পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র তফসিলি ব্যাংকের শাখা বা ডাকঘর থেকে কেনা যাবে না। শুধু জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন সঞ্চয় ব্যুরো থেকে কেনা যাবে। গত মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। আদেশ জারির দিন থেকেই নতুন এই আদেশ কার্যকর করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসু স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, সঞ্চয়পত্র বিধিমালা ১৯৭৭-এর বিধি-৫-এর উপবিধি ৫ ও ৬ অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে শৃঙ্খলা আনয়নের লক্ষ্যে বিধিমালার বিধি-৩-এ যাই থাকুক না কেন, ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ শুধুমাত্র জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘সঞ্চয় ব্যুরো’ কর্তৃক পরিচালিত হবে। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হলো। আদেশ জারির তারিখ হতে কার্যকর হবে।
বুধবার থেকে কোন বিনিয়োগকারী যদি পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে চান, তাহলে শুধু সঞ্চয় অধিদপ্তরের শাখা অফিসগুলোতে যেতে হবে। বর্তমানে সারা দেশে ৭০টির বেশি এমন সঞ্চয় ব্যুরো আছে। ১৯৭৭ সালে এই সঞ্চয়পত্র প্রবর্তন করে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের বাকি তিনটি সঞ্চয়পত্র গুলো হলো- পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র নিয়ম অনুযায়ী আগের মতো ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে কেনা যাবে। একজন বিনিয়োগকারী একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং যুগ্ম নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। সব শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। নাবালকের পক্ষেও এই সঞ্চয়পত্র কেনা যায়।
সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে মুনাফা নিতে চাইলে মুনাফার হার দাঁড়াবে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তবে মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলে প্রথম বছর শেষে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ, চতুর্থ বছর শেষে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে কোন প্রতিষ্ঠান যদি এই সঞ্চয়পত্র কেনে, তাহলে কত টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে, এর কোন সীমা নেই। প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলের অনুকূলেও এই সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে।
এছাড়া মৎস্য খামার, হাঁস-মুরগির খামার, পোলট্রি ফিড উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত বীজ বিপণন, গবাদিপশুর খামার, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প, রেশম গুঁটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক উৎপাদন এবং ফল ও লতা পাতার চাষ থেকে উপার্জিত আয় দিয়ে সঞ্চয়পত্রটি কেনা যাবে।
বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১ , ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৭ শাওয়াল ১৪৪২
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র তফসিলি ব্যাংকের শাখা বা ডাকঘর থেকে কেনা যাবে না। শুধু জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন সঞ্চয় ব্যুরো থেকে কেনা যাবে। গত মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। আদেশ জারির দিন থেকেই নতুন এই আদেশ কার্যকর করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসু স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, সঞ্চয়পত্র বিধিমালা ১৯৭৭-এর বিধি-৫-এর উপবিধি ৫ ও ৬ অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগে শৃঙ্খলা আনয়নের লক্ষ্যে বিধিমালার বিধি-৩-এ যাই থাকুক না কেন, ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ শুধুমাত্র জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘সঞ্চয় ব্যুরো’ কর্তৃক পরিচালিত হবে। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হলো। আদেশ জারির তারিখ হতে কার্যকর হবে।
বুধবার থেকে কোন বিনিয়োগকারী যদি পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে চান, তাহলে শুধু সঞ্চয় অধিদপ্তরের শাখা অফিসগুলোতে যেতে হবে। বর্তমানে সারা দেশে ৭০টির বেশি এমন সঞ্চয় ব্যুরো আছে। ১৯৭৭ সালে এই সঞ্চয়পত্র প্রবর্তন করে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের বাকি তিনটি সঞ্চয়পত্র গুলো হলো- পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র নিয়ম অনুযায়ী আগের মতো ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে কেনা যাবে। একজন বিনিয়োগকারী একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং যুগ্ম নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। সব শ্রেণী ও পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। নাবালকের পক্ষেও এই সঞ্চয়পত্র কেনা যায়।
সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে মুনাফা নিতে চাইলে মুনাফার হার দাঁড়াবে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তবে মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলে প্রথম বছর শেষে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ, চতুর্থ বছর শেষে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে কোন প্রতিষ্ঠান যদি এই সঞ্চয়পত্র কেনে, তাহলে কত টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে, এর কোন সীমা নেই। প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলের অনুকূলেও এই সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে।
এছাড়া মৎস্য খামার, হাঁস-মুরগির খামার, পোলট্রি ফিড উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত বীজ বিপণন, গবাদিপশুর খামার, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প, রেশম গুঁটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক উৎপাদন এবং ফল ও লতা পাতার চাষ থেকে উপার্জিত আয় দিয়ে সঞ্চয়পত্রটি কেনা যাবে।