কিলার সুমন হত্যাকান্ডের পর জানালেন বার্তা ‘স্যার ফিনিশ’
রাজধানীর পল্লবীতে ছেলের সামনে বাবা সাহিনুদ্দীনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এমএ আউয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গতকাল ভোরে ভৈরবের একটি মাজার থেকে আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান, তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এমএ আউয়াল হাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের এমডি।
সাহিনুদ্দীনকে কুপিয়ে হত্যার নেপথ্যে ছিল আওয়ালের জমি দখল বাণিজ্য। মূলত আওয়ালের আবাসন প্রকল্প হাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের পাশে থাকা সাহিনুদ্দীনের জমি দখল চেষ্টা নিয়ে বিরোধ হয়। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর জমিটি দখল করতে না পারার ক্ষোভ থেকেই সাবেক এমপির নির্দেশে কিলার সুমন বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যা করে সাহিনুদ্দীনকে। হত্যা নিশ্চিত করার পর সাবেক এমপি আওয়ালকে ফোন করে কিলার সুমনের বার্তা ছিল ‘স্যার ফিনিশ’। গতকাল র্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে পল্লবীতে সাহিনুদ্দীন হত্যাকান্ড নিয়ে এমন তথ্য দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব।
এর আগে আগে চাঁদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কিলিং মিশনে অংশ নেয়া হাসান নামের একজনকে। এরপর পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরেক আসামি জহিরুল ইসলাম বাবুকে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির পল্লবী জোনাল টিম মিরপুরের রায়েববাগ থেকে গ্রেপ্তার করে কিলার সুমন এবং তার সহযোগী মো. রকি তালুকদারকে। এর আগে গ্রেপ্তার হয় দিপু নামে আরেক আসামি। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬ জনকে গেপ্তার করেছে র্যাব ও ডিবি।
গত ১৬ মে পল্লবীতে ৭ বছরের ছেলের সামনে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সাহিনুদ্দীনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে কিলার সুমন বাহিনী। দিনের বেলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাহিনুদ্দীনকে হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। ২৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিও দেখার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সাবেক এমপি মো. আওয়ালকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করে সাহিনুদ্দীনের মা। থানা পুলিশের পাশাপাশি এ হত্যাকান্ডের ক্লু উদ্ঘাটন এবং খুনিদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে গোয়েন্দা পুলিশ এবং র্যাব।
গতকাল কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া ইউংয়ের পরিচারক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, সাবেক
সাবেক : পৃষ্ঠা : ১১ ক : ১
সাবেক : এমপি
(১ম পৃষ্ঠার পর)
এমপি মো. আওয়ালের জমি দখল বাণিজ্যে সহযোগিতা করত ওই এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার সুমন ও তার বাহিনী। কিলার সুমন বাহিনীকে ব্যবহার করেও সাহিনুদ্দীনের জমি কমমূল্যে নিতে চেয়েছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাহিনুদ্দীনকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা হয় সাবেক এমপি আওয়ালের ধানমন্ডির বাসায়। আর পরিকল্পনা অনুযায়ী পল্লবীর সন্ত্রাসী কিলার সুমনের নেতৃত্বে তার বাহিনী এ হত্যকান্ড ঘটায়।
র্যাব জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে তারা জানতে পেরেছেন এ হত্যার জন্য ৩০ লাখ টাকা চুক্তি হয়েছিল সাবেক এমপি আওয়ালের সঙ্গে কিলার সুমন বাহিনীর। হত্যার পর প্রত্যেক কিলারকে ১ হাজার টাকা করে দিয়ে আত্মগোপনে চলে যেতে বলা হয়।
ঢাকা মহানগার গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আহসান খান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এডিসি আহসান খান জানান, কিলিং মিশনের নেতৃত্ব দেয়া সুমন বেপারী এবং মো. রকি তালুকদারকে ডিবি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড হেফাজতে চেয়েছে।
হত্যাকান্ডটি অনেক নৃশংস। সুস্থ মস্তিষ্কে মানুষ মানুষকে এভাবে কুপিয়ে হত্যা করাটা কল্পনাতীত। কেবল হিং¯র হলেই এমনভাবে কেউ কাউকে হত্যা করে। এমন নজির গত ১০ বছরেও আমার নজরে পড়েনি। ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে ডিবি।
যেভাবে হত্যাকান্ড
