স্বাভাবিকভাবে অথবা অর্ধেক আসন ফাকা রেখে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালাতে চান মালিকরা। গত বুধবার বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
আগামী ২২ মে এসব দাবি নিয়ে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনা মেনে, স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী, হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির মাধ্যমে ব্যবসাকে সীমিত রাখা হয়েছে। করোনায় যেসব সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ সেক্টরটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
আরও বলা হয়, সব বিভাগীয় শহর, জেলা শহর ও উপজেলা শহর মিলে হোটেল-রেস্তোরাঁর সংখ্যা ৬০ হাজার। এখানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা ৩০ লাখ। সব মিলিয়ে রেস্তোরাঁ খাতে মোট নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা প্রায় দুই কোটি। এতগুলো মানুষ এখন বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যানারে ও সব হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের পক্ষে সরকারের কাছে আটটি প্রস্তাবনা দেয়া হয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো হোটেল খোলা রাখা, তাও যদি সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ আসনে বসিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু করা।
এছাড়া, এ খাতে কর্মরত শ্রমিকদের প্রণোদনা দেয়া, হোটেল ব্যবসায়ীদের এসএমই খাত থেকে বিনা সুদে অথবা স্বল্প সুদে আমানতবিহীন এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করা, করোনাকালীন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিলের সার্চচার্জ মওকুফ, ঘর ভাড়া মওকুফ, হোটেল রেস্তোরায় কর্মরতদের সম্মুখযোদ্ধা ঘোষণা দিয়ে করোনার টিকা প্রদান, ভ্যাট-ট্যাক্স কর্মকর্তাদের অভিযান বন্ধসহ বর্তমানে চালু বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার দাবি জানান হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকরা।
শুক্রবার, ২১ মে ২০২১ , ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৮ শাওয়াল ১৪৪২
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
স্বাভাবিকভাবে অথবা অর্ধেক আসন ফাকা রেখে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালাতে চান মালিকরা। গত বুধবার বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
আগামী ২২ মে এসব দাবি নিয়ে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনা মেনে, স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী, হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির মাধ্যমে ব্যবসাকে সীমিত রাখা হয়েছে। করোনায় যেসব সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ সেক্টরটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
আরও বলা হয়, সব বিভাগীয় শহর, জেলা শহর ও উপজেলা শহর মিলে হোটেল-রেস্তোরাঁর সংখ্যা ৬০ হাজার। এখানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা ৩০ লাখ। সব মিলিয়ে রেস্তোরাঁ খাতে মোট নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা প্রায় দুই কোটি। এতগুলো মানুষ এখন বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যানারে ও সব হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের পক্ষে সরকারের কাছে আটটি প্রস্তাবনা দেয়া হয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো হোটেল খোলা রাখা, তাও যদি সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ আসনে বসিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু করা।
এছাড়া, এ খাতে কর্মরত শ্রমিকদের প্রণোদনা দেয়া, হোটেল ব্যবসায়ীদের এসএমই খাত থেকে বিনা সুদে অথবা স্বল্প সুদে আমানতবিহীন এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করা, করোনাকালীন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিলের সার্চচার্জ মওকুফ, ঘর ভাড়া মওকুফ, হোটেল রেস্তোরায় কর্মরতদের সম্মুখযোদ্ধা ঘোষণা দিয়ে করোনার টিকা প্রদান, ভ্যাট-ট্যাক্স কর্মকর্তাদের অভিযান বন্ধসহ বর্তমানে চালু বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার দাবি জানান হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকরা।