রাজধানী ঢাকা সব সময়ই ডেঙ্গু সংক্রমণের হটস্পর্ট হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। বিগত বছরগুলোর ডেঙ্গু সংক্রমণের হারের দিকে তাকালেই আমরা তা সহজেই বুঝতে পারি। এ বছর ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার উপস্থিতির কারণে ঢাকার চারটি এলাকায় ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এগুলো হলো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের লালমাটিয়া ও ইকবাল রোড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সায়েদাবাদ এবং উত্তর যাত্রাবাড়ী।
ডেঙ্গু জ্বর সৃষ্টিকারী এডিস মশা মানুষের অসচেতনতার কারণেই বংশবিস্তার করে। মানুষের ব্যবহৃত শীততাপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রের নিচে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা জন্ম নিতে পারে। ছাদে জমা বৃষ্টির পানি বা নির্মাণাধীন ভবনের বিভিন্ন অংশে জমে থাকা পানিতে জন্ম নিতে পারে এই মশা। যত্রতত্র ফেলে রাখা প্লাস্টিক বর্জ্যে বৃষ্টির পানি জমে সেখানে এডিস মশার জন্ম হয়। ডাবের ফেলা দেয়া খোসায় এবং ফুলের টবে জমে থাকা পানিতে বা ডাস্টবিনে জমে থাকা পানিতেও এই মশার বংশবিস্তার ঘটে থাকে। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ঢাকার হাতিরঝিল এখন মশার অন্যতম প্রজনন কেন্দ্র। এছাড়াও মানুষের সৃষ্ট এমন অনেক কারণেই এডিস মশা তার বংশবিস্তার করে ভয়াল আকার ধারণ করেছে। এপ্রিল থেকে অক্টোবর এই সময়টাকে বলা হয় ডেঙ্গুর মৌসুম। করোনার প্রকোপের মাঝে যদি ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয় তাহলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করতে হবে। বড় বড় ভবনের আশপাশে, কোণায় কোণায়, ডাস্টবিন ও এর আশপাশের স্থান; এমনকি ঘরের পাতিল, বদনা এসব স্থানেও যেন চার-পাঁচ দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এডিস মশা দিনের বেলায় কামড়ায় তাই দিনে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে। বাসাবাড়ি বা অফিসের আশেপাশে মশার স্প্রে বা ওষুধ ছিটাতে হবে। ঘরের ভেন্টিলেটর, দরজা এবং জানালায় মশানিরোধক জাল ব্যবহার করতে হবে। পরিষ্কার ও স্থবির পানিতে ডেঙ্গুর জীবানু বেশি জম্মায় তাই ঘরবাড়ি এবং চারপাশে যেন কোনো রকম পরিত্যক্ত ক্যান, টিনের কৌটা, নারিকেলের খোসাসহ যে ধরনের জিনিসে পানি জমে থাকতে পারে তা ধ্বংস করতে হবে। ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশনের তলায় যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মোহাম্মদ ইয়াছিন ইসলাম
বুধবার, ১৯ মে ২০২১ , ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৬ শাওয়াল ১৪৪২
রাজধানী ঢাকা সব সময়ই ডেঙ্গু সংক্রমণের হটস্পর্ট হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। বিগত বছরগুলোর ডেঙ্গু সংক্রমণের হারের দিকে তাকালেই আমরা তা সহজেই বুঝতে পারি। এ বছর ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার উপস্থিতির কারণে ঢাকার চারটি এলাকায় ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এগুলো হলো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের লালমাটিয়া ও ইকবাল রোড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সায়েদাবাদ এবং উত্তর যাত্রাবাড়ী।
ডেঙ্গু জ্বর সৃষ্টিকারী এডিস মশা মানুষের অসচেতনতার কারণেই বংশবিস্তার করে। মানুষের ব্যবহৃত শীততাপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রের নিচে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা জন্ম নিতে পারে। ছাদে জমা বৃষ্টির পানি বা নির্মাণাধীন ভবনের বিভিন্ন অংশে জমে থাকা পানিতে জন্ম নিতে পারে এই মশা। যত্রতত্র ফেলে রাখা প্লাস্টিক বর্জ্যে বৃষ্টির পানি জমে সেখানে এডিস মশার জন্ম হয়। ডাবের ফেলা দেয়া খোসায় এবং ফুলের টবে জমে থাকা পানিতে বা ডাস্টবিনে জমে থাকা পানিতেও এই মশার বংশবিস্তার ঘটে থাকে। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ঢাকার হাতিরঝিল এখন মশার অন্যতম প্রজনন কেন্দ্র। এছাড়াও মানুষের সৃষ্ট এমন অনেক কারণেই এডিস মশা তার বংশবিস্তার করে ভয়াল আকার ধারণ করেছে। এপ্রিল থেকে অক্টোবর এই সময়টাকে বলা হয় ডেঙ্গুর মৌসুম। করোনার প্রকোপের মাঝে যদি ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয় তাহলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করতে হবে। বড় বড় ভবনের আশপাশে, কোণায় কোণায়, ডাস্টবিন ও এর আশপাশের স্থান; এমনকি ঘরের পাতিল, বদনা এসব স্থানেও যেন চার-পাঁচ দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এডিস মশা দিনের বেলায় কামড়ায় তাই দিনে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে। বাসাবাড়ি বা অফিসের আশেপাশে মশার স্প্রে বা ওষুধ ছিটাতে হবে। ঘরের ভেন্টিলেটর, দরজা এবং জানালায় মশানিরোধক জাল ব্যবহার করতে হবে। পরিষ্কার ও স্থবির পানিতে ডেঙ্গুর জীবানু বেশি জম্মায় তাই ঘরবাড়ি এবং চারপাশে যেন কোনো রকম পরিত্যক্ত ক্যান, টিনের কৌটা, নারিকেলের খোসাসহ যে ধরনের জিনিসে পানি জমে থাকতে পারে তা ধ্বংস করতে হবে। ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশনের তলায় যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মোহাম্মদ ইয়াছিন ইসলাম