র্যাব জানিয়েছে, ঘটনার ৪ থেকে ৫ দিন আগে সাবেক এমপি আওয়ালের কলাবাগানের অফিসে এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা হয়। সাবেক এমপি আওয়ালের অফিসে আলাপ-আলোচনা শেষে ১৫ মে সুমনের বাড়ির সামনে মনির, হাসান, ইকবাল, মানিক মুরাদসহ সাহিনুদ্দীনকে কিভাবে হত্যা করা হবে তা নিয়ে অলোচনা করে। কিলিং ছক অনুযায়ী এমপি আওয়ালের সঙ্গে বিরোধ মীমাংসার জন্য আলোচনা করার কথা বললে বলে মোবাইল ফোনে পরদিন ১৬ মে সাহিনুদ্দীনকে ডেকে নেয় সুমন। সাহিনুদ্দীন তার ৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে আসার পর পরই আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা সাহিনুদ্দীনকে কোপাতে থাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে। প্রথম কোপটি দেয় কিলার সুমন। এরপরই মনির এবং মানিক এলোপাতাড়ি সাহিনুদ্দীনকে কোপাতে তাকে। মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সাহিনুদ্দীনের মৃত্যু হওয়ার পর কিলার সুমন মোবাইল ফোনে সাবেক এমপি আওয়ালকে বলেন স্যার ফিনিশ।
কয়েক মাস আগে এমপি আওয়ালের সঙ্গে বিরোধের জেরে কিলার সুমন বাহিনীর সঙ্গে সাহিনুদ্দীনের মারামারিও হয়। এর আগেও সুমন বাহিনী সাহিনুদ্দীনকে হত্যা করার চেষ্টা করে। সে সময় প্রাণে বেঁচে যায় সাহিনুদ্দীন। এ ঘটনায় সাহিনুদ্দীন একটি মামলাও করে। ওই মামলায় কিলার সুমন জেলেও যায়। ঘটনার কিছুদিন আগে সুমন জামিনে জেল থেকে বের হয়। জেল থেকে বের হওয়ার পরই সুমন হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, কিলার সুমন স্থানীয়ভাবে যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত। এক সময় সে ছাত্রলীগ নেতাও ছিল। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সুমন ছিল পল্লবী এলাকার ত্রাস। নিজস্ব বাহিনী গড়ে তোলে এলাকায় জমি দখল, বাড়ি দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে এমন কোন অপরাধ নেই যে সুমন করেনি। তার বাহিনীর বিরুদ্ধে গত ২ মাসে ৬টি মামলা হয়েছে পল্লবী থানায়। একাধিকবার জেলে গেলেও সুমন অদৃশ্য শক্তির সহযোগিতা নিয়ে জামিনে বেরিয়ে আসত।
শুক্রবার, ২১ মে ২০২১ , ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৮ শাওয়াল ১৪৪২
কিলার সুমন হত্যাকান্ডের পর জানালেন বার্তা ‘স্যার ফিনিশ’
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
রাজধানীর পল্লবীতে ছেলের সামনে বাবা সাহিনুদ্দীনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এমএ আউয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গতকাল ভোরে ভৈরবের একটি মাজার থেকে আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান, তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এমএ আউয়াল হাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের এমডি।
সাহিনুদ্দীনকে কুপিয়ে হত্যার নেপথ্যে ছিল আওয়ালের জমি দখল বাণিজ্য। মূলত আওয়ালের আবাসন প্রকল্প হাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের পাশে থাকা সাহিনুদ্দীনের জমি দখল চেষ্টা নিয়ে বিরোধ হয়। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর জমিটি দখল করতে না পারার ক্ষোভ থেকেই সাবেক এমপির নির্দেশে কিলার সুমন বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যা করে সাহিনুদ্দীনকে। হত্যা নিশ্চিত করার পর সাবেক এমপি আওয়ালকে ফোন করে কিলার সুমনের বার্তা ছিল ‘স্যার ফিনিশ’। গতকাল র্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে পল্লবীতে সাহিনুদ্দীন হত্যাকান্ড নিয়ে এমন তথ্য দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব।
এর আগে আগে চাঁদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কিলিং মিশনে অংশ নেয়া হাসান নামের একজনকে। এরপর পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরেক আসামি জহিরুল ইসলাম বাবুকে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির পল্লবী জোনাল টিম মিরপুরের রায়েববাগ থেকে গ্রেপ্তার করে কিলার সুমন এবং তার সহযোগী মো. রকি তালুকদারকে। এর আগে গ্রেপ্তার হয় দিপু নামে আরেক আসামি। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬ জনকে গেপ্তার করেছে র্যাব ও ডিবি।
