সবচেয়ে সুষ্ঠুভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি : মেয়র তাপস

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নাগরিকদের ৫টি মৌলিক সেবা প্রদানে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, মৌলিক সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রথমেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি মশক নিধন। এরপর বর্জ্য, রাস্তাঘাট সংস্কার, সড়ক বাতি এবং জলাবদ্ধতা নিরসন। ঢাকার ইতিহাসে আমরা সবচেয়ে সুষ্ঠুভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। বিগত বছরগুলোতে ডেঙ্গুর কারণে যেভাবে প্রাণহানি ঘটেছে কিন্তু গত বছরে একটিও প্রাণহানি ঘটেনি। মে মাস ডেঙ্গুর সংক্রমণের সময় শুরু হয়ে গেছে, তারপরেও এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি।

গতকাল নগরভবনে বিগত এক বছরের কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সদস্যরা এবং বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিগত এক বছরের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সার্বিক অগ্রগতি বিষয়ক কার্যক্রম তুলে ধরে মেয়র বলেন, মহামারীতে সিটি করপোরেশন ৫২৪ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করেছে। কোন সংস্থা যদি সুশাসনের আওতায় আনতে হয়, তাহলে রাজস্ব আহরণ অত্যাবশ্যক। আমরা কোনরকম কর বৃদ্ধি করেনি, করের পরিধি বাড়িয়েছি। আমরা আশা করছি জুন মাসের মধ্যে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আহরণের পরিমান ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এরইমধ্যে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ, ১২৫ টাকা ব্যয়ে রাস্তা সংস্কার, খাল পরিষ্কার, ১০৩ কোটি টাকা জলাবদ্ধতা নিরসনের অবকাঠামোগত উন্নয়নের খরচ আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে করে চলেছি। আমরা আশাবাদী মহামারী কাটিয়ে উঠলে সিটি করপোরেশনের প্রকল্পে সরকার বরাদ্দ দিবে, তখন আমরা আরও ব্যাপক এবং গতিশীলভাবে কাজ করতে পারবো। উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারবো।

অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মেয়র বলেন, যে তিন মার্কেট থেকে আমরা অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছি, সেখানে বর্তমান সংস্কার কার্যক্রম চলছে। সিটি করপোরেশনের নকশা অনুযায়ী দোকানগুলো যেন আবার তৈরি করে দেয়া হয় সেই কার্যক্রম চলছে।

বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১ , ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৭ শাওয়াল ১৪৪২

সবচেয়ে সুষ্ঠুভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি : মেয়র তাপস

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নাগরিকদের ৫টি মৌলিক সেবা প্রদানে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, মৌলিক সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রথমেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি মশক নিধন। এরপর বর্জ্য, রাস্তাঘাট সংস্কার, সড়ক বাতি এবং জলাবদ্ধতা নিরসন। ঢাকার ইতিহাসে আমরা সবচেয়ে সুষ্ঠুভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। বিগত বছরগুলোতে ডেঙ্গুর কারণে যেভাবে প্রাণহানি ঘটেছে কিন্তু গত বছরে একটিও প্রাণহানি ঘটেনি। মে মাস ডেঙ্গুর সংক্রমণের সময় শুরু হয়ে গেছে, তারপরেও এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি।

গতকাল নগরভবনে বিগত এক বছরের কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সদস্যরা এবং বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিগত এক বছরের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সার্বিক অগ্রগতি বিষয়ক কার্যক্রম তুলে ধরে মেয়র বলেন, মহামারীতে সিটি করপোরেশন ৫২৪ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করেছে। কোন সংস্থা যদি সুশাসনের আওতায় আনতে হয়, তাহলে রাজস্ব আহরণ অত্যাবশ্যক। আমরা কোনরকম কর বৃদ্ধি করেনি, করের পরিধি বাড়িয়েছি। আমরা আশা করছি জুন মাসের মধ্যে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আহরণের পরিমান ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এরইমধ্যে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ, ১২৫ টাকা ব্যয়ে রাস্তা সংস্কার, খাল পরিষ্কার, ১০৩ কোটি টাকা জলাবদ্ধতা নিরসনের অবকাঠামোগত উন্নয়নের খরচ আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে করে চলেছি। আমরা আশাবাদী মহামারী কাটিয়ে উঠলে সিটি করপোরেশনের প্রকল্পে সরকার বরাদ্দ দিবে, তখন আমরা আরও ব্যাপক এবং গতিশীলভাবে কাজ করতে পারবো। উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারবো।

অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মেয়র বলেন, যে তিন মার্কেট থেকে আমরা অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছি, সেখানে বর্তমান সংস্কার কার্যক্রম চলছে। সিটি করপোরেশনের নকশা অনুযায়ী দোকানগুলো যেন আবার তৈরি করে দেয়া হয় সেই কার্যক্রম চলছে।