২য় ডোজের অনিশ্চয়তায় ২২ হাজার মানুষ
কুষ্টিয়ায় করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। গত আটদিন জেলার ৬টি উপজেলায় এ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমন অবস্থায় টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন জেলার ২২ হাজার মানুষ।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ায় টিকা পাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৪২৭ জন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৪৮৬ জন। আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৬১ জন। সর্বশেষ ১২ মে ৩১০ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেন। টিকার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এরপর থেকে কার্যত টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন এইচ.এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,দ্বিতীয় ধাপে টিকা দিতে দুই হাজার ডোজ পাওয়া গেছে যা শনিবার থেকে দেয়া হতে পারে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে। যেহেতু প্রয়োজনের তুলনায় টিকা কম তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে। যাতে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার জন্য প্রতিদিনই মানুষ যোগাযোগ করছেন। কিন্তু টিকা দেয়া যাচ্ছে না। ২-৩ দিন আগে দুই হাজার টিকা ডোজ পাওয়া গেছে। যা দিয়ে ২ হাজার জনকে টিকা দেয়া যাবে। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ নিতে জেলার বাকি মানুষের সংখ্যা ২২ হাজার ১২৫ জন। এ অবস্থায় ২০ হাজার মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার সুযোগ পাওয়া পাবেন না।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে টিকাদান কার্যক্রম পরবর্তী দিন ধার্য করা হবে। অনেকে নিরুপায় হয়ে অন্য জেলা থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিচ্ছেন।
শুক্রবার, ২১ মে ২০২১ , ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৮ শাওয়াল ১৪৪২
২য় ডোজের অনিশ্চয়তায় ২২ হাজার মানুষ
জেলা বার্তা পরিবেশক, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। গত আটদিন জেলার ৬টি উপজেলায় এ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমন অবস্থায় টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন জেলার ২২ হাজার মানুষ।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ায় টিকা পাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৪২৭ জন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৪৮৬ জন। আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৬১ জন। সর্বশেষ ১২ মে ৩১০ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেন। টিকার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এরপর থেকে কার্যত টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন এইচ.এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,দ্বিতীয় ধাপে টিকা দিতে দুই হাজার ডোজ পাওয়া গেছে যা শনিবার থেকে দেয়া হতে পারে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে। যেহেতু প্রয়োজনের তুলনায় টিকা কম তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে। যাতে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার জন্য প্রতিদিনই মানুষ যোগাযোগ করছেন। কিন্তু টিকা দেয়া যাচ্ছে না। ২-৩ দিন আগে দুই হাজার টিকা ডোজ পাওয়া গেছে। যা দিয়ে ২ হাজার জনকে টিকা দেয়া যাবে। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ নিতে জেলার বাকি মানুষের সংখ্যা ২২ হাজার ১২৫ জন। এ অবস্থায় ২০ হাজার মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার সুযোগ পাওয়া পাবেন না।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে টিকাদান কার্যক্রম পরবর্তী দিন ধার্য করা হবে। অনেকে নিরুপায় হয়ে অন্য জেলা থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিচ্ছেন।