গত ১৬ মে পল্লবীতে ৭ বছরের ছেলের সামনে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সাহিনুদ্দীনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে কিলার সুমন বাহিনী। দিনের বেলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাহিনুদ্দীনকে হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। ২৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিও দেখার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সাবেক এমপি মো. আওয়ালকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করে সাহিনুদ্দীনের মা। থানা পুলিশের পাশাপাশি এ হত্যাকান্ডের ক্লু উদ্ঘাটন এবং খুনিদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে গোয়েন্দা পুলিশ এবং র্যাব।
গতকাল কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া ইউংয়ের পরিচারক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, সাবেক
সাবেক : পৃষ্ঠা : ১১ ক : ১
সাবেক : এমপি
(১ম পৃষ্ঠার পর)
এমপি মো. আওয়ালের জমি দখল বাণিজ্যে সহযোগিতা করত ওই এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার সুমন ও তার বাহিনী। কিলার সুমন বাহিনীকে ব্যবহার করেও সাহিনুদ্দীনের জমি কমমূল্যে নিতে চেয়েছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাহিনুদ্দীনকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা হয় সাবেক এমপি আওয়ালের ধানমন্ডির বাসায়। আর পরিকল্পনা অনুযায়ী পল্লবীর সন্ত্রাসী কিলার সুমনের নেতৃত্বে তার বাহিনী এ হত্যকান্ড ঘটায়।
র্যাব জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে তারা জানতে পেরেছেন এ হত্যার জন্য ৩০ লাখ টাকা চুক্তি হয়েছিল সাবেক এমপি আওয়ালের সঙ্গে কিলার সুমন বাহিনীর। হত্যার পর প্রত্যেক কিলারকে ১ হাজার টাকা করে দিয়ে আত্মগোপনে চলে যেতে বলা হয়।
ঢাকা মহানগার গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আহসান খান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এডিসি আহসান খান জানান, কিলিং মিশনের নেতৃত্ব দেয়া সুমন বেপারী এবং মো. রকি তালুকদারকে ডিবি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড হেফাজতে চেয়েছে।
হত্যাকান্ডটি অনেক নৃশংস। সুস্থ মস্তিষ্কে মানুষ মানুষকে এভাবে কুপিয়ে হত্যা করাটা কল্পনাতীত। কেবল হিং¯র হলেই এমনভাবে কেউ কাউকে হত্যা করে। এমন নজির গত ১০ বছরেও আমার নজরে পড়েনি। ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে ডিবি।
যেভাবে হত্যাকান্ড
র্যাব জানিয়েছে, ঘটনার ৪ থেকে ৫ দিন আগে সাবেক এমপি আওয়ালের কলাবাগানের অফিসে এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা হয়। সাবেক এমপি আওয়ালের অফিসে আলাপ-আলোচনা শেষে ১৫ মে সুমনের বাড়ির সামনে মনির, হাসান, ইকবাল, মানিক মুরাদসহ সাহিনুদ্দীনকে কিভাবে হত্যা করা হবে তা নিয়ে অলোচনা করে। কিলিং ছক অনুযায়ী এমপি আওয়ালের সঙ্গে বিরোধ মীমাংসার জন্য আলোচনা করার কথা বললে বলে মোবাইল ফোনে পরদিন ১৬ মে সাহিনুদ্দীনকে ডেকে নেয় সুমন। সাহিনুদ্দীন তার ৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে আসার পর পরই আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা সাহিনুদ্দীনকে কোপাতে থাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে। প্রথম কোপটি দেয় কিলার সুমন। এরপরই মনির এবং মানিক এলোপাতাড়ি সাহিনুদ্দীনকে কোপাতে তাকে। মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সাহিনুদ্দীনের মৃত্যু হওয়ার পর কিলার সুমন মোবাইল ফোনে সাবেক এমপি আওয়ালকে বলেন স্যার ফিনিশ।
কয়েক মাস আগে এমপি আওয়ালের সঙ্গে বিরোধের জেরে কিলার সুমন বাহিনীর সঙ্গে সাহিনুদ্দীনের মারামারিও হয়। এর আগেও সুমন বাহিনী সাহিনুদ্দীনকে হত্যা করার চেষ্টা করে। সে সময় প্রাণে বেঁচে যায় সাহিনুদ্দীন। এ ঘটনায় সাহিনুদ্দীন একটি মামলাও করে। ওই মামলায় কিলার সুমন জেলেও যায়। ঘটনার কিছুদিন আগে সুমন জামিনে জেল থেকে বের হয়। জেল থেকে বের হওয়ার পরই সুমন হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, কিলার সুমন স্থানীয়ভাবে যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত। এক সময় সে ছাত্রলীগ নেতাও ছিল। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সুমন ছিল পল্লবী এলাকার ত্রাস। নিজস্ব বাহিনী গড়ে তোলে এলাকায় জমি দখল, বাড়ি দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে এমন কোন অপরাধ নেই যে সুমন করেনি। তার বাহিনীর বিরুদ্ধে গত ২ মাসে ৬টি মামলা হয়েছে পল্লবী থানায়। একাধিকবার জেলে গেলেও সুমন অদৃশ্য শক্তির সহযোগিতা নিয়ে জামিনে বেরিয়ে আসত।