টিকার মজুদ মাত্র ছয় লাখের কিছু বেশি আছে 

করোনা টিকার মজুদ তলানিতে নেমেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এই মুহূর্তে মাত্র ছয় লাখের কিছু বেশি টিকার মজুদ রয়েছে। গতকাল সারাদেশে ৫৫ হাজার ৪৩৬ জনকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়। এর মধ্যে পুরুষ ৩৩ হাজার ৪৩৩ জন এবং ২২ হাজার তিনজন মহিলা টিকা নিয়েছেন।

চুক্তির আওতায় কেনা ৭০ লাখ ডোজ এবং ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ৩৩ লাখ ডোজসহ সরকারের কাছে মোট টিকা ছিল এক কোটি তিন লাখ ডোজ। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে ৯৬ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৮ ডোজ টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। এ হিসেবে অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ছয় লাখ তিন হাজার ২৫২ ডোজ টিকা।

কিন্তু পরিবহন, ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণাগার থেকে টিকাকেন্দ্রে স্থানান্তর ও টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় যদি ন্যূনতম ১ শতাংশও নষ্ট ও অপচয় হয়ে থাকে তাহলে মজুদ আরও এক লাখ কমে যাবে। পাশর্^বর্তী দেশ ভারতে টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় ৫ থেকে ৬ শতাংশ টিকা নষ্ট হয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।

দেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রত্যেককে এই টিকার দুটি ডোজ দেয়া হচ্ছে।

গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গণটিকাদান শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। আর দ্বিতীয় ডোজ শুরু হয় ৮ এপ্রিল থেকে। কিন্তু ভারত থেকে টিকা পেতে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় সম্প্রতি টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১ , ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৭ শাওয়াল ১৪৪২

টিকার মজুদ মাত্র ছয় লাখের কিছু বেশি আছে 

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

করোনা টিকার মজুদ তলানিতে নেমেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এই মুহূর্তে মাত্র ছয় লাখের কিছু বেশি টিকার মজুদ রয়েছে। গতকাল সারাদেশে ৫৫ হাজার ৪৩৬ জনকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়। এর মধ্যে পুরুষ ৩৩ হাজার ৪৩৩ জন এবং ২২ হাজার তিনজন মহিলা টিকা নিয়েছেন।

চুক্তির আওতায় কেনা ৭০ লাখ ডোজ এবং ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ৩৩ লাখ ডোজসহ সরকারের কাছে মোট টিকা ছিল এক কোটি তিন লাখ ডোজ। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে ৯৬ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৮ ডোজ টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। এ হিসেবে অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ছয় লাখ তিন হাজার ২৫২ ডোজ টিকা।

কিন্তু পরিবহন, ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণাগার থেকে টিকাকেন্দ্রে স্থানান্তর ও টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় যদি ন্যূনতম ১ শতাংশও নষ্ট ও অপচয় হয়ে থাকে তাহলে মজুদ আরও এক লাখ কমে যাবে। পাশর্^বর্তী দেশ ভারতে টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় ৫ থেকে ৬ শতাংশ টিকা নষ্ট হয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।

দেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রত্যেককে এই টিকার দুটি ডোজ দেয়া হচ্ছে।

গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গণটিকাদান শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। আর দ্বিতীয় ডোজ শুরু হয় ৮ এপ্রিল থেকে। কিন্তু ভারত থেকে টিকা পেতে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় সম্প্রতি টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়।