অন্যরা যেখানে যেতে পারেনি, ‘নগদ’ সেখানে পৌঁছেছে : ড. দেবপ্রিয়

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, যেখানে বড় শ্বেতহস্তী ব্যাংকগুলো যেতে পারেনি, সেখানে ‘নগদ’ যেতে পেরেছে, এটাকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বড় উদ্যোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে।

গত বুধবার সন্ধ্যায় ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ আয়োজিত ‘সবাইকে এগিয়ে দেবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির উদ্ভাবন’ শীর্ষক এক ফেইসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ‘নগদ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ‘নগদ’র চিফ পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার সোলায়মান সুখন।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আগে আমরা একটি চেক ব্যাংকে জমা দিতাম, সেটা অনেকগুলো পথ পেরিয়ে আসত, অনেক সময় লাগত। কিন্তু এমএফএসের কারণে সম্পূর্ণ নতুন কাজের এলাকা তৈরি হয়েছে। ফলে কী কী পরিবর্তন এসেছে, তা গবেষণা করে দেখা যেতে পারে।

তিনি বলেন, দেশে মালিক ও শ্রমিক দ্বৈত ভূমিকায় থাকা মানুষের পুনরুজ্জীবনের জন্য ডিজিটাল সমাধান আনতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে শ্রমিক সংগঠন পর্যন্ত নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারলে ডিজিটাল সমাধান কাজে দেবে। এক্ষেত্রে চেম্বার অব কমার্সকে নিয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় আছে, তাদের কাছেও যেতে হবে।

সরকারি সেবা ও সহায়তা বিতরণের জন্য জাতীয় তথ্যভান্ডার গড়ার ওপর গুরুত্ব দেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, করোনার সময় অসহায় মানুষকে সাহায্য দিতে গিয়ে যে তথ্যভান্ডার তৈরি হলো, এটাকে জাতীয় তথ্যভান্ডার বানানো যায় কিনা সেটা নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন।

শুক্রবার, ২১ মে ২০২১ , ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৮ শাওয়াল ১৪৪২

অন্যরা যেখানে যেতে পারেনি, ‘নগদ’ সেখানে পৌঁছেছে : ড. দেবপ্রিয়

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, যেখানে বড় শ্বেতহস্তী ব্যাংকগুলো যেতে পারেনি, সেখানে ‘নগদ’ যেতে পেরেছে, এটাকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বড় উদ্যোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে।

গত বুধবার সন্ধ্যায় ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ আয়োজিত ‘সবাইকে এগিয়ে দেবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির উদ্ভাবন’ শীর্ষক এক ফেইসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ‘নগদ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ‘নগদ’র চিফ পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার সোলায়মান সুখন।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আগে আমরা একটি চেক ব্যাংকে জমা দিতাম, সেটা অনেকগুলো পথ পেরিয়ে আসত, অনেক সময় লাগত। কিন্তু এমএফএসের কারণে সম্পূর্ণ নতুন কাজের এলাকা তৈরি হয়েছে। ফলে কী কী পরিবর্তন এসেছে, তা গবেষণা করে দেখা যেতে পারে।

তিনি বলেন, দেশে মালিক ও শ্রমিক দ্বৈত ভূমিকায় থাকা মানুষের পুনরুজ্জীবনের জন্য ডিজিটাল সমাধান আনতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে শ্রমিক সংগঠন পর্যন্ত নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারলে ডিজিটাল সমাধান কাজে দেবে। এক্ষেত্রে চেম্বার অব কমার্সকে নিয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় আছে, তাদের কাছেও যেতে হবে।

সরকারি সেবা ও সহায়তা বিতরণের জন্য জাতীয় তথ্যভান্ডার গড়ার ওপর গুরুত্ব দেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, করোনার সময় অসহায় মানুষকে সাহায্য দিতে গিয়ে যে তথ্যভান্ডার তৈরি হলো, এটাকে জাতীয় তথ্যভান্ডার বানানো যায় কিনা সেটা নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন।