা হলে ভ্যাকসিন ২৯ জনের প্রাণ বাঁচাল। এটাই হচ্ছে ভ্যাকসিনের প্রধান অ্যাডভান্টেজ। মৃত্যুহার কমানো।
এ সময় অনেকেই ভাবছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বোধহয় করোনা ভাইরাস ইরাডিকেশন প্রোগ্রাম বা নির্মূল প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এটা ভুল ধারণা। করোনা নির্মূল করার বিজ্ঞানের এত ক্ষমতা নেই। পোলিও ভাইরাসকে নির্মূল করতে ৭০ থেকে ৮০ বছর সময় লাগছে। সেখানে কী করে ভ্যাকসিন দিয়ে বছর খানেকের মধ্যে ভাইরাসকে পৃথিবীর বাইরে পাঠানা হবে!
সুতরাং ভ্যাকসিন নেয়ার পর করোনা প্রতিরোধক স্বাস্থ্যবিধি ভুললে চলবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাস থাকবে, তার সংক্রমণ ক্ষমতা কেমন হবে, মৃত্যুহার কেমন হবে, সবটাই নির্ভর করছে তার মিউটেশনের ওপর। কাজেই চিকিৎসকরা যেটা করতে পারেন, তা হলো মৃত্যুহার কমানো। সেটারই নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞান।
লিয়াকত হোসেন খোকন