শিক্ষা খাতে যথাযথ নজর দিন

করোনার ছোবলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা খাত। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ মে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা থাকলে ও চলমান বিধিনিষেধ বৃদ্ধির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর ফলে হাজারো শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় দিন অতিবাহিত করছে এবং তারা উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় রয়েছে। তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকায় সেশনজটের কবল থেকে রেহাই পাবে না শিক্ষার্থীরা। ফলশ্রুতিতে সময়মতো অনেকেই একাডেমিক লেখাপড়া শেষ করতে পারবে না। এর প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। এবং রাষ্ট্রকেও এ বোঝা বহন করতে হবে। আবার অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ছে। এসব দিক বিবেচনায় শিক্ষা খাতে চাই সময়োপযোগী এবং যথাযথ পদক্ষেপ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললেও তার বিকল্প পদ্ধতি ভাবা যেতে পারে। প্রয়োজনে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার যাবতীয় সব ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের স্বার্থে নিশ্চিত করা হোক। পাশাপাশি একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সময়সীমা কমিয়ে আনা যেতে পারে। সেজন্য এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

ফজলে রাব্বি

বুধবার, ১৯ মে ২০২১ , ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৬ শাওয়াল ১৪৪২

শিক্ষা খাতে যথাযথ নজর দিন

করোনার ছোবলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা খাত। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ মে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা থাকলে ও চলমান বিধিনিষেধ বৃদ্ধির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর ফলে হাজারো শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় দিন অতিবাহিত করছে এবং তারা উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় রয়েছে। তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকায় সেশনজটের কবল থেকে রেহাই পাবে না শিক্ষার্থীরা। ফলশ্রুতিতে সময়মতো অনেকেই একাডেমিক লেখাপড়া শেষ করতে পারবে না। এর প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। এবং রাষ্ট্রকেও এ বোঝা বহন করতে হবে। আবার অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ছে। এসব দিক বিবেচনায় শিক্ষা খাতে চাই সময়োপযোগী এবং যথাযথ পদক্ষেপ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললেও তার বিকল্প পদ্ধতি ভাবা যেতে পারে। প্রয়োজনে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার যাবতীয় সব ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের স্বার্থে নিশ্চিত করা হোক। পাশাপাশি একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সময়সীমা কমিয়ে আনা যেতে পারে। সেজন্য এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

ফজলে রাব্বি