ভারতের সীমান্ত বন্দর হিলি ও মাহাদিপুর থেকে বাংলাদেশি নগরিকদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। কলকাতা উপ-হাইকমিশন আজ ও গতকাল যাদের এই দুটি সীমান্ত বন্দর থেকে ফেরার অনুমতিপত্র দিয়েছে তাদের ভারত থেকে পাঠানো হয়েছে।
‘ভারতের অনুমতি না থাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের চরম ভোগান্তি’ গতকাল দৈনিক সংবাদ-এ এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের পরে দু’দেশের সরকার তৎপরতায় গতকাল ঐ দুটি বন্দর ভারত অংশে অবমুক্ত করা হয়। বরিশালের শুকুমার দাস এই জন্য ‘সংবাদ’কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সংবাদ-এ এই খবর ছাপা না হলে আজও এর সমাধান হতো না।
কলকাতা উপ-হাইকমিশনের কন্স্যুলার মো. বশির উদ্দিন সংবাদকে জানান, ভারত সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসকদের হস্তক্ষেপে সীমান্ত আবমুক্ত হওয়ার পর এই দুটি বিশেষ করে হিলি ও মাহাদিপুর (সোনামসজিদ) সীমান্ত দিয়ে আজ ৫৫ জন বাংলাদেশি যাত্রী দেশে ফিরেছেন। এ ছাড়াও আজ বেনাপোল দিয়ে ১৩৭ জন, দর্শনা দিয়ে ১৩৩ জন বুড়িমারী দিয়ে ১ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরছে বলে জানান।
চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে ভারতে এসে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা দেশে ফেরার এনওসি পেয়েও ভারত সরকারের অনুমতি না থাকায ভারতের হিলি ও মাহাদিপুর সীমান্তে প্রায় ৫৯ জন মুমূর্ষু রোগী গতকাল দেশে ফেরতে পারেননি। ভারত সীমান্তে আটকে থেকে অসুস্থ এই সব রোগী মানবেতর অবস্থায় ছিলেন। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল জীবন চলা। ছিল না টাকা পয়সা, সারাদিন উপোসে কাটাতে হয়েছে তাদের।
গত ১২ মে-র বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত হয় হিলি ও মাহাদিপুর (সোনামসজিদ) সিমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরার জন্য এনওসি দেয়ার আনুমতি দেয় বাংলাদেশ সরকার, সেই অনুযায়ী সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুদিনে শতাধিক বাংলেদেশিকে এনওসি দেয়া হয়।
এনওসি পেয়ে তারা প্রচুর কষ্টকরে, বাড়তি টাকা ব্যয় করে উপরিউল্লিখিত সীমান্ত পথে গন্তব্যস্থলে পৌঁছান তারা, কিন্তু ভারত সরকারের কোন অনুমতি না থাকায় ঐ দুটি সীমান্ত পথে তাদের আটকে দেয়। আর এখানেই তাদের যাত্রা বিরতি হয়। এই সব সীমান্তে থাকার মতো কোন যায়গা না থাকায় অসহায় আবস্থার মধ্যে খোলা আকাশে রাত কাটাতে হয়েছে তাদের।
এর আগে অনেকদিন ঐ দুটি সীমান্ত করোনার কারণে বন্ধ ছিল। কাউকে সীমান্ত পার হতে দেয়নি তারা। বাংলাদেশি নাগরিকদের এনওসি ইস্যু করার আগে কলকাতা-উপ-হাইকমিশন থেকে ঐ দুটি সীমান্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ কেন করা হয়নি।
এর জন্য এতগুলো লোকের যে সমস্যা হলো এর দায় কার? বাংলাদেশ সরকারে ১২ মে নির্দেশিকা জারি করলেও সময় মতো উপ-হাইকমিশন কেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেননি আজও এ ব্যাপারে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও টেলিফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১ , ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৭ শাওয়াল ১৪৪২
দীপক মুখার্জী, কলকাতা
ভারতের সীমান্ত বন্দর হিলি ও মাহাদিপুর থেকে বাংলাদেশি নগরিকদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। কলকাতা উপ-হাইকমিশন আজ ও গতকাল যাদের এই দুটি সীমান্ত বন্দর থেকে ফেরার অনুমতিপত্র দিয়েছে তাদের ভারত থেকে পাঠানো হয়েছে।
‘ভারতের অনুমতি না থাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের চরম ভোগান্তি’ গতকাল দৈনিক সংবাদ-এ এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের পরে দু’দেশের সরকার তৎপরতায় গতকাল ঐ দুটি বন্দর ভারত অংশে অবমুক্ত করা হয়। বরিশালের শুকুমার দাস এই জন্য ‘সংবাদ’কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সংবাদ-এ এই খবর ছাপা না হলে আজও এর সমাধান হতো না।
কলকাতা উপ-হাইকমিশনের কন্স্যুলার মো. বশির উদ্দিন সংবাদকে জানান, ভারত সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসকদের হস্তক্ষেপে সীমান্ত আবমুক্ত হওয়ার পর এই দুটি বিশেষ করে হিলি ও মাহাদিপুর (সোনামসজিদ) সীমান্ত দিয়ে আজ ৫৫ জন বাংলাদেশি যাত্রী দেশে ফিরেছেন। এ ছাড়াও আজ বেনাপোল দিয়ে ১৩৭ জন, দর্শনা দিয়ে ১৩৩ জন বুড়িমারী দিয়ে ১ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরছে বলে জানান।
চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে ভারতে এসে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা দেশে ফেরার এনওসি পেয়েও ভারত সরকারের অনুমতি না থাকায ভারতের হিলি ও মাহাদিপুর সীমান্তে প্রায় ৫৯ জন মুমূর্ষু রোগী গতকাল দেশে ফেরতে পারেননি। ভারত সীমান্তে আটকে থেকে অসুস্থ এই সব রোগী মানবেতর অবস্থায় ছিলেন। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল জীবন চলা। ছিল না টাকা পয়সা, সারাদিন উপোসে কাটাতে হয়েছে তাদের।
গত ১২ মে-র বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত হয় হিলি ও মাহাদিপুর (সোনামসজিদ) সিমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরার জন্য এনওসি দেয়ার আনুমতি দেয় বাংলাদেশ সরকার, সেই অনুযায়ী সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুদিনে শতাধিক বাংলেদেশিকে এনওসি দেয়া হয়।
এনওসি পেয়ে তারা প্রচুর কষ্টকরে, বাড়তি টাকা ব্যয় করে উপরিউল্লিখিত সীমান্ত পথে গন্তব্যস্থলে পৌঁছান তারা, কিন্তু ভারত সরকারের কোন অনুমতি না থাকায় ঐ দুটি সীমান্ত পথে তাদের আটকে দেয়। আর এখানেই তাদের যাত্রা বিরতি হয়। এই সব সীমান্তে থাকার মতো কোন যায়গা না থাকায় অসহায় আবস্থার মধ্যে খোলা আকাশে রাত কাটাতে হয়েছে তাদের।
এর আগে অনেকদিন ঐ দুটি সীমান্ত করোনার কারণে বন্ধ ছিল। কাউকে সীমান্ত পার হতে দেয়নি তারা। বাংলাদেশি নাগরিকদের এনওসি ইস্যু করার আগে কলকাতা-উপ-হাইকমিশন থেকে ঐ দুটি সীমান্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ কেন করা হয়নি।
এর জন্য এতগুলো লোকের যে সমস্যা হলো এর দায় কার? বাংলাদেশ সরকারে ১২ মে নির্দেশিকা জারি করলেও সময় মতো উপ-হাইকমিশন কেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেননি আজও এ ব্যাপারে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও টেলিফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।